সর্বত্রই দূর্নীতি এবং মানবিক মুল্যবোধের চুড়ান্ত অবক্ষয় আমাদের ধংশ করে দিচ্ছে......
সরকারের অদূরদর্শিতার কারণে ব্যাংকিং খাতের সুদের হার একেক সময় একেকরকম নির্ধারণ করার দরুন এ খাতে সমস্যা দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। এতে দেশের ব্যাংকিং খাতে আবার নতুন করে অরাজকতা শুরু হয়েছে। আমানত সংগ্রহ নিয়ে যেভাবে প্রতিযোগিতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিষদ, তাতে এ খাতে বিশৃঙ্খলা যে আরও চরম আকার ধারণ করবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। কর্তৃপক্ষ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যেভাবে আমানত সংগ্রহের টার্গেট দিয়েছেন তা পরিপূরণ করতে গিয়ে তারা এক ব্যাংকের টাকা আরেক ব্যাংকে আনছেন এবং বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করছেন। তারা যদি টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হন তাহলে তাদের ইনক্রিমেন্ট বাতিল, এমনকি চাকরি নিয়ে ভীতি পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে।
কেন ব্যাংকগুলোর এ অসুস্থ প্রতিযোগিতা? তা হলো, ব্যাংক পরিচালনা করতে যে পরিমাণ মূলধন দরকার তা মূলত ব্যাংকগুলোর হাতে নেই। অপরদিকে এলসি খোলার জন্য পর্যাপ্ত চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ব্যাংকগুলো সে পরিমাণ অর্থ ব্যবসায়ীদের যোগান দিতে পারছে না। এতে করেই মূলত ব্যাংকগুলোর অর্থের প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে। আর এর মূলে রয়েছে সরকারের মাত্রাতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ ও সম্প্রতি সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাড়ানো। এ কারণে ব্যাংকের পরিবর্তে সঞ্চয়পত্রের দিকে মানুষ ঝুঁকে পড়ছে।
ফলে সমস্যা আরো জটিল আকার ধারণ করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।