আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার লেখাটা যদি একটু কষ্ট পড়তেন , তাহলে খুব ভালো লাগতো .... একটু পড়বেন কি ? প্লিজ ...

ভালোকিছুর সন্ধানে নিরন্তর হেঁটে চলা পথের এক ক্লান্ত পথিক ... আমি।

এই ব্লগে আজ কয়েকজনের কমন্টেস পড়ে খুবই হতাশ হলাম। আমি বাংলাদেশের মতো একটি দেশে জন্ম নিয়েছি বলে গর্ব করি। গর্ব করি আমার মাতৃভাষা বাংলাকে নিয়ে, গর্ব করি আমাদের মুক্তিযুদ্বের স্বাধীনতাকে নিয়ে এবং এমন অনেক কিছু আছে গর্ব করার যা হয়তোবা বলে শেষ করতে পারবো না । ভালোকে ভালো এবং মন্দকে মন্দ বলার অধিকার আমার নিশ্চই আছে ।

লেখাপড়া করেছি মানুষ হওয়ার জন্যে অমানুষ হওয়ার জন্য নয়। লিখতে শিখেছি ভালো কিছু লিখার জন্য ,আর পড়তে শিখেছি ভালো কিছু পড়ার জন্য। এই ব্লগে আমরা যারা আসি তারা নিশ্চই কিছুটা হলেও লেখা পড়া করতে জানি বলেইতো আসি। তাই সামুতে আশা সকলের কাছে আমার কিছু প্রশ্ন রইলো , হয়তো অনেকের কাছে আমার প্রশ্নগুলো খারাপ লাগতেও পারে তাই যাদের কাছে খারাপ লাগবে তাদের কাছে আমার বিনীত ভাবে অনুরোধ একটু বুঝিয়ে বলবেন যে খারাপ লাগলো কেন? ১নং প্রশ্ন: আমাদের ১৯৭১ সালের মুক্তিযু্দ্ধের পাক্ হানাদারদের সাথে আজকের পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কি সম্পর্ক ? এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই । শুধু এটুকু জানি যে খেলার মধ্যে কোন দেশের ইতিহাস কিংবা ধর্ম বলতে কিছু নেই।

খেলাকে শুধু বিনোদনের মধ্যেই সীমাবব্ধ রাখা উচিত বলে আমি মনে করি । আমার মা-বাবা কিংবা গুরুজন যাদের কাছে আমি মুক্তিযু্দ্ধের গল্প এবং অনেক কিছুই শিখেছি তারা কখনো আমাকে বলেনি যে খেলার মধ্যে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাপোর্ট করো না কারণ তারা আমাদের সাথে যুব্ধ করে ছিলো । পাকিস্তান যদি ভালো খেলে এবং তাদের খেলা দেখে যদি আমার ভালো লাগে তাহলে আমি কেন পাকিস্তানের সাপোর্ট করতে পারবো না? আর যদি করি তাহলে কেনো আমাকে "পাকি" , রাজাকার ইত্যাদি বলে গালমন্দ করা হবে ? আমি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের একজন ভক্ত কারণ পাকিস্তানের ক্রিকেট দলের খেলা আমার ভালো লাগে । পাকিস্তান ক্রিকেট দলের শহীদ আফ্রিদি আমার ফেভারিট । তবে যখন বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের খেলা হয় তখন আর পাকিস্তানের সাপোর্ট করি না কারণ আমার দেশ আগে ।

২নং প্রশ্ন : ভারতের ক্রিকেট দলের সাথে ধর্ম কিংবা দালালির কি সম্পর্ক ? এই প্রশ্নের উত্তরও আমার জানা নেই । শুধু এটুকু জানি শচীন টেন্ডুলকার আমার সবচেয়ে ফেভারেট ব্যাটসম্যান , আমি সবসময় তার কাছে ভালো খেলা আশা করি তবে বাংলাদেশের সাথে যখন শচীন টেন্ডুলকার বেটিং করে তখন আমি মনের প্রানে চাই যেন শচীন টেন্ডুলকার ভালো খেলতে না পারে । ভারতের ক্রিকেট দলকে সাপোর্ট করি কারণ তাদের খেলা আমার ভালো লগে। তবে যখন বাংলাদেশের সাথে ভারতের খেলা হয় তখন আর ভারতকে সাপোর্ট করি না কারণ আমার দেশ আগে তারপরে অন্য কিছু । আজকের বিশ্বকাপ খেলায় জয়াবর্ধনের ব্যাটিং টা যেমন আনন্দদায়ক ছিলো তেমনি ছিলো গাম্ভীর আর ধোনীর ব্যাটিংটাও।

