আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খালি র‍্যাপ করলেই কিংবা বিটিভিতে হারমোনিয়াম ধরলেই মিউজিশিয়ান হয় না। আসো আর জেনে যাও মিউজিক আর মিউজিশিয়ান নিয়ে।

কত কিছু যে করতে চাই, তবুও কিছু করতে না পারার দায়ে মাথা খুঁটে মরি । ১) এই ভিডিওটা আগে দেখেন। এর উপর কথা নাই। গানের ভাষা রাশান, কিন্তু মনের ভাষায় আগুন। হিয়ার আই প্রেজেন্ট দ্যা অসাম “পুসি রায়ট”।

ইয়েস, ইউ হার্ড ইট রাইট PUSSY RIOT। উনারা হইতেছে এন্টি পুতিন সংগঠন। উনাদের নাম পরিচয় কেউ জানেনা, কিন্তু ভক্তের অভাব নাই। এই জানুয়ারিতেই এই আটটা মেয়ে মস্কোর ঐতিহাসিক লাল গম্বুজ গুলার ছাদে দাঁড়িয়ে যায় আর প্রায় মিনিট খানেক গান গায়। অর্থটা ইন্টারনেট থেকে যতদূর বুঝলাম, “Putin S**t Himself”. বলাই বাহুল্য, পুলিশ হেদের ধরে নিয়ে গেছে।

জয় বাবা গাঞ্জা। ২) ইদানীং ত কথা নাই বার্তা নাই, মোড়ে মোড়ে চা দিবস পানি দিবস উপলক্ষে কনসার্ট। আর সেগুলার একটা গাল ভরা নাম থাকেই — সে নো হার্ম ফর উইমেন। গান গাইতেছে, “মীরা বাঈ….হেইলা দুইলা” আর শেষে এসে বাণী দিলো, সে নো হার্ম ফর উইমেন। ঘটনা এখানেই শেষ না, সমস্যা হল পাতি গায়কদের নিয়ে।

দুএকটা জন্মদিনে গান গেয়ে এখন মাথায় লুঙ্গি উঠিয়ে সারাদিন ঘুরাফিরা করে। কিন্তু টিএসসি তে দেশের হৃদয় খান (!!) ছাড়া আর কারও কনসার্ট দেখছে কী না সন্দেহ ! আর বাইরের সিঙ্গারদের কনসার্টের ডিভিডি দেখবে, সে আশাই বাতুলতা। যাক গা, কনসার্টের কথাতেই যখন আসলাম জানিয়ে যাই, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দর্শকের কনসার্টের খবর। “At the Copa, Copacabana…”, কোপাকাবানা বিচে ১৯৯৪ সালে ইতিহাসের সবচেয়ে ক্রাউডি কনসার্ট হয়। এই বিচ হল রিও ডি জেনিরো তে।

Rod Stewart এর সেই হ্যাপি নিউ ইয়ারের কনসার্টে ৩৫ লাখ লোক হাজির হয়েছিলো। সবচেয়ে ক্রাউডি ১০ টা কনসার্টের লিংক দিলাম এখানে। Click This Link ৩) পিংক ফ্লয়েড আর ড্রিম থিয়েটারের (ঐ যে প্রোগ্রেসিভ রকের ব্যন্ডটা) এমন গানও আছে যে একটাই পুরো এলবাম ! লেটেস্ট জানা পর্যন্ত অল্টারনেটিভ ডার্লিংস, দ্যা ফ্লেমিং লিপস ২৪ ঘণ্টা প্লেটাইমের গান করেছে। কিন্তু আজকে আপনাদের যেই গানের খোঁজ দিবো, তার ধারে কাছে কিছু নেই। Tibetian Singing Bowls এর জন্য Jem Finer এর কম্পোজ করা এই বিশেষ গানটা এখনও চলছে।

সত্যিই বলছি, এখনও চলছে। অবশ্য কম্পিউটার বাজিয়ে চলছে। এর শুরু হয়েছিলো ১৯৯৯ এর ডিসেম্বারের ৩১ তারিখ আর শেষ হবে ৩১শে ডিসেম্বার, ২৯৯৯ তে। এরপর আবার শুরু হবে। তবে, সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, পুরো গানটায় কোন রিপিটেশন/লুপ নাই।

জ্বী, লুপ ছাড়া গান যা চলতে থাকবে ১০০০ বছর। এরপর শুরু হলে লুপ। http://vimeo.com/10151159 এই হল ভিডিও লিংক। ১০০০ সেকেন্ড শুনে দেখেন। এই লিংকে দেখেন, গানটা কতক্ষণ ধরে চলছে।

http://longplayer.org/ সূত্রঃ Click This Link ৪) কতটুকু নিচু স্বরে একটা মানুষ গাইতে পারে? এই প্রশ্ন আপনাকে না করে গিনিস বুককে করলে লেটেস্ট উত্তর পাওয়া যাবে। সেই হিসাব অনুযায়ী ২০১০ সালে Roger Menees রেকর্ড করে দেখান .393 Hz এ গান গেয়ে। উনি গসপেল গায়ক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এখানে একটা ছোট্ট ব্যাপার আছে। মানুষের কান 18 Hz এর নিচে কিন্তু শুনতে পায় না।

