আমি বজ্র, আমি অবিনাশী/ আমি নরকে বসিয়া হাসি পুস্পের হাসি/ মোর এক হাতে বাঁকা প্রেমের বাঁশরী, আর হাতে রণতূর্য/ আমি মহাবিদ্রোহী রণক্লান্ত/ আমি সেইদিন হব শান্ত/ যেদিন আমার মনের মানুষ পরের ঘরে যাবেনা....না না না
মাঝে মাঝে আশেপাশের মানুষের কাজ-কর্মে ভাবি, আমরা জাতি হিসাবে কত মহান!!! তা নাহলে বাজারে টাটকা, খাসা, অওসাম আপেল-আঙ্গুর-খেজুর ইত্যাদি থাকতে কেন কিছু পাবলিক পঁচা টমা-2 নিয়ে এত আগ্রহী? তাদের ব্লগে ম্যাঙ্গো-পিপলের হিটও অনেক হাই দেখা যায়। অবশ্য আমি কোন কালেই এই পঁচা টমা-2’র ব্যাপারে আগ্রহী ছিলাম না। এমনকি এই টমা-2 যখন শোবিজে একটা হেভীওয়েট কোম্পানির সাবানের এড আর প্রথম সারির একটা পত্রিকার সুবাদে বেশ কাভারেজ পেয়ে আলো-চনায় (!!!) চলে আসে তখনো এর ব্যাপারে আমার আগ্রহ ছিল না। অতঃপর এই টমা-2’র কিছু ক্লিপ নেটে ছড়িয়ে পড়ে যাতে দেখা যায় টমা-2 আর তার একসময়ের সঙ্গী কাঁচকলার অন্তরঙ্গ ছলাকলা, তারপর টমা-2’ তে পচন ধরে। অতঃপর, বারেবারে হাত বদল হয়ে থার্ড-পার্টির হাঁড়িতে জায়গা নেয়া।
আমি সচেতন ভাবেই পঁচা টমা-2’ আর কাঁচকলার প্রকৃত নাম উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকছি।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, আমি কেন পঁচা টমা-2 কে নিয়ে লিখছি? আমি আসলে পঁচা টমা-2 কে নিয়ে লিখছি না। লিখছি কিছু ব্লগারের কর্মকান্ড দেখে। যারা এখনও পঁচা টমা-2’র শোকে কাতর। একদল পঁচা টমা-2 কে ডিফেন্ড করছে আর একদল কাঁচকলা কে কচুকাটা করছে।
এতে বেহুদাই একটা পঁচা টমা-2 আর তার সঙ্গী কাঁচকলা বারবার সামনে চলে আসছে যাদের সভ্য সমাজে কানাকড়িও মূল্য নাই। বিস্মিত হই যখন এক ব্লগার লিখেছে, প্রিয়জনের সাথে পঁচা টমা-2’র style এ অন্তরঙ্গ হয়ে সময় কাটানো এবং ভিডিও করা টা দোষের না। তার মতে, অই ক্লিপগুলির ঘটনা ও রেকর্ড করার পুরো প্রক্রিয়া কে বৈধ এবং এটা সবাই তার প্রিয়জনের সাথে করতে পারে। সে পচা টমা-2 কে ডিফেন্ড করতে গিয়ে সব মানুষ কে পর্নস্টারের সন্তান হিসাবে জেনারালাইজ করতে চেয়েছে যা তার ব্লগের শেষ বক্তব্যে ছিলঃ
“আর যদি প্রিয় মানুষের সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটানোর ভিত্তিতেই কাউকে পর্নোস্টার বলতে চান, তাহলে মনে রাখুন আপনি একজন পর্নোস্টারের সন্তান। কারণ, আপনার বাবা-মা'র একান্ত মুহূর্তের ফলেই আজকের আপনি।
তাই নয় কি?”
একটা মানুষ কতটা আহাম্মক এবং আবাল হলে এইধরনের কথা বলতে পারে? আমি জানতে চাই, তোর বাপ-মা কি তোরে পয়দা করার “অন্তরঙ্গ” মুহূর্ত ভিডিও করে সেটা বাজারে ছাড়ছিল? না ইউটিউবে আপ্লোড দিসিল? তোর নিজেরে যদি পর্নোস্টারের সন্তান মনে হয়, যত খুশি নিজেরে ভাব, সবাইরে টানস কেন? গাধা কোথাকার!!
ওই আবাল যদি কোর্টে পঁচা টমা-2’র পক্ষে ওকালতি করত তাহলে বিজ্ঞ বিচারক “অন্তরঙ্গ” শব্দের ডেফিনিশন কি এবং কোন কাজে এর কি অর্থ দাঁড়ায় তার ব্যাখ্যা চাইতেন। কারণ একজন মা যখন তার বাচ্চা ছেলেকে জড়িয়ে শুয়ে থাকেন সেটা অবশ্যই অন্তরঙ্গ মুহূর্ত। আবার স্বামী-স্ত্রী যখন ওই একইভাবে শুয়ে থাকে সেটাও অন্তরঙ্গ মুহূর্ত। কিন্তু এই দুই “অন্তরঙ্গ” কিন্তু প্যাঁচ খেয়ে যাচ্ছে। ওই ব্লগার আরও লিখেছে,
“আপনি আপনার সঙ্গি/সঙ্গিনীর সাথের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ভিডিও করে রাখতে পারেন, কারণ সে সময়ের অনুভূতিগুলোই থাকে অন্যরকম।
এখন সেই দৃশ্য যদি আপনার সঙ্গি/সঙ্গিনী ইন্টারনেটে প্রকাশ করে তাহলে কি আপনি পর্নোস্টার হয়ে যাবেন”?
