আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিষ্ঠুর ঈশ্বর, বিধ্বস্ত নাস্তিকতা এবং কর্ণেল সামুরাই..

- ঈশ্বরের আচরণ কি মানবিক নাকি অমানবিক? - তাঁর নির্দেশ ছাড়া নাকি গাছের পাতাও নড়েনা? আমি কাউকে খুন করলে সেই দায় কার? এই প্রশ্নগুলোর ব্যাপারে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গিই হল এই পোষ্টের উদ্দেশ্য। ভালো মানের এন্টেনা না থাকলে মাথার দশহাত উপ্রে দিয়া বিশ্লেষণ যাইতে পারে। পোষ্ট নিজ দায়িত্বে পঠন করুন। ======================================== - টপিক: 1: ঈশ্বরের আচরণ মানবিক নাকি অমানবিক?? ======================================== সরল সমাধান: কোনটাই নয়। ঈশ্বরের আচরণ হল ঐশ্বরিক।

দুনিয়ার সব কিছুর উদাহরণ মানুষের সাপেক্ষে চালাইতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা আছে কি? সম্পূরক প্রশ্ন:1: ক্ষুধা তৃষ্ণায় ছোট বাচ্চারা মারা যায় অনেক দেশে। ঈশ্বর থাকলে এই অসহায় বাচ্চাগুলো না খেয়ে মরত না। সম্পূরক জবাব:1 ইসলাম মতে দুনিয়ার সব কাজের জন্য দায়ী মানব সমাজ নিজেই। একটা ছোট শিশু না খেয়ে কেন মরল তার দায়ভার সেই মানবজাতির যারা তাকে খেতে দেয়নি। স্রষ্টাকে দোষ দেবেন কেন? সম্পূরক প্রশ্ন:২: আপনারাই তো বলেন স্রষ্টা রিজিক দাতা.. আমরা রিজিক না দিলেই বা কি? ছোট বাচ্চা মরবে কেন? সম্পূরক উত্তর:২: স্রষ্ঠা কি কুরআনে বলেননি তোমরা মিসকিনদের খাদ্য দাও? রিজিকদাতা মানে যদি ভাবেন, আপনি বইসা থাকবেন ঘরে, আর স্রষ্ঠা নিজ গরজে আপনার ঘরে খানা পৌছায়া দেবে তো আপনের এন্টেনায় সিগনাল ধরাইতে টাওয়ারে উঠাইতে হইবেক! যাহোক, আপনের জন্য সরল ভাষায়: কৃষক মাটিকে বীজ বুনে, বলুন তো সেই বীজকে চারায় পরিণত করে তার শুকনা কান্ড থেকে খাদ্য দিলেন কে? যিনি ফলিয়েছেন, ঘরে ঘরে ফ্রি হোম সার্ভিসের দায়িত্বটাও কি তিনি নিয়েছেন নাকি গ্রন্থে? বরং এই দায়িত্ব মানবজাতির জন্য বন্টন করা আছে।

এন্টেনায় কিছু ধরা পড়ল কি এবার? সম্পূরক প্রশ্ন:৩: তাই বলে ছোট্ট একটা বাচ্চা মরবে তার তিনি বাঁচাবেন না? তাঁর দিলে কি দয়া-মায়া নাই? এটা তো অমানবিক! সম্পূরক উত্তর:৩: আমরা তো ডেইলী মুরগী জবাই দিয়া নির্মমভাবে ছাল ছিলা লবন মাখায়া দেই! মাছ কে পানি থেকে তুলে শ্বাস রুদ্ধ করে হত্যা করি। গাছপালাকে জীবিত অবস্থায় বিকলাঙ্গ করি, শিকড় টেনে উপরে ফেলে শস্য খাই। কিন্তু কোনটাকেই কি অমানবিক ভাবি? দেখা যায় "মানবিকতার" ধারণা প্রজাতির ভিন্নতায় আলাদা হয়ে যায়। (এন্টেনায় সিগন্যাল নাও ধরতে পারে অনেকের) ওকে ক্লিয়ার করি: মশাকে মারাটা মশাদের জন্য কষ্টদায়ক হলেও আপনার জন্য অমানবিক কি? নয়, কারণ আপনি ভিন্ন প্রজাতির। প্রশ্ন হল, ঈশ্বর কি মানুষের প্রজাতি? তিনি যদি মনুষ্য প্রজাতির না হন তবে মানুষের মৃত্যু তার কাছে মানবিক/অমানবিক হয় কোন যুক্তিতে? দ্বিতীয়ত, মৃত্যুর ব্যাপারটাই আপেক্ষিক।

