অসাড় বিকলাঙ্গ হাতে অপার সুখের ছোঁয়ায় মগ্ন থাকি
পোস্ট পড়ার জন্য পরথমে পান্তা ইলিশ। প্লেট রেডি হাত ধুইয়া বইসা পড়েন
এরপর পিঠা
এরপর মিষ্টি
গরম লাগলে পাঙ্কাহ আছে
খাওয়া দাওয়া হইছে। শরির ভাল। বারির খবর ভাল টো ?
ইয়ে মানে গতবছরের পাওনাটা...
মানে ভাবির জন্য যে শাড়ীটা নিলেন
আর আপনার লাইগা পাঞ্জাবি
আরে আমিতো করছি...
দেখতে দেখতে এক বছর কেটে গেল। আবার বৈশাখ।
বাসন্তি রঙের শাড়ি,মেলা,নাগর দেলা,লাঠি খেলা,মঙ্গল যাত্রা,নায়র যাত্রা,মুখোশ,হইচই,মিষ্টি মণ্ডা আর কত কি ? বহুজনের বহু পরিকল্পনা। ভাইজান পাঞ্জাবি পইরা বাসুন্তি রঙের শারি পরা আপুর লগে গোধূলি বেলায় নদীর পাড়ে। আরে নিজের কথা না। সত্যি,৩ সত্যি। জাউজ্ঞা,এইবার এক্তু ভিন্ন পরিকল্পনা।
চিন্তা করছি,হালখাতা করুম। পকেটের অবস্থা আশঙ্কাজনক,গরের মাঠে ঘাস থাকলেও আমার পকেট পুরা ধুধু মরুভূমি। বন্ধু বান্ধব হারামি গুলার অনাদায়ী পাওনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়ে আমি প্রায় দেউলিয়া। প্রাইভেট পড়াই যে বাসায় অই বাসার আঙ্কেল আবার বাইরে গেছেন। ওডেস্কে দুই ক্লায়েন্টের কাছে ৫০ বাকি।
জাউজ্ঞা ইহা ক্ষুদ্র বিষয়,আমার মতন পিচ্চি পাচ্চার একান্ত দুখের কথা।
ছুটবেলায় আব্বার লগে কতবার গেছি হালখাতায়।
সোনার দুকানে,মুদি দুকানে,কাপরের দুকানে। বড় হবার পর বদমাইশি কইরা খজ নিতাম কই ভাল খাওনের হালখাতা হইবে (ভাল রকমের মিষ্টি, কিংবা বিরিয়ানি, ঠাণ্ডা ফালুদা)। এরপর অই দুকানে ঢুইকা খাইয়া দাইয়া ভাই,আমি মাসুদ সাহেবের ছেলে,আব্বার হিসাবটা কই বইলা পাত নিয়া ৫০ টাকা দিয়া দ্রুত দোকান ত্যাগ।
চরম আর চরম মজা।
এইবার সিদ্ধান্ত নিলাম ,হালখতা করবই। যত মিনিস্টার আছে ওগো কাছ থিক্কা সব হিসাব কড়ায় গণ্ডায় লমু। ভারতের থন হিসাব নিমু নির্মমতার। রাজাকারের তন হিসাব নিমু ৭১ এর।
সবার তন হিসাব নিমু কড়ায় গণ্ডায়। হিসাব নিমু বাঙালীর প্রান নববর্ষরে নিয়া ফাইজলামি করার। পোস্ট পইরা জারা কিছু কয়না। বাল পুষ্ট পরথমে আনা,আর সেইফ করার ফালতু হিসাব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।