আমি বাংলাদেশের দালাল|
বাঁশ অতি প্রযোজনীয় একটি উদ্ভিদ বিশেষ। এর একহারা ছিপছিপে গড়নের কারনে একে ভেঙ্গে/ কেটে বিভিন্ন উপায়ে বৃহত থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবহারও করা হয়। মাঝে মাঝে আমরা এর অপব্যবহারের কথাও শুনতে পাই। যেমনঃ রাকিব সাহেব সলিম সাহেবকে বাঁশ দিয়েছে। আসলে এটা কাউকে ঠকানোর অর্থে ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু আমরা আমজনতা প্রতিনিয়তই আমাদের গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের কাছ থেকে যে বাঁশ খাচ্ছি বা নিচ্ছি তা কিন্তু কেউ কখনো স্বীকার করি না। দেশে দুইটা দল তৈরি হয়ে গেছে। একদল প্রজাতন্ত্র যে বাঁশ আমাদের দেয় সেই বাঁশে তাজা মবিল ঢালে আর অন্য দল সেই বাঁশ ধরে নাড়া-চাড়া করে। কেউই বাঁশ বের করার চিন্তা করে না। জনগনকে বাশের কাছে নিয়ে দুইদলই মুগুর হাতে নিয়ে বসে থাকে।
বাধ্য হয়ে আমার আম জনতারা আমাদের জায়গামতো বাঁশ ভরে নিই। বাঁশ দেয়ার এই রীতি চালু করেন আমাদের জাতীয় প্রেমিক, বিশ্ববেহায়া খ্যাত এরশাদ কাকু। তখণ অবশ্য বাঁশ এতো বড় সাইজ ছিলো না। কঞ্চির সাইজের বাঁশ জনগনকে দেয়া হতো। চিকন বাঁশ খেয়ে জনগন সহজেই তাদের কাজ কর্ম চালিয়ে যেতে পারত।
তারপর হলো আন্দোলন। বাঁশ খাওয়ার আন্দোলন। চিকন বাঁশ খেলে হবে না, মোটা বাঁশ খেতে হবে। জনগন ভাবল চিকন বাঁশ তো ৯ বছর খেলাম, আর না। চিকন বাঁশের কঞ্চিরা খুব জ্বালায়।
এইবার মোটা বাঁশ খাবো। মোটা বাশেঁর ভিতের ফাঁপা থাকে। ফলে সহজেই আলো বাতাস প্রবশে করবে। তারপর আন্দোলনের ফল স্বরুপ আসলো মুলি বাঁশ এন্ড কোম্পানি। তারাই প্রথম দেশে গনতান্ত্রিক উপায়ে মুলি বাঁশ সাপ্লাই দিল পুরা ৫ বছর।
এরপর আসলো মাহাঁল বাঁশ এন্ড কোম্পানী। তারাও ৫ বছর মাহাঁল বাঁশ ভইরে দিল জনগনকে। এই প্রজাতির বাঁশ আবার একটু আকাঁ-বাঁকা হয়। তাই জনগন ভাবল এই বাঁশ নেয়া সুবিধাজনক না। তখন আবার পুর্বের মুলি বাঁশ এন্ড কোম্পানি নতুন নামে বরাক বাঁশ এন্ড কোম্পানি নামে আত্মপ্রকাশ করলো এবং তারা বাঁশ প্রদানে বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করলো।
পাঁচ বছর এই বাঁশ খেতে খেতে জনগনের অবস্খা তো হয়ে ত্রাহি মধুসুধন। এই বাশেঁর সমান মোটা প্রায় কণ্চি। দুইটাই সমান তালে যায়। জনগন ভাবলো এই বাঁশ আর খাওয়া যাবে না। একটা পরিবর্তন দরকার।
এই বার সাতঘাটের পানি খেয়ে সর্বশেষ দায়িত্ব পেল গজারি এন্ড কোম্পানি। তারা পূর্বের বাঁশ কোম্পানি গুলোকে আস্ত গজারি গাছ দেওয়া শুরু করলো। দুই কোম্পানির চেয়্যারম্যান অসুস্ত্য হয়ে হাসপাতাল+জেল বরন করলো্। গজারি এন্ড কোম্পানি জনগনের বাঁশ খুলতে চেয়েছিলো। এমন সময় বিশ্ব মাতব্বরের বললো, ওহে গজারি কোম্পানী, তুমি বাঁশ খোলার কেডা? গজারি দেওয়া বন্ধ করো, বাঁশ খূলা বন্ধ করো।
না হলে আমরা তোমাদের পাতিত দেয়া বন্ধ করে দেবো। অবশেষে চাপের মুখে গজারি এন্ড কোম্পানী সরে গিয়ে জাওয়া বাঁশ কোম্পানীকে দায়িত্ব দিল। জাওয়া বাঁশ কোম্পানী জনগনকে বোঝালো, এইবার আমরা আপনাদেরকে ডিজিটালভাবে ডিজিটাল বাঁশ ভরে দেবো। একটুও লাগবে না। আপনারা কোন চিন্তা করবেন না।
সেভাবেই চলছিলো। কিন্তু জনগন বোঝতে পারে নাই যে রাঙ্গি-জাওয়া বাঁশ কতো মোটা আর কত লম্বা হয়। তার গিট কত দুরে দুরে। অল্প কয়েকমাস এই বাঁশ খেয়েই জনগন কাহিল হয়ে পড়ল। কিন্তু কাহিল হলে কি হবে? তারা তো বাঁশ দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছে ৫ বছরের জন্য।
তাদের ৫ বছর পারও করেছে। এখন তারা নতুনভাবে আবারো ৫ বছরের জন্য নবায়ন করতেছে। কিন্তু আমরা এখনো জানলাম না যে এইবার আমরা কোন জাতের বাঁশ খাবো। হে, বিধাতা তুমি গজারি এন্ড কোম্পানিকে আবার নাজিল করো এই বাংলার মাটিতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।