একজনের না খেয়ে মৃত্যু অন্য মানুষের কাছে অমানবিক হলেও শকুন ও ব্যাকটেরিয়া সমাজে সুখের সংবাদ। সম্পূর্ণ ব্যাপারটাই ডিপেন্ড করে নির্ভরশীলতার উপর। স্রষ্টা কি কারো উপর নির্ভরশীল? তাইলে মানুষের মৃত্যু তার জন্য সুখ বা দুখের কারণ হইবার প্রশ্ন আসে কেমনে? তিনি নিজেই তো এই সিস্টেমের প্রবক্তা। তিনিই তো চান সবাই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করুক। (গবেট টাইপ নাস্তিকদের প্রশ্ন হতে পারে এরকম: মানুষের মৃত্যুতে শকুনেরা খুশি হয়, সেই তুলনা ঈশ্বরের সাথে! ঈশ্বর কি শকুন?? [মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন (কান ধইরা ব্লগের বাইরে রাইখা আসার ইমো) কারণ আমার ব্লগে নাবালকদের প্রবেশ নিষেধ ] ========================================== টপিক: 2: তাঁর নির্দেশ ছাড়া নাকি গাছের পাতাও নড়েনা? তাইলে আমি কাউকে খুন করলে সেই দায় কার? ========================================== সরল সমাধানঃ 2: ইসলাম অনুসারে অবশ্যই আপনার! সম্পূরক প্রশ্নঃ1 হেহ! ঈশ্বরের মর্জিতে খুন করলাম আর দোষ আমার? মামা বাড়ি নাকি? সম্পূরক উত্তর:1 আসেন আপনের এন্টনায় সিগনাল ধরাইতে কয়েকটা ঘটনা দেখি- ঘটনা ১: আপনি ব্যাংকে গেলেন চেক ভাঙ্গাতে, ম্যানেজার নির্দেশ দিল ক্যাশ দিতে, ক্যাশিয়ার দিল ক্যাশ।

সেই ক্যাশ দিয়ে আপনি ভাং খেলেন এবং মরলেন! এখন আপনার মৃত্যুর জন্য কে দায়ী? ক্যাশিয়ার? ম্যানেজার? নাকি আপনি নিজেই? (নবীন অথচ হ্যাবলা ধরণের নাস্তিকেরা বলে ফেলতে পারে সবাই! (এদেরও কান ধরে......!) ঘটনা ২: রহিম বাজারে গিয়ে কিউয়ী ব্রান্ডের একটা চাকু চায়। দোকানী তাকে দেয়। বাসায় গিয়ে সেই চাকু দিয়ে সে নিজের গলা কেটে ফেলে। রহিমের মৃত্যুর জন্য কে দায়ী? দোকানী? কিউয়ী কোম্পানী? নাকি সে নিজে? প্রত্যেকটির উত্তর যদি "নিজে" হয়, তবে আপনি কাউকে হত্যা করলে সেই দায়ভার ঈশ্বরের হবে কেন? সম্পূরক প্রশ্ন:২: ভাল কথা, মেনে নিলাম খুন আমি করেছি তাইলে ঈশ্বরের নির্দেশ ছাড়া আমি করলাম কেমনে বোঝান তো? সম্পূরক উত্তর:২: ইসলামী ধারণা মতে যতটুকু জানা যায়: প্রত্যেক পদার্থ তার স্বাভাবিক বৈশিষ্টের জন্য স্রষ্ঠার নির্দেশের উপর নির্ভরশীল। পানি গড়াবে, আগুন পোড়াবে এইসব আমাদের জন্য স্বাভাবিক হলেও পদার্থের এই বৈশিষ্ট্য চলে স্রষ্টার মর্জিতে।

বিশেষ কারণ ছাড়া তিনি স্বাভাবিক কোন বৈশিষ্ট্যকে পরিবর্তন করেন না। সম্পূরক প্রশ্ন:৩: তাই নাকি? বিশেষ কারণ, সেটা কেমন? সম্পূরক জবাব:৩ ইসলামী ইতিহাস অনুসারে, ১. ইব্রাহিম (আ) কে আগুনে নিক্ষেপ করার পরে আগুন তাঁকে জ্বালাতে পারেনি। কারণ? স্রষ্টা আগুনকে তার ধর্ম প্রকাশের নির্দেশ দেননি। ২. ঈসমাইল (আ) এর গলায় ছুরি চালানোর সময়ও ছুরি তার প্রকৃত ধর্মানুসারে কেটে ফেলতে পারেনি। কারণ? একই! স্রষ্টা তার অনুমতি দেননি।

