হাঁজাঁরঁ বঁছঁরঁ ধঁরেঁ শুঁধুঁ দেঁখেঁইঁ আঁসঁলাঁমঁ, এঁখঁনঁ সঁমঁয়ঁ হঁয়েঁছেঁ বঁলাঁরঁ.... আজ বাংলাদেশের রাজনীতি এমন একটা অবস্থায় গিয়ে পৌছেছে যে, কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা সেটাই বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোন রাজনৈতিক দলের কথা আর বিশ্বাস করতে মন সায় দেয় না। এই অবিশ্বাসের মাত্রা এখন এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে ত্রিশ লক্ষ প্রানের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এই মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসও বিকৃতির চূড়ান্ত রুপে এসে পৌছেছে। কেউ বলে তো এইটা ঠিক, আর কেউ বলে তা ডাহা মিথ্যা। এভাবে প্রতি ৫ বছর পরপর আমরা হারিয়ে ফেলেছি আমাদের রক্ত দিয়ে কেনা সত্যকে।
আমাকে প্রতিনিয়ত কুঁড়ে কুঁড়ে খেতো, কি ঘটেছিলো সেইসব দিনগুলোতে; সেই সত্য অনুসন্ধান করার জন্য। আর তারই এক প্রমাণ হিসেবে আজ আপনাদের সামনে নিয়ে আসলাম স্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়া এক জলজ্যান্ত প্রমাণকে।
দৈনিক ডন পত্রিকা-১ম পাতা
বড় করে দেখার জন্য আর ডাউনলোড করার জন্য উপরে দেয়া লিঙ্কটাতে ক্লিক করুন, যেখানে আছে ১৯৭১ সালের ১৭ই ডিসেম্বর প্রকাশিত হওয়া পাকিস্তানী পত্রিকা কায়েদে-আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর The Daily Dawn এর প্রথম পাতা।
কিভাবে তারা প্রকাশ করেছিলো, রক্তস্নাত ১৬ই ডিসেম্বরের বিজয়কে? কিভাবে তারা দেখতো এই মুক্তিযুদ্ধকে? কিভাবে তারা যুদ্ধের ব্যয়ভার বহন করতো?? কি থাকতো তাদের পত্রিকায়?? তার এক সংক্ষিপ্ত কথন এখানে তুলে ধরবো। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে এই ডকুমেন্টগুলো আপনার অনুসন্ধিৎসু মনের খোরাক মেটাতে পারবে এ আমার বিশ্বাস।
তারা পত্রিকার শিরোনাম করেছে “Fighting ends in East wings: PAF (Pakistan Arms Forces) hits in west”
চেয়ে দেখুন, বাংলাদেশ নামক দেশের জন্মের খবর কতোটা সাধারণ মানের শিরোনামে শেষ করেছে !!
আরও অবাক করার মত ব্যাপার, নিউজ ফিডে মাত্র এক লাইন দিয়ে পুরো খবরের বিবৃতি শেষ করেছে কতটা তাচ্ছিল্যকরভাবে...!!! একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হলো ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত বন্যায়, তার নিউজ মাত্র এক লাইন !!
Rawalpindi, Dec 16: Latest reports indicate that following an arrangement between the local commanders of India and Pakistan in the Eastern theatre, fighting has ceased in East Pakistan and Indian toops have entered Dacca.
ব্যস এইটুকুই !! (শেম অন ইউ, ব্লাডি পাকিস্তান)
বহু ডকুমেন্ট ঘাটাঘাটি করে একটা ব্যাপার ক্লিয়ার হয়েছি যে, পশ্চিম পাকিস্তানীরা এই যুদ্ধকে ধর্মযুদ্ধ (জেহাদ) হিসেবে দেখতো। এই পত্রিকাই তার প্রমাণ। (দরকার হলে আরও প্রমাণ দিবো। ) তারা বিভিন্ন জেহাদী ধর্মীয় উপদেশ আর জেহাদের নামে ফান্ড কালেক্ট করায় উদ্ভুদকরনসহ বিভিন্ন কিছু পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতো। তারা জনগনের মনে এই ধারনার জন্ম দেয়ার চেষ্টা করতো পশ্চিম পাকিস্তানীদের সাহায্য করা মানেই সর্বশক্তিমান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
তারা মনে করতো এই যুদ্ধে জিততে না পারলে পুর্ব পাকিস্তান হয়তো ইন্ডিয়ার অঙ্গরাজ্য হয়ে যাবে !!
ফান্ড কালেক্ট করা আর ধর্মীয় উপদেশবানীর প্রমানঃ
আজ আর না। যদি আপনাদের এই ব্যাপারে বেশ আগ্রহ পেয়ে থাকি, তাহলে আরও ডকুমেন্ট নিয়ে নতুন পোস্ট দিবো। সবাই ভালো থাকুন, আর সত্যকে জানার চেষ্টা করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।