তাই একটা রেকর্ডিং কোম্পানী সম্প্রতি নতুন করে প্রতিভা হান্ট এর আয়োজন করে। এখানে শোনা যায় এমন সবচেয়ে নিচু স্বরে গাওয়া গানের রেকর্ড করা হবে। ভিডিওঃ সূত্রঃ Click This Link সূত্রঃ Click This Link ৫) যুগ যত এগিয়েছে র‍্যাপার রা তত ফাস্ট হয়েছে। সুগার হিলের করা সেই প্রথম র‍্যাপ যা বলতে গেলে এই জেনরার সংজ্ঞা দিয়ে গেছে, এখনকার র‍্যাপারদের কাছে পানি ভাত। গিনিস বুকের রেকর্ড অনুযায়ী রিকি ব্রাউন বর্তমানে সবচেয়ে ফাস্ট র‍্যাপার।

রিকি ব্রাউনের পোশাকি নাম হল “নো ক্লু”। ১৪টার একটু বেশি সিলেবল/ধ্বনি প্রতি সেকেন্ডে গাইতে পারে সে। তবে, গিনিস বুকই শেষ কথা নয়। গিনিস বুক গানের বেলায় শুধু ইংলিশকে এক্সেপ্ট করে। নইলে সাউথ কোরিয়ার আউটসাইডার ২৩ টা সিলেবল গাইতে পারেন প্রতি সেকেন্ডে।

কোরিয়ান ভিডিওঃ নোক্লু এর ভিডিওঃ ** কে ইংলিশ বলে আর কে কোরিয়ান বলে, এতে আসলে কিছু যায় আসে না। এই স্পিডে গান গাইলে এটার আগা মাথা কেউ এমনেও বুঝবে না তেমনেও বুঝবেনা। ওরা গাইতে থাকুক, আমরা সামনে আগাই। ৬) পিয়ানোর ৮৮ টা কিই আছে। সবচেয়ে শেষেরটা মানে উঁচু নোটটা হল C সাধারণত একে C8 ধরা হয়।

Star Spangled Banner এর যাত্রাপালায় (!!) ওরা বলে rendition এ G7 গেয়ে ২০০৩ সালে রেকর্ড করেছেন মারিয়া ক্যারি। ২০০৮ সালে একেবারে C8 দিয়েই সেই রেকর্ড ভেঙ্গে দেখান এডাম লোপেজ; একেবারে লাইফ অডিয়েন্সের সামনে। ভিডিওঃ ৭) Eddie বা Yngwie কে ভুলে যান ব্রাদারস। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গিটারিস্ট হচ্ছে ডেনভারের John “Dr. Hot Licks” Taylor। সম্প্রতি “Flight of the Bumblebee” তে উনি মিনিটে ৬০০ বিট দিয়ে দর্শকদের পাগল করে দেন।

আগের বিশ্বরেকর্ড যতদূর মনে পড়ে ৩৫০ এর কিছু কম ছিলো। বস এইবার দেখায়া দিছে। ভিডিওঃ ৮) Morten Harket যিনি A-Ha ব্যন্ডের লিড সিঙ্গার। “Summer Moved On” গানে ২০.২ সেকেন্ড ধরে একটা নোট গেয়ে রেকর্ড করেছে। এই রেকর্ড ২০০০ সালের।

এখনকার যুগে অনেকেই অনেক কিছু পারে, টাং টুইস্টিং হল হালের ক্রেইজ। কিন্তু ২০ সেকেন্ড একটা নোট ধরে গাওয়া !! মরটেন মামা পিস একখান ! http://www.everyhit.com/record7.html ৯) গান নিয়ে ত অনেক কথা হল। এবার জানাই গানের এলবাম নিয়ে। সবচেয়ে বেশি বিক্রীত এলবাম কোনটি? বিটলস? ন্যাহ। এলভিস? নাহ, তাও না।

এই রেকর্ডের মালিক হলো Bing Crosby। 1942 সালে উনার এলবাম প্রকাশিত হয়, যার নাম ছিলো “White Christmas”; এই জিনিস ৫ কোটি কপি বিক্রি হইছে যেটা এখনও কোন এলবাম ছুঁতে পারেনি। উইকিং লিংক দিলামঃ Click This Link ১০) গান, সাউন্ড, মানুষের ভোকাল কর্ড, এলবাম সব শেষে এখন বাকি থাকলো গানের ইন্সট্রুমেন্ট। গানের ইন্সট্রুমেন্ট কতটুকু আজব হতে পারে? কল্পনা করতে থাকেন। দিস থিং বিলো ইজ বিয়ন্ড ইউর ওয়াইল্ডেস্ট ড্রিমস।