তাই প্রচলিত ইসলামী বয়ানে যে বক্তব্য দেয়া হয়: ”গাছের পাতাও স্রষ্টার অনুমতি ব্যাতীত নড়েনা” ভাবার্থের দিক থেকে এটা সঠিক। প্রত্যেক পদার্থ তার ধর্ম প্রকাশ স্রষ্টার অনুমতি সাপেক্ষে করে বলে ইসলাম দাবী করে। সম্পূরক প্রশ্ন:৪ ইব্রাহিম (আ) কে বাঁচাইলেন আর আমাগো বাঁচান না? কেন এই পক্ষপাতিত্ব আপনের স্রষ্টার? সম্পূরক উত্তর:৪ ইতিহাস থেকে জানা যায় স্রষ্টার প্রিয় পাত্র না হলেও তাঁর কাছে কিছু চাইলে তিনি তা প্রদান করেন। যেমন? - ফেরাউন যখন নীলনদে পানি আনতে পারলনা, তার খোদাই দাবী যখন আশংকার মধ্যে, তখন সে আল্লাহর কাছে পানি ভিক্ষা চাইলে তিনি নীল নদে পানি দেন বলে ইসলামী ইতিহাস থেকে জানা যায়। - কাফেরেরা সমুদ্রে বিপদে পড়ে তার কাছে সাহায্য চাইলে তিনি তা থেকে তাদের রক্ষা করেন বলেও ঘটনা এসেছে কুরআনে।

- ইবলিসের প্রার্থনা তিনি মন্জুর করেছিলেন চরম অপ্রিয় পাত্র হবার পরও। তাইলে বলেন তো তার পক্ষপাতীত্বটা কোথায়? প্রশ্ন: মূল কথায় আসেন এন্টেনা গরম হইতাছে! সিগনাল পাইতেছি না! সমাধানঃ আপনের এন্টেনা যদি মোটামুটি মানের হয় তো এতক্ষণে বুঝে গেছেন ইসলাম ধর্মের আল্লাহ নিজে কোন কাজ করেন না পৃথিবীতে। তিনি শুধু হ্যা, না অনুমতি দেন বৈশিষ্ট্য প্রকাশের। আপনি চাকু দিয়া কারো পেট ফাসাইতে যাবেন, চাকু অবশ্যই তাঁর কাছে অনুমতি চাইবে কাটবে কিনা, এবং তিনি চাকুকে তার ধর্ম পালনের অনুমতি দিয়ে দেবেন। এবং আপনাকে আপনার ধর্ম লঙ্ঘনের জন্য পাকড়াও করবেন! প্রশ্ন: ৫: আমি আবার কি ধর্ম লঙ্ঘন করলাম? জবাব ৫: তিনি তাঁর মেসেজ (ধর্ম গ্রন্থে) বলেই দিয়েছেন হত্যা করো না, কারণ তার শাস্তি রয়েছে।

মানে দাঁড়াইলো, হত্যা করার ক্ষমতা স্রষ্টা আপনাকে দিয়েছেন কিন্তু সেটা করলে আপনাকে শাস্তি পাইতে হবে। প্রশ্ন:৬: এটা কেমন হইল? তিনি যদি চান আমরা হত্যা করতে পারবোনা তবে দুনিয়ার কেউই হত্যা করতে পারবেনা, আমাদের হাতে ছেড়ে দিয়ে খেল খেলার কারণ কি? উত্তর: ৬: ধরেছেন ঠিক। স্রষ্টা আপনার-আমার খেলা দেখতেই দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। ধর্ম গ্রন্থ অনুসারে, তিনি মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। আর এটা তো খেলার মতই।

