গথ বাধা নিয়ম চাই না, চাই পরিবর্তন, আমূল পরিবর্তন...
বাঁশ
কম বেশ আমরা সবাই এর সাথে পরিচিত। এর একটা বিশেষত্ত হল আমরা কেউই এটা খেতে চাই না, শুধু দিতে চাই। এই একটা ক্ষেত্রে অন্তত মানুষ মহান বলা যেতে পারে।
আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা, সকলেই আমরা অল্প বিস্তর বাঁশ খাওয়ার অভিজ্ঞতা রাখি। বাঁশ দিতেও কম যাই না।
বন্ধু বন্ধুকে, ভাই ভাইকে, ভাই বোনকে, বোন ভাইকে, বোন বোনকে, ছেলে বাবাকে, বাবা ছেলেকে অর্থাৎ সবাই সবাইকে বাঁশ দিতে বেশ আনন্দ পায়।
কষ্ঠ একটাই, যখন শিক্ষক ছাত্রকে বাঁশ দেন। কারন পৃথিবীর ঐ একটা ক্ষেত্র নিউটনের গতির ৩য় সুত্র মেনে চলে না। মানে ছাত্র কখনো শিক্ষককে বাঁশ দিতে পারে না, ইনশা-আল্লাহ ভবিষ্যতেও পারবে না।
(যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে গতির ৩য় সুত্রের সংশোধনের আবেদন রইল)
সম্প্রতি যে বাঁশটা খেলাম, ভার্সিটি লাইফে এরকম বাঁশ খাইনি।
বাঁশের নাম ছিল জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং – ১ । . বাঁশ যে খেয়েছি সেটা একদম কাগজে কলমে লিখে দিয়ে এসেছি। এই বাঁশ থেকে সঞ্জয়, মুশাররফ, নিয়াজ, হুসাইন, মাইদুল, রাহেল ভাই, আবিদ ভাই, তাশভিক ভাই, সঞ্জয় দা, সৌমিত্র দা মোটামুটি আমরা কেউই রেহাই পাইনি। একমাত্র নিতু ছাড়া। আসলেই তুই একটা চিজ (তু চিজ বাড়ি হে মাস্ত)।
. পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকায় বেঁচে গেলি বাঁশ খাওয়া থেকে। তর মত বাঁশ এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন নারী এ ধরায় আরো ৩/৪ টা দরকার। চিন্তা করিস না, আমরা অনেক মজা করে বাঁশ খেয়ে এঞ্জয় করেছি।
শাবিপ্রবির গনিত ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর সুজয় চক্রবর্তী স্যারের বিখ্যাত একটা উক্তি মনে পড়ছে বার বার। উক্তি না বলে ডায়লগ বললে ভালো শুনাবে, বিখ্যাত ডায়লগ।
“এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে”।
কালের বিবর্তনে উক্তিটি পরিবর্তিত করে কে যেন বার বার আমার কানের কাছে এসে বলছে – “এই বাঁশ বাঁশ নয় আরো বাঁশ আছে”।
হ্যাঁ। এখনো বাকি আছে। এ তো কেবল একটা।
বাকি আছে আর.সি.সি – ১, স্ট্রাকচারাল এনালাইসিস – ১, এনভাইরনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং – ১, হাইড্রোলজি নামক সুবিশাল বাঁশের বাগান। এই সব বাঁশ আগামী ১ তারিখের মধ্যে আমাদের কিছুটা জোর করে হলেও খাওয়ানো হবে। আর আমরাও বাঁশ খাবো জেনেও বন্যা দুর্গত এলাকার অসহায় রিলিফ প্রার্থীদের মত লাইন ধরে বাঁশ খেতে যাব।
খাইলেও পস্তাইবেন না খাইলেও পস্তাইবেন টাইপ পরিস্থিতিতে পড়ে আমরা খেয়ে পস্তানোকে বুদ্ধিমানের কাজ হিসেবে গন্য করছি। হে বিধাতা, এ কেমন বুদ্ধিমত্তা আমাদের।
বাঁশ খাওয়ার হার প্রত্যেকের বুদ্ধিমত্তার ব্যস্তানুপাতিক। অর্থাৎ সহজ কথায় যে যত বুদ্ধিমান সে তত কম বাঁশ খায়।
গাণিতিকভাবে,
বুদ্ধি = ১/বাঁশ খাওয়া
শিক্ষক মাত্রই ছাত্রদের কাছ থেকে কোন বাঁশ খান না। কেবল শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বাঁশ খাওয়া = ০
সুতরাং, বুদ্ধি = ১/০ = অসীম
অর্থাৎ, শিক্ষক হচ্ছেন অসীম বুদ্ধিমত্তার অধিকারী।
একইভাবে হিসাব করলে পাওয়া যায়, ছাত্রদের বুদ্ধিমত্তা শূন্যের অতি নিকটবর্তী, টেন্ডস টু জিরো।
নাও আই এম চিন্তিং মানে আমি এখন চিন্তা করছি, কবে ছাত্রত্ত শেষ হবে আর কিছুটা বুদ্ধিমান হব।
দেখা হবে, কথা হবে, এরকম আরো পোস্টে। পরবর্তী পোস্টের ঠিক আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আর আপনাদের দুয়ায় আমাকে মনে রাখবেন। বুঝতেই পারছেন এই অসহায়ের এখন পরীক্ষা চলছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।