আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লন্ডনে রিকশা চালিয়ে এক থেকে দেড় হাজার পাউন্ড পর্যন্ত আয় কিন্তু রিকশা উচ্ছেদে ‘কঠোর’ পুলিশ

অলিম্পিক সামনে রেখে লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ডের রাস্তা থেকে রিকশা উচ্ছেদে নেমেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। সম্প্রতি রাস্তা থেকে বেশ কিছু রিকশা আটকও করেছে তারা। লন্ডনে পর্যটক ও স্থানীয়দের মধ্যে তিন চাকার বাহন ‘রিকশা’ ব্যতিক্রমী বিনোদনের মাধ্যম হয়ে উঠলেও রিকশা চলাচলকে বিভিন্নভাবে নিরুৎসাহিত করছে বৃটিশ পুলিশ। এক্ষেত্রে ১৮৩৯ সালের ‘ঝুঁকিপূর্ণ পরিবহন আইন’ (ফিউরিয়াস রাইডিং) কাজে লাগাচ্ছে তারা। ঘোড়ার গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য সে সময় করা হয়েছিল এ আইন।

এ আইনের আওতায় গত মঙ্গলবার এক চালককে ঝুঁকিপূর্ণভাবে রিকশা চালানোর অভিযোগে জরিমানা করা হয়। গত ২৩শে মার্চ সেন্ট্রাল লন্ডনে ঝুঁকিপূর্ণ রিকশা চালানোর অভিযোগে মো. ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালত তাকে চারটি ধারায় মোট ২৪৫ পাউন্ড জরিমানা করে। এছাড়া প্রসিকিউশন ফি, আটক রিকশা রাখার জন্য পার্কিং চার্জসহ অন্য দুই খাতেও তাকে জরিমানা দিতে বলা হয়। লন্ডন পুলিশ জানায়, ২৩শে মার্চ রাত ৮টার দিকে ইসলাম রিকশায় যাত্রী নিয়ে অন্য এক রিকশা চালকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু করেন।

এতে যাত্রী আতঙ্কিত হয়ে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে বললেও তা অগ্রাহ্য করেন চালক। তখন পুলিশ তাকে থামিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ অ্যাক্ট ১৮৩৯-এর ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ডের পিকাডেলি সার্কাসে পর্যটকদের কাছে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে রিকশা বেশ জনপ্রিয়। অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়ার পাশাপাশি উপার্জনের পথ হিসেবে রিকশা চালনা বেছে নিয়েছেন। আর তাদের কাছে রিকশা ভাড়া দিতে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি এজেন্সি।

লন্ডনের কয়েক জন বাঙালি রিকশাচালক জানান, গ্রীষ্মে কোন কোন মাসে রিকশা চালিয়ে এক থেকে দেড় হাজার পাউন্ড পর্যন্ত আয় হয়। এ কাজের জন্য অনুমতির বাধ্যবাধকতা না থাকায় সুবিধাজনক উপার্জনের সুযোগ হিসেবে রিকশা চালনাই বেছে নিয়েছেন তারা। লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ডেই রিকশা বেশি দেখা যায়। পুরোপুরি বাংলাদেশী রিকশার মতো দেখতে না হলেও এই রিকশাকেই বাংলাদেশের ‘ঐতিহ্য’ হিসেবে পরিচিত করেন অনেকে। বাঙালির পাশাপাশি ভারতীয়, নেপালি এমনকি অনেক ইউরোপীয় নাগরিকরাও লন্ডনে রিকশা চালাচ্ছেন।

সূত্র: বিডিনিউজ  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।