যেহেতু স্রষ্ঠার কোন মৌলিক চাহিদা নাই আর এমন কোন প্রয়োজনও নাই যা মানবেরা পূরণ করবে তাই তিনি মানবদের পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন কিছু গুনাবলী আর খারাপ বৈশিষ্ট দিয়ে। সাথে দিয়েছেন স্বীদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা। নিজের প্রবৃত্তিকে নিযন্ত্রণে রেখে সঠিক স্বীদ্ধান্ত নিয়ে তার নির্দেশ পালন করাটাই হল আমাদের কাছে পরীক্ষা আর স্রষ্টার কাছে খেলা! প্রশ্ন ৭: আপনি বললেন আমরা স্বীদ্ধান্ত নিতে পারি। আবার বলেন, স্রষ্ঠা ভবিষ্যত দ্রষ্টা। তিনি যদি সত্যিই জেনে থাকেন ভবিষ্যতে আমরা কি করবো তবে আমাদের স্বাধীন ইচছা থাকে কিভাবে? উত্তর ৭: ধরেন, টাইম মেশিন পাওয়া গেল আর আমি দশ বছর পরে গিয়ে দেখে এলাম আপনি এক লোককে খুন করে বসে আছেন।

এখন বলুন তো আমার এই ভবিষ্যত জেনে ফেলার কারণে আপনার খুন করার স্বাধীন সিদ্ধান্তে কি কোন প্রভাব ফেলেছি? পিছলামী মন্তব্যঃ টাইম মেশিন আবিষ্কার সম্ভব নয়। পিছলামী উত্তরঃ কি আবিষ্কার সম্ভব আর কি নয় তা জানলে তো টাইম মেশিন লাগবোনা আপনি নিজেই ভবিষ্যত দ্রষ্টা! টাইম মেশিন ছাড়াও পৃথিবীর বহু ঘটনার চাক্ষুস প্রমাণ করেছে যেখানে কোন ব্যক্তি ভবিষ্যত সম্পর্কে স্বপ্নে ইঙ্গিত পেয়েছে। সেসব ব্যাপারের সাপেক্ষে কি জবাব দেবেন? আলোচনা শেষে নবীন নাস্তিকের তালগাছী মন্তব্য হইতে পারেঃ - আমি ঈশ্বরের বিধানে বিশ্বাস করিনা। প্রশ্ন ১: আমি বাংলাদেশের আইন মানিনা এর কারণ একটাই হতে পারে তা হল আমার কোন স্বার্থে বাংলাদেশী আইন আঘাত করেছে। নাস্তিক: যেমন? - যেমন ধরেন: “আমি ধর্ষণ করতে চাই কিন্তু আইন তা করতে দেয়না” তাই আইন ভুল এমন দাবী করাটা অপরাধীদের জন্য স্বাভাবিক।

নাস্তিক: -ব্যাখ্যা করেন। - ইসলামী শরীয়াহ কোন খারাপ কাজ শেখায়নি, হারাম করেছে অনেক কিছু। অবৈধ সঙ্গম আর মদ্যপানের মত এই হারাম গুলোকে হালাল বানানোর একমাত্র তরিকা হল ইসলামকে অস্বীকার করা। নাস্তিক: ইসলাম বহু বিবাহ শেখায়... - ইসলাম বহু বিবাহে বাধ্য করেনা। আপনাকে বলে নাই যে দুইটা বিয়া না করলে আপনের জন্য দোজখ।

আপনের ইসলাম ত্যাগের কারণ যদি হয় বহুবিবাহ তো এতগুলা গার্লফ্রেন্ডের সাথে ফস্টি নষ্টি কেন? যেই তসলিমা বহুবিবাহ নিয়া গলার রগ ফুলাইল সেই তসলিমাই হপ্টা হপ্টা বিছানার সঙ্গি চেঞ্জ কইরা ইতিহাসে জায়গা কইরা নিল! সত্যি করে বলেন তো আপনারা কি চান? ইসলামে দাসী সঙ্গম করতেও তো দাসীকে পয়সা দিয়ে কিনতে হয়। আপনেরা যে বিনে পয়সায় গার্লফ্রেন্ড সঙ্গমে লিপ্ত আছেন (খালিমুখে কমিটমেন্টের দোহাই দিয়া) আমরা কি বুঝিনা আপনেদের বিনে পয়সার ফাকিবাজীটা? (চলবে) ফেসবুকে কর্ণেল সামুরাই এই পোষ্টটি পিডিএফ ফাইল আকারে ডাউনলোড করুন এখান থেকে (সাইজ ১৩০ কিলোবাইট মাত্র) ফেসবুকে কর্ণেল সামুরাই ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।