এই ভিডিওটা দেখেন আর থতমত খেয়ে যান। বাতাসে এমনি এমনি হাত নাড়ান আর অটোমেটিক বাজতে থাকবে the theremin। একটা honey badger কে এইটার ভিতর লটকে দেন, এখন পেয়ে গেলেন the Badgermin! সাই ফাই মুভিগুলাতে দেখায় থেরেমিন। এইটাই আজব একখান পিস, সেটা থেকে বানানো ব্যাজারমিন; এইটা “অফিশিয়ালি” দ্যা আজবেস্ট। এটার মালিক হচ্ছে David Cramner।

কিনতে চাইলে নিচের লিংক ধরে উনার সাথে কন্টাক্ট করেন। Click This Link ভিডিওঃ ১১) ১৮৯১ সালে টেসলা কয়েল আবিষ্কারের পর নিকোলা টেসলা বোধহয় কখনও ভাবেন নি এই জিনিসের ভিজুয়াল মাজেজা কত হতে পারে !। প্রেস্টিজ মুভি থেকে কম্পুটার গেমস রেড এলার্ট ২ আর ৩ এ এই টেসলা কয়েলের ইফেক্ট ছিলো হট ফেভারিট। আর সাই ফাই মুভিগুলাতে টেসলা কয়েলের এই ঝলকানি নিয়ে যা করছে সেটা ত হিসেবের বাইরে। Zeusaphone নামের এক অদ্ভুত ইন্সট্রুমেন্ট আবিষ্কার হয় ২০০৭ এ।

এর মূলনীতি ছিলো লো ভোল্টেজ আর হাই ফ্রিকোয়েন্সি। গ্রীক দেবতা জিউস এর নামে এই জিনিস আর কাজও সেরকম। যাই বাজান উপরে দিয়ে বিদ্যুৎ চমকের মত ঝলকানি হতে থাকবে। ভিডিওঃ ১২) England এর ল্যাঙ্কশায়ারে ব্যারেন পাহাড়ের চূড়ায় গেলে দেখা যাবে এই আজব মিউজিকাল ভার্ষ্কর্য। Mike Tonkin and Anna Liu নামের দুজন আর্কিটেক্ট “tree” নামের এই ভার্ষ্কর্যের ডিজাইন করেন।

এখানে তারা ব্যবহার করেন পাইপ আর পাইপ। এগুলাকে কেটে, আঠা লাগিয়ে আর সাজিয়ে জিলাপির মত পেঁচিয়ে তারা তৈরি করেছেন এই ট্রি। মৃদুমন্দ বাতাসেও এই জিনিস Pink Floyd এর এলবামের দ্যা লস্ট সাউন্ড ট্র্যাকের মত বাজতে থাকে। এই দুজন আর্কিটেক্ট দেখিয়ে দিয়েছেন যে গানের প্রতি ভালোবাসা কী জিনিস। মিউজিকের সাথে আর্কিটেকচারাল জ্ঞানের কী মিশ্রণ ! এক কথায় অপূর্ব।

ভিডিওঃ উইকি থেকে Click This Link) ১৩) আরেকটা আজব মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট হচ্ছে এক ব্যক্তির বাড়ি। ইয়েস ইউ হার্ড রাইট, ওর বাড়িটাই পুরা একটা ইন্সট্রুমেন্ট। The Wege house এর ঠিকানা হলো Northern Lake Michigan। David Hanawalt and Bill Close নামের আর্কিটেক্ট এর ডিজাইন করেছেনে, যাঁরা পেশায় Sonic Installation Artist। বাইজেন্টাইন যুগের বীণার মত স্ট্রিং দিয়ে সাজানো এই বাড়ি।

পুরা বাড়ি, দেয়াল, হল জুড়ে স্ট্রিং। ফ্যামিলি মেম্বার বা গেস্ট যে কোন সময় যে কোনটা টেনে একটা সুর উঠানোর চেষ্টা করতে পারে। আহ, টাকা থাকলেই হয় না, রুচিও একটা ব্যাপার। ব্যাটার মাথা ভরা আর্ট। http://www.symphonichouse.com/ *** সব কিছুই নেট থেকে পাওয়া।

ইচ্ছা করেই সব সূত্র দিলাম না। কিছু জিনিস গোপন থাকা ভালো । ***আমার হাবিজাবি ব্লগের আপডেট পেতে লাইক দিন এখানে। *** দ্যা মোস্ট আজব সিরিজের বাকি পোস্ট দেখতে এখানে ক্লিক দিনঃ Click This Link ***ব্যক্তিগত ব্লগ সাইটঃ http://wings.rizvanhasan.com/ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.