আমি দেশের উন্নতির পথের সৈনিক বাংলাদেশের ৪১ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার এর নানা পদক্ষেপ দেখা যায়,যার মধ্যে দলীয় কর্মসূচিই প্রাধান্য পায় কিন্তু এবারই প্রথম কোনো সরকার অত্যন্ত সুন্দর এবং প্রশংসনীয় একটি উদ্দ্যোগ নিয়েছে। আমাদের দুর্যোগের মুহুর্তে যখন আমরা আলোর সন্ধানে ছিলাম তখন কিছু মুক্তিকামী মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আলোকবর্তিকা হাতে করে নিয়ে এসেছিল এই দেশে। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাকে শুধু বাঙালিরাই নয় বরং কিছু বাংলার শুভকামি বন্ধুও সাড়া দিয়েছিল। তাই স্বাধীনতার চার দশক পূর্তিতে গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মানিত করলেন ওই সকল বিদেশী বন্ধুদের যারা আমাদের স্বাধীনতার সময় আমাদের নানাভাবে সাহায্য করেছে। কেউবা অস্ত্র হাতে আবার কেউ ক্যামেরার সামনে আবার কেউ সংসদে ঝড় তুলে-সবাই কোনো না কোনো ভাবে অবদান রেখেছেন।
এদের কেউ কেউ বিবেকের তাগিদে আবার কেউ আবেগের বশে আবার কেউ শান্তির কামনা নিয়ে '৭১-এ বাংলাদেশ কে সহায়তা করে। এরকম ৮২ ব্যক্তি ও সংগঠনকে গতকাল পুরস্কৃত করা হয়।
বাংলাদেশে বাংলার বর্ষপূর্তি উদযাপনে এসে বিদেশী বন্ধুরা আবেগ আপ্লুত হয়ে উঠেন। মঞ্চে নিজের সম্মাননা নিতে এসে লে.জেনারেল(অব) জে এফ আর জ্যাকব রণহুন্কার দিয়ে বললেন "জয় বাংলা"..যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সাবেক এমপি মাইকেল বার্নস তার বক্তব্যে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি বাংলার মুক্তির পিছনে বঙ্গবন্ধুর অনবদ্য অবদান এর কথাও উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ওই সকল বিদেশী বন্ধুদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
রাষ্ট্রপতি মো.জিল্লুর রহমান বলেন "যেসব বিদেশী বন্ধুরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের সাহায্য করেছেন,তাদের সম্মাননা দিতে পারত আমাদের জন্য গৌরবের''।
এতক্ষণ আমি আপনাদের সামনে নিছক আনুষ্ঠানিক কথা বার্তা বললাম। এখন বাকিটা আসুন একটু অনুধাবন করি,এই যে যেসব বিদেশী বন্ধুরা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সাহায্য করেছে বা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে তার নিশ্চই কোনো কিছুর আশায় তা করেনি বরং তারা একটা সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তা করেছে। আমাদের দেশের সরকার তাদেরকে সম্মাননা প্রদান করে তাদের কাজ কে অভিনন্দন জানিয়ে আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। সরকারের এই কার্যক্রম বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই অনবদ্য সম্মাননার দেওয়ার বিষয়টি লিখিত থাকবে। যুগে যুগে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এর সম্মাননার দৃষ্টান্ত দেওয়া হবে। এর দ্বারা বাংলাদেশ বিদেশীদের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করলো এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো ওই সকল ব্যক্তি ও তাদের সংশ্লিষ্ট দেশের প্রতি। আজকের দিনে সরকারের বিভিন্ন কাজের সমালোচনা হচ্ছে;এর দায় সরকারের। সেখানে তাদের এই অনন্য উদ্দ্যোগ সত্তিই তাদের জনপ্রিয়তা দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিশ্বের বুকে বাড়িয়েছে।
তাই যদি আমরা সরকার এর নেতিবাচক কাজের গঠনমূলক সমালোকনা করতে পারি তবে তাদের এই সুন্দর কাজটির প্রশংসাও আমাদের করা উচিত। তাই স্বাধীনতার মাসের এই অন্তিমলগ্নে এসে আবার বার্নস এর সাথে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই "জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু''। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।