পাঠেই পরিচয় ! void(1); "একটু অসুবিধা হলেও আপনি আজকে থেকে-----"পলিথিন ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকুন""
অবাধে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহারের ফলে একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে এগুলো মানবস্বাস্থ্যের প্রতি সৃষ্টি করছে হুমকি।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট নোয়াখালী কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আমিন জানান,
"পলিথিন কৃষিজমির উর্বরতা শক্তিও কমিয়ে দেয়। যে জমিতে পলিথিন ফেলা হয়, সেখানে শত চেষ্টা করেও ভালো ফলন সম্ভব নয়। কারণ, পলিথিনের কারণে ফসল মাটি থেকে খাবার সংগ্রহ করতে পারে না। "
আজকাল একটু মাটি খুঁড়লেই মাটির সাথে পলিথিন উঠে আসতে দেখা যায়, চাষাবাদের জায়গা গুলো পলিথিনে দম বন্ধ হয়ে মরে যেতে বসেছে।
"পলিথিনের ব্যাগ সরাসরি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক নয়। তবে পলিথিনের ব্যাগে দীর্ঘদিন ধরে রাখা খাদ্যদ্রব্য খেলে মানুষের ক্যানসারের মতো জটিল রোগ হতে পারে। "
পণ্যের সাথে বিনামূল্যে দেয়া পলিথিন ব্যাগগুলো দ্রুত সারাদেশের ড্রেন, নালা, খাল, ডোবা ইত্যাদি ভরাট করে ফেলে এবং পানির প্রবাহ থামিয়ে দেয়।
এর ফলে দেখা দেয় দুই প্রকারের সমস্যা: জলাবদ্ধতা ও বন্যা এবং জনগণের স্বাস্থ্য সমস্যা। এক হিসেব অনুযায়ী ঢাকা শহরের শতকরা আশিভাগ বন্ধ ড্রেনের কারণ হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ।
প্রতিদিনের শত শত পলিথিন ব্যাগ পড়ে বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদীর নাব্যতা ব্যাপক হারে হ্রাস পাচ্ছে। আপনার এলাকার ড্রেনে গিয়ে দেখেন একমাত্র পলিথিনই পানি আটকাতে পারে !!
ছোট-বড় সব দোকানের মালিক নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যাগে ভরে পণ্যসামগ্রী ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।
>>এবার থেকে দোকানদারকে বলেন, ভাই আমাকে কাগজের প্যাকেট দেন, অথবা আপনি বাসা থেকে একটা ব্যাবস্থা করে নিয়ে যান, প্রয়োজনে সূতার ব্যাগ(আজকাল ফলের দোকানে দেওয়া হয়) ব্যবহার করুন। তবু পলিথিন ব্যাগ নয়।
তাছাড়া পাটের, কাপড়ের তৈরিকৃত ব্যাগ ব্যবহার করুন, এতে করে দেশীয় সামগ্রী ব্যবহারের প্রচলন গড়ে উঠবে।
শহরের সরকারি আবাসিক এলাকার এক বাসিন্দা বললেন, ‘অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় বাজার করি। ওই সময় কাছে ব্যাগ থাকে না। তাই দোকানিরা পলিথিন ব্যাগে করে খাদ্যসামগ্রী দিলে বাধ্য হয়ে নিতে হয়। ’কেন ভাই, বাসা থেকে বের হওয়ার সময় একটা ব্যাগ নিয়ে বের হন, ঝামেলা শেষ !!
জাতীয় সংসদে ২০১০ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইনটি পাস হয়। ওই আইনের ৬(ক) ধারা অনুযায়ী নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণের অপরাধে অনধিক দুই বছর কারাদণ্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
একইভাবে বিক্রি, বিক্রির জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অপরাধে অনধিক এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
পলিথিনের বিষাক্ত প্রভাব থেকে পরিবেশ ও নাগরিক জীবনকে রক্ষা করতে সাধারন জনগণেরই উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না, তারা এসে আমার, আপনার হাতের পলিথিন ব্যাগ ছিড়ে ফেলে দিবে না। বরং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করে কিছু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ পলিথিন জেলার হাটবাজারগুলোতে সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে থাকবে, প্রশাসন ঘুষ খেতে থাকবে, আর আমরা পরিবেশ নষ্ট করতে থাকবো !!! তাতে কারো কিছু যাবে আসবে না।
একমাত্র আপনি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার না ছাড়া পর্যন্ত কোন উপায় নেই। বিকল্প অন্য কিছু ব্যবহার করার প্রতয়্যে দৃঢ় মানসিকতা গড়ে তুলুন, ছোট ছোট পদক্ষেপ গ্রহন করে দেশটাকে বাঁচান, একদিন নতুন প্রজন্ম প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশ বলতে পারবে।
পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে নিজেকে সচেতন হতে হবে এবং অন্যদেরও সচেতন করে তুলতে হবে।
সোজা কথায়, পলিথিন নাকে চেপে দম বন্ধ হয়ে মরার আগে বলুন--------- পলিথিনকে "না " ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।