আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাহলে এগুলো কি?

১. ন্যাশনাল জিওগ্রাফি-তে দেখেছিলাম। একটা বাঘ অথবা সিংহ হবে একটা হরিণ শাবককে ধরেছে। শাবকটা যমের হাত থেকে বাঁচার জন্য পালাবার চেষ্টা করছে বাঘটা সুযোগ দিচ্ছে। আবার ধরে আনছে। আবার পালাবার সুযোগ দিচ্ছে।

এভাবে কিছুক্ষণ তার অসহায় শিকারকে নিয়ে খেলার পর স্বভাবসিধ্দ নিয়মে শ্বাস নালীতে দাঁত বসিয়ে দেয়। মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে যখন শাবকটি দেহটুকু নিথর হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে তখন তার কচি মাংস ছিঁড়ে ছিঁড়ে আয়েশ করে থায়। কি করুণ মৃত্যু। হরিণ শিশুটির জন্য প্রচন্ড মায়া অনুভব করি। ২. আরোকদিন দেখছিলাম একটি মহিষ এক কঠিন খাদে পড়েছে।

যতই ওঠতে চেষ্টা করছে ততই আরো শক্তভাবে আটকে যায় ভয়ঙ্কর মরণ ফাদে। ক্রমে সন্ধ্যা হলো অসহায় পশুটি উদ্ধার পাওয়ার নিস্ফল চেষ্টা করে হাল ছেড়ে দিল। এখন রাত। হায়েনারা বের হয়েছে খাদ্যের সন্ধানে। পেয়ে গেছে অসহায় পশুটিকে।

প্রানীটিকে ঘিরে কি উল্লাস। হায়েনোর হাসি! কি ভয়ঙ্কর। শুরু হলো ভোজ। জীবন্ত প্রাণীটিকে সবাই মিলে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে। অসহায় মহিষটার কিছুই করার নেই।

ক্রমে ঢলে পড়ল মৃত্যুর কবলে। ৩. গত পরশু দিনের একটি দৈনিকে পড়লাম। ... চাপ দিয়ে ঘার ভেঙ্গে বুকের কাছে আনা হয়েছে, পা দুটি শিশুটিরই সালোয়ার দিয়ে বেঁধে ঘাড়র ওপরে ওঠানো হয়েছে, মুখও ছিল বাঁধা। মৃত্যুর আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ৪. আজকের পত্রিকা খুলে প্রথম পাতাতেই দেখি আরেক শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে ইটের ভাটায় পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

ঘটনাগুলোর প্রথম দুটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়মে জন্তু জানোয়ারদের মধ্যে ঘটে। কিন্তু তৃতীয় এবং চতুর্থ ঘটনাটি মানুষ নামের শ্রেষ্ট(?)জীব ঘটিয়েছে যা পশুদের আচরণের সাথে মেলে না। তাই এগুলোকে পাশবিক বলা যায়না। পশুরা ক্ষুধা নিবারণের জন্য বা অন্য কোন জৈবিক প্রয়োজনে পরস্পর মারামারি করে আহত বা নিহত হয় কিন্তু নিজ প্রজাতির কারো সাথে এমন নিষ্ঠুরতায় লিপ্ত হয়না। তাহেলে এই মানুষের দেহধারীদের আমরা কি বলব? নিশ্চয় এগুলো জানোয়ার নয়।

তাহলে এগুলো কি? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.