সরকার কি গ্রামীন ব্যাংক ১৯ টুকরো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল? প্রশ্নটির দুই রকম উত্তর পাওয়া যাবে। অর্থমন্ত্রী বলছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের কাঠামো পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। বিপরীতে ড. ইউনূস, বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের একটি অংশ বলছে, সরকার গ্রামীন ব্যাংকের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে ১৯ টুকরো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ড. ইউনূসও বলছেন, ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে গ্রামীনব্যাংক। http://www.notun-din.com/?p=3668
তাহলে সঠিক উত্তর কোনটি?
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. আতিয়ার রহমান বলেন, সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম নিয়ে একটি কমিশন গঠন করে।
সম্প্রতি গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ার বাড়িয়ে ৫১ শতাংশ নির্ধারণের সুপারিশ করে কমিশন। তাছাড়া একে ভেঙে পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মতো করার পক্ষেও মত দিয়েছে তারা। এর মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংক ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে বলে গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. আতিয়ার রহমানের উত্তর থেকে দেখা যায়, গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম নিয়ে গঠিত সরকারের কমিশনের সুপারিশকেই সিদ্ধান্ত ধরে নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন ড. ইউনূস। শুধুমাত্র ড. ইউনূস নন সুশীল সমাজের সদস্যেরাও সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে পড়েন।
মিডিয়ার আবেগী ভাষার ব্যবহারে চাপা পড়ে যায় সুপারিশের বিষয়টি। সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলো- সরকার গ্রামীন ব্যাংকের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে ১৯ টুকরো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে! কিংবা বলা হলো- গ্রামীন ব্যাংককে বিকেন্দ্রীকরণের চেষ্টা করছে সরকার। সরকার কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে কমিশন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।