আমরা সবাই অভিনয় শিল্পী এই রঙ্গমঞ্চের......
কিছুদিন আগের ঘটনা। সকাল বেলা বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। নর্দ্দা বসুন্ধরার এখানে বাসের জন্য অপেক্ষা করতেছি। বাস এর কোন খবরই নাই। তবে রাস্তায় গাড়ির অনেক চাপ।
পাশেই দাড়িয়ে ছিলেন এক ভদ্রলোক সাথে ১২-১৪ বছরের একটা ছেলে আর আর ৩-৪ বছরের একটা বাচ্চা।
ছেলেটা যে শহরে থাকেনা তা তাকে দেখলেই বোঝা যায়। হয়ত শহরে বেড়াতে এসেছে। বাচ্চাটা গাড়ির আসা যাওয়া দেখছে...এমনি করে দেখার সময় বাবাটা তার বাচ্চাকে অপর পাশে একটা গাড়ি দেখিয়ে বলতেছিল ঐ যে দেখ তোমার ভাইয়ার স্কুলের গাড়ি যাচ্ছে। পাশ থেকে ছেলেটা বল্ল এইখানে তো দেখি সব মাইয়া কোন পোলারে তো দেখি না ।
একটু পর আরেকটা গাড়ি গেল। ছেলেটা আবার ও বল্ল এখানেও সব মাইয়া। পোলা নাই। মাইয়াগো স্কুলে রাজিব কে ভর্তি করাইলেন কিভাবে ??
ছেলেটার কথাটা কানে আসতেই স্কুল বাসটার দিকে নজর পড়ল। বাসটি রাস্তার অপর পাশে দাড়িয়ে আছে জ্যাম এর কারনে।
আমিও লক্ষ্য করলাম সম্পূর্ন বাসটি স্কুলের বিচ্ঞাপনে ভরা। এতটুকু জায়গা খালি ছিল না।
আর বাসটিতে ৮-১২ জন সুন্দরী ছাত্রীর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। আমি অনেক খুঁকে ও একটা ছেলের ছবি পেলাম না, যদিও আমি জানি স্কুল টি কম্বাইন্ড।
এমন ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে যে দেখলে যে কারো চোখ ক্ষনিকের জন্য হলেও আটকে যেতে পারে।
মেয়েগুলো দেখতে সত্যি অনেক সুন্দর ছিল।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেকি কতৃপক্ষ মেয়েদেরকে তাদের পন্য বানিয়ে ফেল্ল না?
যদি স্কুলেরই বিজ্ঞাপন বা তাদের শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে জানানোর থাকে তাহলে শুধু কি মেয়েদের মাধ্যমেই জানাতে হবে ?
ক্যামব্রিয়ান এ যতদুর জানি ছেলেরাও পড়ে। তাহলে কেন ছেলেদের কে না রেখে মেয়েদের রাখা হল?
কতৃপক্ষ কি মেয়েদের বিজ্ঞাপনের পন্য হিসেবে ব্যবহার করে অন্যদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করতে চাইছেন ?
যদি আপনাদের কারো দেখতে মন চায় তাহলে ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ এর মাইক্রোবাস গুলো একবার দেখে নিতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।