৩নং প্রশ্ন : যারা পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাপোর্ট করে তারা কেন ভারতের ক্রিকেট দলের সাপোর্ট করতে পারে না ? এই প্রশ্নের উত্তরটাও আমার জানা নেই । নিজের মাতৃভূমি বাংলাদেশ ব্যতীত অন্য যে কোন দেশকে সাপোর্ট করি তাদের খেলা দেখে আনন্দ পেতে এছাড়া অন্য কোন কারণে নয় । আমার ফেভারেটের তালিকায় আমার দেশ বাংলাদেশ সবার ওপরে। তারপর ভারতকে সাপোর্ট করি , ভারত আমার ফেভারেটের তালিকায় ২নং । এরপর ৩নং সিরিয়ালে রয়েছে পাকিস্তান ।

এরপর ৪নং তালিকায় রয়েছে শ্রীলংকা । এরপর ৫নং সিরিয়ালে রয়েছে অষ্ট্রেলিয়া । ৬নং পছন্দের তালিকায় রয়েছে নিউজিল্যান্ড । ৭নং অবস্তানে রয়েছে দ: আফ্রীকা । ৮নং সিরিয়ালে রয়েছে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ।

যারা খেলার মধ্যেও রাজনীতি করে তাদের খেলা না দেখাই ভালো । মানুষ খেলা দেখে আনন্দ করার জন্য রাজনীতি করার জন্য নয় । তাই খেলার মধ্যে ধর্ম ও রাজনীতি আনা মানে নিজের বিবেককে বিসর্জন দেয়া। ভারত ওয়াল্ড কাপ নিয়েছে তাই তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন এবং আমরাও এরকম একটি দিনের অধীর আশায় আছি যেদিন আমাদের টাইগাররাও আমাদেরকে এরকম একটি আনন্দ করার সময় এনে দেবে । আজকে আসলে আমাদের হারা জেতার কিছু ছিলো না তবুও প্রকৃতই ভালো লেগেছে খেলাটা দেখে ।

যেই জিতুক কাপ থাকছে এই এশিয়াতেই। জয়ী ভারত । তাই স্বাভাবতই অভিনন্দন সেই টিমকে। আর শ্রীলংকার প্রতিও রইলো সহানুভূতি। যা ছিল অপূর্ণ তাও আজ আর অপূর্ণ রইলনা শচীন টেন্ডুলকারের।

চাওয়া-পাওয়ার ঝুলি আজ কানায় কানায় পূর্ণ তাঁর। আজ যদি এটা পূর্ণ না হত তাহলে শচীনের ক্রিকেট জীবনের একটা না পাওয়া থেকেই যেতো। আজ শচীন টেন্ডুলকারের ভক্তরা তাঁর জন্য আরও বেশি গর্বিত। তিনি ২০১১এর আই সি সি বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করে হাতে নিয়েছেন। এই মহান কিংবদন্তী দলকে বহুবার জিতিয়েছেন, আজ তাঁর সতীর্থরা তাঁকে, তাঁর দলকে জিতিয়েছেন।

ভারত ক্রিকেট দলের জন্য তাঁর অবদানকে দলের অন্যরাও অসাধারণ ভাবে মনে রাখার মত করে দিয়েছেন, অাজ ভারত ক্রিকেট দলের সবার চোখে মুখে ছিল যে শুধুই শচীনের টেন্ডুলকারের নাম। আজকের এই দিনে শচীনকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন আর অভিবাদন এবং মুত্তিয়া মুরালিধরনকেও জানাই আন্তরিক বিদায় সম্ভাষণ, কারণ তাঁর আজকে ছিলো তাঁর জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা। কাপটা তারও দরকার ছিল, শেষ দিনটা ভাল ভাবে উদযাপনের জন্য। তবে এই কাপটার জন্য ক্ষুধাটা বেশি ছিল অবশ্যই শচীন টেন্ডুলকারের। কারণ মুরালি তো শ্রীলঙ্কার প্রথম বিশকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেনই ।

গুডলাক বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে .... তোমদের জন্য আমরাও আশায় আছি । যেদিন আমরাও বিশ্বকাপ জয়ের উল্লাসে মেতে উঠবো ............ অনেক কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমার লেখার যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে মাফ করে দেবেন, কারণ ভুলতো মানুষেরই হয়ে থাকে । আর কেউ যদি কোন রকমের কষ্ট পেয়ে থাকেন দয়া করে জানাবেন। সবাই ভালো থাকুন ,সুখে থকুন এবং সুষ্থ্য থাকুন এই কামনায় আজ এখানেই শেষ করছি ।

ধন্যবাদ সবাইকে .....


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।