আমি যদি এখন প্রশ্ন করি, আমরা ভিডিও করি কেন? স্বাভাবিক উত্তরঃ প্রমান রাখার জন্য, অন্যকে দেখাবার জন্য, স্মৃতি হিসাবে রাখার জন্য। এখন আবার প্রশ্নঃ একজন খুনি যখন কাউকে গোপনে খুন করে সেটা কি সে ভিডিও করে? উত্তরঃ না। কেন? কারণ এর প্রমান রাখা, অন্যকে দেখানো, বা স্মৃতি হিসাবে রাখা সবই বিপদজনক। তারমানে, কোনটা ভিডিও করব আর কোনটা করব না সে ব্যাপারে আমরা মোটামুটি সবাই সচেতন। ওই ব্লগারের ওই মন্তব্য আরও প্রশ্নের জন্ম দেয়ঃ আপনি কেন আপনার সঙ্গী/সঙ্গীনীর “বেড-সিন” ভিডিও করবেন? এই ভিডিও ক্লিপ কাকে/কাদের কে দেখাবেন? কিংবা এই গোপন ক্লিপ যদি বেহাত হয়ে যায় তখন কি করবেন? এতে আপনার বা Partner এর মযার্দা কি বাড়বে? সমাজে যাদের সাথে চলেন বা পরিবারের অন্য সদস্যদের কিরকম প্রতিক্রিয়া হতে পারে? এমন কিছু কেন ভিডিও করবেন যা সভ্য সমাজে বিতর্ক তৈরি করবে?
এই আবাল ব্লগার, পঁচা টমা-2 কে পর্নোস্টার হিসাবে মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
আমার আশেপাশের যারা পঁচা টমা-2’র ঐ ক্লিপ দেখেছে তারা সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছে ক্লিপগুলি দেখে কখনই মনে হয়নি এগুলি গোপনে করা কিংবা তার বিনা সম্মতিতে করা বরং ভিডিও গুলি নাকি খুব ক্লোজ ছিল এবং অন্য পর্নমুভিতে যেভাবে পর্ণস্টাররা Act করে হুবুহু সেভাবেই এগুলিতেও তা-ই করা হয়েছে। তার মানে, সে স্বেচ্ছায় “বেড-সিন” এ অংশ নিয়ে তা আবার ভিডিও করেছে এবং Somehow তা লিক হয়ে পাবলিকের হাতে চলে এসেছে। অন্যান্য পর্নমুভিরও ক্ষেত্রেও একই অবস্থা হয় এবং সেটা হয় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে তবে বতর্মানে যেভাবে ফ্রি ডাউনলোড হয় তাতে কতটা বাণিজ্য হয় সেটা অজানা। যাইহোক, ক্লিপ অনুযায়ী পঁচা টমা-2 আর কাঁচকলা দুজনেই যেহেতু স্বেচ্ছায় এই পর্নো ভিডিও গুলি করেছে, এবং ম্যাঙ্গো-পিপল কে তা দেখিয়েছে সে হিসাবে এরা দুজনেই সন্দেহাতীত ভাবেই ঐ ক্লিপের কারণে পর্নোস্টার।
আরেক ব্লগার (বিশেষ বাহিনীর মুখ যুক্ত) যিনি এই মার্চ মাসেই পঁচা টমা-2’র ওপর ২টি ব্লগ পোস্ট করেছেন তিনি বিশাল আয়োজন করে সবার কাছে জানতে চেয়েছেন পঁচা টমা-2’র সাথে বেড-সিনে অংশ নেয়া ঐ “কাঁচকলা” কে খা** বলা যায় কিনা।
এর মানে হচ্ছে একটা নির্লজ্জ ঘৃণ্য মূল্যহীন একটা কাঁচকলা, যে কিনা হাজার বছরের মল-মূত্রের নিচে চাঁপা পড়ে হারিয়ে যাচ্ছিল তাকে আবার তুলে আনতে চাইছেন তাও আবার জামাতের সাথে একটা গালি দেবার জন্য। আফসোস!!!
পরিশেষে বলতে চাই, এইসব Luck by Chance শো-বিজ স্টার পঁচা টমা-2 আর ঝাঁটারবাড়ির উপযুক্ত কাঁচকলার কেচ্ছা কাহিনী করে এদের মার্কেট প্রাইস আর বাড়াবেন না। এদের কৃতকর্মের জন্য সমগ্র জাতির ঘৃণার বোঝা ওদের ঘাড়ে চাপিয়ে মাটিতে পুতে ফেলা হোক।
আর যদি প্রথম আবাল কে গদাম দিতে চান তাহলে এই নিন লিংক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।