নিঝুম রাতে, একটি টিনের ঘরে একা, বাইরে খুব বৃষ্টি হচ্ছে , বৃষ্টির শব্দ আমাকে জাগিয়ে রাখে অনেকক্ষন ইশ্বরের হাতে ইদানিং কোন কাজ কাম নাই, বসিয়া বসিয়া পান চিবানো আর স্বর্গদূতদের দিয়া হাত-পা টেপানো। কিয়ৎকাল বাদে ইশ্বরের ভাবনা হইল স্বর্গ পরিদর্শন করিবেন । ঘুরিতে ঘুরিতে কিবলিশের দুয়ারের সামনে আসিয়া দেখিলেন তাহার আঙ্গিনা জুড়িয়া কেবল বাশ আর বাশ । তিনি তক্ষনাৎ দরবারে আসিয়া জোরসে হাক ছাড়িলেন, কে কোথায় আছিস?
সে গুরুগম্বীর ডাক শুনিয়া কিবলিস বিছানা হইতে লুঙ্গি ধরিয়া, কিবরিল হুরা পানের অত্যাধিক্য টলিতে টলিতে আর কযেকজন চোখ ডলিতে ডলিতে দরবারে আসিয়া উপস্থিত হইল ।
ইশ্বর প্রত্যেকের চেহারার দিকে তাকাইয়া কহিল।
খাইয়া-দাইয়া চেহারা তো খাসির ন্যায় করিয়া তুলিছ বলি কাম কাজ কিছু করিবার ইচ্ছা আছে।
কিবলিশ মিনমিনাইয়া কহিল কাম-কার্যই তো সাধন করিতেছিলাম না ডাকিলে এতক্ষনে ......
কিবরিল কিবলিসের পাশে দাড়াইয়া ছিল কিছু না বুঝিয়াই সে চেচাইয়া কহিল প্রভু কিবলিশ ব্যাটা মিনমিনাই যেন কি কইল।
কিবলিশ ইশ্বরের দিকে সদ্যজাত শিশুর ন্যায় তাকাইয়া কহিল, প্রভু আমি তো ইয়ে মানে
ইশ্বর গর্জাইয়া উঠিলেন ইয়ে মানে কিরে হারামজাদা, যা বলিবার সোজাসুজি বল। সারা স্বর্গ জুড়িয়া এত বাশ কোথেক্কে আসিল?
কিবলিশ কহিল মানে এগুলো আমার নতুন একটা স্কিমের জন্য।
ইশ্বর কিছু বলিবার পূর্বে স্বর্গদূত গন গুন গুন শুরু করিল ।
গতবার কিবলিসের নিদ্রা কুসুম তেলের স্কিমে অংশ লইয়া অর্ধেক স্বর্গদুতের চুল পরিয়া গিয়াছে । কিবরিলের নতুন প্রেম তখন জমিয়া উঠিয়াছিল যেই তাহার চুল পড়া শুরু হইল অমনি হুররা ভাগিল।
ইশ্বর একবার কিবলিসের দিকে আর একবার স্বর্গ দূতদের দিকে তাকাইয়া কহিল । ব্যাটা মশ্করা পাইয়াছো গতবার তোমার তেলের স্কিম লইয়া গোটা দশেক কমপ্লিন জমা পরিয়াছে।
কিবলিশ একটা ম্যানা মার্কা হাসি দিয়া কহিল ।
ইয়ে মানে কর্তা, এই স্কিমটা আসলে ওইটার মত হবে না। এই বাশগুলা তেলেস মাতি ইহা যাহাকে দেওয়া হইবে তাহার কন্ঠ বাশির ন্যায় সুমধুর হইবে ।
কিবরিল চেচাইয়া কহিল কর্তা, পুরা মিছা কথা । এ ওর বাশ বেচিবার মতলব । যদি তাই হইবে তো ওর কন্ঠ গাধার ন্যায় বাজিতেছে কেন।
কিবলিশ চেচাইয়া কহিল কর্তা এই কন্ঠ কেবল সেই শুনিতে পারিবে যাকে এই বাশ দেওয়া হইবে। যে এই বাশ খরিদ করিবে তাহার সামনে এবং পেছনের জনকে এই বাশ খরিদ করিতে হইবে। যাহারা এই বাশ খরিদ করিবে তাহারা প্রতোক্য ব্যাষ্টিনি হইয়া যাবে। তাহা হইলে তাদের মধ্যে বাশ মারা নেটওয়ার্ক স্থাপিত হইবে। কিবলিশ বিজ্ঞের ন্যায় মাথা ঝাকাইয়া কহিল কেবল বুদ্ধিমানেরাই এই বাশ খরিদ করিতে পারিবে।
ইশ্বর কহিলেন হমম, ভাবিবার বিষয়।
ইশ্বর ভাবিতে থাকিলেন আর কিবলিশ তাহার বাশ মারা প্রজেক্ট শুরু করিতে লাগিল। কেহ কেহ নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবিয়া বাশ মারা খাইতে লাগিল।
আর কিবলিশ দরজা বন্ধ করিয়া তাহারা কাম-কার্য চালাইতে লাগিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।