শিরোনাম দেখে হয়তো অনেকে ভ্রু কুঁচকাচ্ছেন। ভাবছেন এটাও কি সম্ভব! জি, বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যেখানে যেতে ভিসার প্রয়োজন নেই, শুধু বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকলেই হবে। আর এমন কিছু দেশ আছে যেখানে ল্যান্ড করার পরে এয়ারপোর্ট থেকে (on arrival) ভিসা পাওয়া যায়, তবে কোন কোন দেশের ক্ষেত্রে অবশ্য ফি দিতে হয়। ভিসা ছাড়া যাওয়া যাবে এবং অবস্থান করা যাবে এমন দেশগুলো হচ্ছে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে ভুটান (যত দিন ইচ্ছা), শ্রীলংকা (৩০ দিন), দ: কোরিয়া (৯০ দিন), আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে কেনিয়া (৩ মাস), মালাউই (৯০ দিন), সেশেল (১ মাস), আমেরিকা মহাদেশের মধ্যে ডোমিনিকা (২১ দিন), হাইতি (৩ মাস), গ্রানাডা (৩ মাস), সেন্ট কিট্স এ্যান্ড নেভিস (৩ মাস), সেন্ড ভিনসেন্ট ও গ্রানাডাউন দ্বীপপুঞ্জ (১ মাস), টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ (৩০ দিন), মন্টসের্রাট (৩ মাস), ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপমালা (৩০ দিন), ওশেনিয়া মহাদেশের মধ্যে ফিজি (৬ মাস), কুক দ্বীপপুঞ্জ (৩১ দিন), নাউরু (৩০ দিন), পালাউ (৩০ দিন), সামোয়া (৬০ দিন), টুভালু (১ মাস), নুউ (৩০ দিন), ভানুয়াটু (৩০ দিন) এবং মাক্রোনেশিয়া তিলপারাষ্ট্র (৩০ দিন) অন্যতম। এছাড়াও যেসব দেশে প্রবেশের সময় (on arrival) ভিসা পাওয়া যাবে সেগুলো হচ্ছে এশিয়ার মধ্যে আজারবাইজান (৩০ দিন, ফি ১০০ ডলার), জর্জিয়া (৩ মাস), লাউস (৩০ দিন, ফি ৩০ ডলার), মালদ্বীপ(৩০ দিন), মাকাউ (৩০ দিন), নেপাল (৬০ দিন, ফি ৩০ ডলার), সিরিয়া (১৫ দিন), পূর্ব তিমুর (৩০ দিন, ফি ৩০ ডলার), আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে বুরুন্ডি, কেপ ভার্দ, কোমোরোস, জিবুতি (১ মাস, ফি ৫০০ জিবুতিয়ান ফ্রাঙ্ক), মাদাগাস্কার (৯০ দিন, ফ্রি ১,৪০,০০০ এমজিএ), মোজাম্বিক (৩০ দিন, ফি ২৫ ডলার), টোগো (৭ দিন, ফি ৩৫,০০০ এক্সডিএফ) এবং উগান্ডা (৩ মাস, ফি ৩০ ডলার)। ফ্লাইট, টিকিট, হোটেল ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে http://travel.yahoo.com/ http://www.airfare.com/ http://www.farecompare.com/ এসব ওয়েবসাইট থেকে। তবে বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট রওনা হবার সময় কিছু সুযোগ সন্ধানী অফিসার ভিসা নেই বা আপনার সমস্যা হবে এই মর্মে হয়রানি করতে পারে টু-পাই কামানোর জন্য। কেউ এসব দেশে বেড়াতে যেতে চাইলে টিকিট কেনার সময় আরো তথ্য জেনে নিতে পারেন। পোষ্টটি উপকারি মনে হলে শেয়ার করে আপনাদের বন্ধুদেরও দেখার সুযোগ করে দিন যাতে আপনার বন্ধুটিও পোষ্টটি পড়ে উপকৃত হয়। ফেসবুক থেকে সংগ্রহিত
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।