সেই দিন দূরে নয় যেদিন এই সোনার দেশের মানুষেরা সর্বক্ষেত্রে এই বিশ্বে মাথা উচু করে দাঁড়াবে। ক্রিকেটে হাতেখড়ি ২০০২ সালে। চার বছর না যেতেই বাংলাদেশ জাতীয় দলে। একে আল্লাহর অশেষ করুণা হিসেবেই দেখেন সাকিব আল হাসান। এরপরের সব ঘটনা তো স্বপ্নের মতো ঘটে গেছে কীর্তিমান এই অলরাউন্ডারের জীবনে।
বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে অনেক অর্জন রয়েছে সাকিবের। শেষ স্মৃতি তো এখনো দীপ্তমান। প্রথম টাইগার ক্রিকেটার হিসেবে এশিয়া কাপের সেরা পারফর্মার হয়েছেন তিনি। যদিও ক্রিকেটে তার পথচলার শুরুটা মসৃণ ছিল না। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ও ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পরের আট-নয় মাসকে জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় হিসেবেই দেখেন সাকিব।
তিনি বলেন, ‘জন্মের পর ওই সময়ের মতো কষ্টকর সময় আমি কখনো পার করিনি। অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭ ও ১৯ দলের পর অ্যাকাডেমিতেও কোনো সমস্যা হয়নি। আর বিকেএসপির ৫ থেকে ১০ শতাংশ রুক্ষ স্টাফ সামলানোর চেয়ে কঠিন ছিল ওই বাজে সময়টা পার করা। যদিও নতুন করে শেখা হয়েছিল অনেক কিছুই। পরে স্বমহিমায় ফিরতে যা কাজে লেগেছে।
’ গত তিন বছর নন-স্টপ ক্রিকেটেই চলছে সাকিবের জীবন। জাতীয় দলের বাইরে ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেট, ইংল্যান্ডের কাউন্টি, আইপিএল ও বিপিএলে ব্যস্ত থেকেছেন তিনি। এতে অবশ্য লাভ হয়েছে মাগুরার কৃতী সন-ানেরই। সাকিব এখন পুরোদস'র পেশাদার ক্রিকেটার। সফল হওয়ার ক্ষেত্রে এ গুণেরও যে অপরিহার্যতা রয়েছে।
সেটি মানতে তারও কোনো আপত্তি নেই। সাকিব বলেন, ‘পেশাদারিত্ব ছাড়া উঁচু মাপের ক্রিকেটার হওয়া কঠিন। এক ম্যাচে আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েছি। দিন শেষ হতেই এটি ভুলে যেতে হয়েছে। বরং আবেগ সাথে থাকলেই জীবন গতিভ্রষ্ট হতে বাধ্য।
’
ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়ে বাংলাদেশের নতুন জেনারেশনের ক্রিকেটারের মধ্যে সাকিবের পরিচিতি সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে শিশুদের মুখে মুখে এই অলরাউন্ডারের নাম। অনেকে তো নিজের আইডলই করে নিয়েছেন তাকে। ক্রিকেটে হাতেখড়ির আগে সাকিব কি কাউকে আইডল মানতেন? শুনুন তার কাছ থেকেই- সাঈদ আনোয়ারের ব্যাটিং ও সাকলাইন মুশতাকের বোলিং দেখতাম। ওয়াসিম আকরাম আমার পছন্দের একজন ক্রিকেটার।
এ ছাড়া ভেট্টোরি, রাহুল দ্রাবিড় ও চন্দরপলের অ্যাপ্রোচ ভালো লাগত। তাদের সবার থেকেই কিছু কিছু বিষয় নিজের খেলার মধ্যে যুক্ত করেছি। তবে ব্যাপক অর্থে কাউকেই হিরো হিসেবে নেইনি।
বাংলাদেশের অনেক তরুণেরই এখন স্বপ্ন পরবর্তী সাকিব হওয়া। এ জন্য করণীয় বিষয়গুলোর ছোটখাটো একটি তালিকা নতুন প্রজন্মের তরুণদের দিয়েছেন বর্তমানের সাকিব আল হাসান।
তিনি বলেন, ‘সততা, শৃঙ্খলা ও লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ়তা অপরিহার্য। সময় যতই কঠিন হোক না কেন, এসব থেকে বিচ্যুত হওয়া চলবে না। শততম সেঞ্চুরির পর এক সাক্ষাৎকারে শচিন বলেন, ‘লক্ষ্যের ব্যাপারে একাট্টা থাকলে তা পূরণ হবেই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।