আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নবজাতককে নিতে এসে অজানায় চলে গেল জন্মদাতা পিতা

সাংবাদিক ইলিয়াছ রিপন ইলিয়াছ রিপন, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ গরীবের ঘর আলো করে ৫দিন পূর্বে হাসপাতালে জন্ম হয়েছিল এক নবজাতক কন্যা শিশু। আনন্দে উচ্ছ্বাসে এবং উত্তেজনা নিয়ে সুস্থ শিশু ও স্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল নবজাতক শিশুর পিতা। কিন্তু একটি সড়ক দুর্ঘটনায় সব হাসি আনন্দ মুহুর্তে বিষাদে রুপ নিলো। নবজাতক কন্যা শিশুকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পূর্বে পৃথিবী ত্যাগ করতে হল জন্মদাতা পিতাকে। গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে নবজাতকের মা ও বড় ভাই।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ফুটফুটে নবজাতক শিশুটি সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে খালার কোলে দিব্যি ঘুমাচ্ছে। শনিবার (৭এপ্রিল) বিকেলে মীরসরাই সদরস্থ মাতৃকা হাতপাতাল থেকে স্ত্রী ও নবজাতকে বাড়ি নিতে এসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সদর এলাকায় অজ্ঞাতনামা কার্ভাডভ্যানের সাথে সিএনজিতে মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারায় হতভাগ্য পিতা নুরুন নবী শামীম (৪০)। আহতরা হলেন স্ত্রী ফেরদৌস আরা বেগম (৩৫) এবং একমাত্র পুত্র সাজ্জ্বাদ হোসেন (৬)। ’ানীয় আহতদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা সদরস্থ মাতৃকা হাসপাতালে ভর্তি করায়। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৬নং ইছাখালী ইউনিয়নের মাদবারহাট গ্রামের নুরুন নবীর স্ত্রী ফেরদৌস আরা বেগমের মীরসরাইয়ের মাতৃকা হাসপাতালে অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।

হাসপাতালে পাঁচ দিন চিকিৎসার পর শনিবার বিকেলে রিলিজ হয়ে সিএনজি যোগে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার প্রাক্কালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলা সদরের অছি মিয়া ব্রিজে পৌঁছা মাত্র দ্রুত ও বেপরোয়া চট্টগ্রামগামী অজ্ঞাতনামা একটি কাভার্ডভ্যানের সাথে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। সিএনজির ড্রাইবার গা ঢাকা দিয়েছে। নিহত শামীমের বড় সুরমা বেগম বলেন, ২বছর পূর্বে নিজ এলাকায় কাজ করার সময় শামীম গাছ থেকে পড়ে পঙ্গু হয়ে দিনাতিপাত করছে । মাতৃকা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জামশেদ আলম জানান, আশংকাজনক অবস্থায় নিহতের পুত্র সাজ্জ্বাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ ইব্রাহিম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।