আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কারেন্ট আছে নাকি নাই?! আয় সরকার নামাই! (শিরোনামে বিভ্রান্ত হবেন না মশাই!)

কাঁচাপাকা রাস্তার ঠিক মাঝামাঝি, সাইকেলে বসে ছিল নৌকার মাঝি। গত ৩১ মার্চ সারা বিশ্বে পালিত হয়েছে আর্থ আওয়ার। শক্তি সঞ্চয় এবং পরিবেশ বিপর্যয় সংক্রান্ত সচেতনা বৃদ্ধিতেই নেয়া এই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে এক ঘন্টার জন্য ইলেক্ট্রিসিটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। আসি বাংলাদেশের কথায়, অনেক পেইজ এ দেখলাম এটা নিয়ে হাসি তামাশা করা হচ্ছে, কারন এই দেশে তো ইলেক্ট্রিসিটি থাকেই না, আমরা তো প্রতিদিনই আর্থ আওয়ার পালন করি! বিদ্যুতের অভাব নিয়ে প্রতিনিয়ত আমরা গালিগালাজ করছি সরকারকে। চিন্তা করে দেখুন গত ১০ বছরে বিদ্যুত উৎপাদন বেড়েছে অনেকগুনে কিন্তু বিদ্যুতের ব্যাবহার কি পরিমানে বেড়েছে সেটা চিন্তা করেছেন? আগ্রাসী চাহিদার সাথে পাল্লা দিতে পারছে না উৎপাদন তাই বাড়ছে খরচ, বাড়ছে দাম অথচ কাটছে না চাহিদা।

আমাদের কিছু বেসিক সমস্যা আছে সেটা হল সমাধানের পথ না খুজে আমরা একে অন্যের উপর গালিগালাজ আর দোষারোপ করতে খুবই সিদ্ধহস্ত। তাই সমস্যার বৃত্তে আমরা আজীবন ঘুরপাক খাই, সমাধান হয় না কখনো। অবস্থা এমন যে "আইজ গরম বেশি পড়ছে, ধুর শালা সরকারের দোষ। বৃষ্টি হইতাছে না ধুর শালা সরকারের দোষ। " আসুন সরকার কে দোষারোপ না দিয়ে আমরা নিজেরাই সচেতন হই।

আমাদের মূল্যবান সম্পদ আমরাই রক্ষা করতে পারি। খুব ছোট ছোট যেসব কাজ করে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক কমিয়ে ফেলা যায় আসুন দেখে নেই সেগুলো---- ১) আসুন সাধারন বাল্ব এবং টিউব লাইট এর পরিবর্তে এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যাবহার করি। ২) পড়াশুনা বা কম্পিউটার চালানো অথবা এ ধরনের টেবিল বেজড কাজের জন্য সারা ঘরে আলোর দরকার নেই, আসুন টেবিল ল্যাম্প ব্যাবহার করি। ৩) ঘর থেকে বের হবার সময় লাইট, ফ্যান, এসি ইত্যাদি বন্ধ করি (সেটা এক মিনিট এর জন্য হলেও)। ৪) কম্পিউটার যখন ব্যাবহার করছেন না তখন সেটিকে হয় বন্ধ করুন অথবা স্লিপ মুডে রাখুন, ঘুমানোর সময় এসি স্লিপ মুডে রাখুন।

৫) যেসব ডিভাইস চার্জ করতে হয় যেমন, মোবাইল, ক্যামেরা ইত্যাদি সেগুলোর জন্য ইউএসবি চার্জার ব্যাবহার করুন, যখন কম্পিউটারে কাজ করছেন। ৬) বাসা থেকে বের হবার সময় বাসার সব ধরনের বিদ্যুতের ব্যাবহার বন্ধ আছে কিনা দেখে নিন। ৭) টিভি, রেডিও, মিউজিক সিস্টেম ইত্যাদি যখন ব্যাবহার করছেন তা তখন পুরোপুরি বন্ধ রাখুন। ৮) দিনের বেলায় দরজা জানালা সব খোলা রেখে সূর্যের আলোর সর্বোচ্চ ব্যাবহার নিশ্চিত করুন। অযথা দিনের বেলায় লাইট জালানো থেকে বিরত থাকুন।

৯) আসুন ডেস্ক বেজড কাজের জন্য সোলার ল্যাম্প, মোবাইল চার্জের জন্য সোলার চার্জার ইত্যাদি ব্যাবহার করি। ৯) রাস্তায় ইদানিং প্রচুর ব্যাটারি চালিত রিকশা, মটরসাইকেল, ইত্যাদি দেখা যায়। এসব যানবাহন দেশের বিদ্যুতের চাহিদায় অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে। আসুন এগুলো বর্জন করি এবং এগুলোর চলাচল নিষিদ্ধ করার জন্য আন্দোলন গড়ে তুলি। ১০) রান্না করার জন্য রাইস কুকার, ইলেকট্রিক ওভেন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ইত্যাদির ব্যাবহার অনেক বেড়ে গেছে।

আসুন এগুলোর যতটা সম্ভব সীমিত ব্যাবহার করি। ১১) ফ্রিজ এর দরজা যতক্ষন খোলা রাখবেন ততক্ষন অতিরিক্ত ইলেক্ট্রিসিটি খরচ হবে তাই ফ্রিজ এর দরজার দ্রুত বন্ধ করুন। কাজগুলো অনেক ছোট ছোট মনে হলেও সবাই মিলে করলে বিদ্যুতের উপর অনেকখানি চাপ কমানো সম্ভব। আসুন এই কাজগুলো করে দেশের সম্পদ রক্ষা করি। সোউজন্যেঃ ফেইসবুক পেইজ সুখবর ভালো লাগলে পেইজ এর মেসেজটি ছড়িয়ে দিন।

আসুন সচেতনতা গড়ে তুলি, নিজের দেশকে নিজেরাই রক্ষা করি।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।