পুরো পৃথিবীটাই মায়ার বেড়াজালে আবদ্ধ। এই মায়ার বেড়াজালের ভীতরেই রয়েছে সকল সুখ-দুঃখ । এই বেড়াজাল এর বাইরে যেতে ইচ্ছে করে। কারন এর বাইরে সুখ আছে কিনা জানি না তবুও যেতে ইচ্ছে করে এইভেবে যে অন্তত সেখানে কোন দুঃখ তো নেই । ইসলামে আছে যে ,হাতের বদলে হাত, চোখের বদলে চোখ, হত্যার বদলে হত্যা।
সেইটার সাথে তাল মিলাইতেই কিনা জানি না (শুধু শুধু ইসলাম টানলাম এই জিনিষ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই দেয় ), আমারা অনেকেই আছি যারা “বাঁশ” এর বদলে “বাঁশ” দেওয়ায় বিশ্বাসী। আরেকজনের দেওয়া বাঁশ আমারা খুব যত্ন করে তুলে রাখি, পরে সুদসহ খুব আয়োজন করেই আবার তাকে ফিরত দেই। এতে পাই একধরনের আনন্দ। আমারা যারা এই কাজটি করে থাকি তারা ভাল কিছু উপহার দেওয়াতে সেই আনন্দ পাই না যা বাঁশ দিয়ে পেয়ে থাকি। নিজের খুব বিপদের মুহূর্তেই যে সেই বাঁশ সুদসহ আবার আমার কাছেই ফিরে আসবে এবং সেই বাঁশের ভার বহন করতে যে আমরা তখন অপারগ থাকব তা ভুলে যাই।
যারা অধিক বাঁশ দানে পটু তারা সেই বাঁশও কাঁধে করে নিয়ে যান বাসায় এবং সুযোগ বুঝে সুদের সাথে বকশিস দিয়ে বাঁশটা আবার সেই দাতার কাছেই ফিরত দেন। এভাবেই চলতে থাকে “বাঁশ” এর আদান প্রদান । এই বাঁশ তো আর কারো ঘর বানাতে কাজে লাগে না বরং লাগে ঘর ভাঙ্গতে । তাই বাঁশের সাথে সাথে সমানতালে চলতে থাকে দুঃখেরও আদান প্রদান । অথচ তার দেওয়া বাঁশ যদি আপনি কেটে কুটে সুন্দর করে একটা বাঁশি উপহার দেন তাহলে আপনার বিষণ্ণ সময়ে সেই বাঁশির সূরই আপনাকে তৃপ্ত করবে এই আশা ও বিশ্বাস রাখি।
জীবনটা হবে সুন্দর, পৃথিবীটা হবে আরও সৌহার্দ্যপূর্ণ । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।