আমার লেখা পড়ে..................
পাকশী (ঈশ্বরদী, পাবনা ) ।
সারাদিন ধরেই বৃষ্টি ছিল । রাত হয়েছে বেশ কিছুক্ষন আগেই । ঠান্ডা বাতাস আর ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে পাকশীর বিখ্যাত মুক্তিযুদ্ধা কালাম প্রফেস্যার (অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত প্রাক্তন সহঃ অধ্যক্ষ পাকশী রেলওয়ে কলেজ) ও আরও দুজন বাইকে করে পৌছে যাই বিখ্যাত বি.বি.সি বাজারের কাছে মুক্তিযুদ্ধা হায়দার আলী (৬৫) কাকার বাড়ী । বাড়ী বলতে “আসমানী” কবিতার আসমানীদের বাড়ীর মত বাড়ী ।
ভেন্না পাতার বদলে পাট খড়ির ঘর । বৃষ্টি তাদের ঘরে, খাটে ঘুমাতে মনে হয় পছন্দ করে । তাই ঘরে বৃষ্টির আনাগোনা সাধারণ ব্যাপার। বারান্দায় শুয়ে আছে সাদা কাশফুল রঙা চুল নিয়ে হায়দার কাকার মা । স্ট্রোক করে শয্যাশায়ী ।
কাউকে চিন্তে পারেন না । ঘরে যে ঘুমাবেন সেই জায়গাও নেই । চিকিৎসা সে আবার কি জিনিষ? যে খানে পেটের খাবারই জোটে না সেইখানে আবার চিকিৎসা !
হায়দার কাকা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পান দু হাজার টাকা । এক ছেলে মাসে মাসে দেয় দুহাজার টাকা । মোট চারহাজার টাকায় আট জনের সংসার ।
সংসার আরও বড় ছিল । বড় ছেলে স্ট্রোকে মারা গেছে বছর চারেক আগে । ছেলের বউ তার দুবছর পর । তাদের বড় ছেলে এবার এস.এস.সি পরীক্ষা দেবে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে, স্কুলের রোল নং- ৯, মেয়ে চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ে, রোল- ৭ ।
হায়দার কাকার আরেক ছেলে আত্নহত্যা করে তাও দুবছর হবে ।
ছোট ছেলে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে পড়ে পদার্থ বিজ্ঞানে । টাকার অভাবে নিয়মিত ক্লাশ করা হয় না । টিউশানি করে তার মাসে আয় আটশ’ টাকা । তার সাথে মুক্তিযুদ্ধা বাবার মত লেবারের কাজ করে কোন মতে চলে পড়ালেখার খরচ। যদিও কাজ পাওয়াই যায় না ।
হায়দার কাকার তার দুর্দশার কথা জানাতে ইতস্ততা বোধ করছিলেন । তিনি প্রতিদিন কুলি,রাজমিস্ত্রী কাজের সন্ধানে বের হন । ছোট খুবই ছোট শহর বলে মাসে সাত আট দিনের বেশি কাজ পান না । শরীরও ভালো না । ৬৫ বছর বয়স বলে কাজেও নিতে চায় না মানুষজন ।
আমরা কি তার জন্য কিছু করতে পারি ? এর আগে দিলীপ কাকার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন অনেকেই । মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে যে ঋণ আমাদের তার একটু শোধ করার সুযোগ নিয়েছিলেন অনেকেই ।
এইবার?!পাকশী (ঈশ্বরদী, পাবনা ) ।
সারাদিন ধরেই বৃষ্টি ছিল । রাত হয়েছে বেশ কিছুক্ষন আগেই ।
ঠান্ডা বাতাস আর ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে পাকশীর বিখ্যাত মুক্তিযুদ্ধা কালাম প্রফেস্যার (অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত প্রাক্তন সহঃ অধ্যক্ষ পাকশী রেলওয়ে কলেজ) ও আরও দুজন বাইকে করে পৌছে যাই বিখ্যাত বি.বি.সি বাজারের কাছে মুক্তিযুদ্ধা হায়দার আলী (৬৫) কাকার বাড়ী । বাড়ী বলতে “আসমানী” কবিতার আসমানীদের বাড়ীর মত বাড়ী । ভেন্না পাতার বদলে পাট খড়ির ঘর । বৃষ্টি তাদের ঘরে, খাটে ঘুমাতে মনে হয় পছন্দ করে । তাই ঘরে বৃষ্টির আনাগোনা সাধারণ ব্যাপার।
বারান্দায় শুয়ে আছে সাদা কাশফুল রঙা চুল নিয়ে হায়দার কাকার মা । স্ট্রোক করে শয্যাশায়ী । কাউকে চিন্তে পারেন না । ঘরে যে ঘুমাবেন সেই জায়গাও নেই । চিকিৎসা সে আবার কি জিনিষ? যে খানে পেটের খাবারই জোটে না সেইখানে আবার চিকিৎসা !
হায়দার কাকা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পান দু হাজার টাকা ।
এক ছেলে মাসে মাসে দেয় দুহাজার টাকা । মোট চারহাজার টাকায় আট জনের সংসার । সংসার আরও বড় ছিল । বড় ছেলে স্ট্রোকে মারা গেছে বছর চারেক আগে । ছেলের বউ তার দুবছর পর ।
তাদের বড় ছেলে এবার এস.এস.সি পরীক্ষা দেবে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে, স্কুলের রোল নং- ৯, মেয়ে চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ে, রোল- ৭ ।
হায়দার কাকার আরেক ছেলে আত্নহত্যা করে তাও দুবছর হবে । ছোট ছেলে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে পড়ে পদার্থ বিজ্ঞানে । টাকার অভাবে নিয়মিত ক্লাশ করা হয় না । টিউশানি করে তার মাসে আয় আটশ’ টাকা ।
তার সাথে মুক্তিযুদ্ধা বাবার মত লেবারের কাজ করে কোন মতে চলে পড়ালেখার খরচ। যদিও কাজ পাওয়াই যায় না । হায়দার কাকার তার দুর্দশার কথা জানাতে ইতস্ততা বোধ করছিলেন । তিনি প্রতিদিন কুলি,রাজমিস্ত্রী কাজের সন্ধানে বের হন । ছোট খুবই ছোট শহর বলে মাসে সাত আট দিনের বেশি কাজ পান না ।
শরীরও ভালো না । ৬৫ বছর বয়স বলে কাজেও নিতে চায় না মানুষজন ।
আমরা কি তার জন্য কিছু করতে পারি ? এর আগে দিলীপ কাকার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন অনেকেই । মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে যে ঋণ আমাদের তার একটু শোধ করার সুযোগ নিয়েছিলেন অনেকেই ।
এইবার?!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।