আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকা টু চিটাগাং - ১৬ ( শ্রীনিধি )

এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা । রেল লাইন ধরে পায়ে হেটে ঢাকার কমলাপুর ষ্টেশন থেকে চিটাগাং পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনার কথা অনেকেই জানেন ।

ইতিমধ্যেই আমরা হাটা শুরু করে দিয়েছি,,,,,,,, মাঝখানে অনেকদিন বন্ধের পর আবারো শুরু করলাম । ঢাকা থেকে চিচাগাং যেতে অনেকগুলো ছোট ষ্টেশন আছে যেগুলোর নাম এবং সংখ্যা অনেকেই জানেন না, আমি ও জানি না । আমি এক ষ্টেষণ থেকে পরবর্তী ষ্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানগুলোর ছবি দিব এবং প্রতি ষ্টেষণের জন্য একটা করে পোষ্ট । এতে করে ষ্টেষণের নাম এবং সংখ্যাটা ও হিসেব হয়ে যাবে । আমাদের হাটার ধরণঃ- সারাদিন রিলাক্স মুডে রেল লাইন ধরে হাটব, সন্ধ্যায় গাড়িতে করে বাড়িতে ফিরে আসব ।

এই সপ্তায় যেখানে আমার হাটা শেষ হবে আগামী সপ্তায় সেখান থেকে হাটা শুরু করবো এবং আবারো সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসব । এভাবেই পর্যায়ক্রমে আমি চিটাগাংএর দিকে অগ্রসর হব এবং যতদিন না আমি চিটাগাং পৌছতে পারি প্রতি সপ্তাহে আমার হাটা চলতেই থাকবে । বিশেষ সমস্যা না হলে কোন সপ্তাহ'ই আমি হাটা বন্ধ করবো না । ষ্টেশনের অবস্থানঃ শ্রীনিধি ষ্টেশনটা নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলায় অবস্থিত । রেল লাইন ধরে হাটলে আপনি এমন গ্রামীন ছবিগুলোই দেখবেন সব চেয়ে বেশী আশপাশের গ্রামের লোকজন রেল লাইন দিয়েই এভাবে পারাপার হয়ে থাকে,,,,,,,,,,,, রেল ব্রীজে বসে তিনজনের একটা কঠ্ঠিন পোজ এটার নাম কুমারী লতা, কুমারী লতার কচিঁ ডগা খেলে নাকি কিছু একটা হয়, সাপেরা নাকি ইহা নিয়মিত খায় ।

তাই এই গাছের পাশে গেলে সাপের কামড় খাওয়ার ঝুঁকি থাকে, কথাটা সঠিক না বেঠিক জানিনা, তবে ইহা আমি যেখানেই পাই আমি খেয়ে থাকি । কুমারী লতার ডগা উদ্ধার অভিজান লাল লজ্জাবতী, রেল লাইনের পাশে যাদের অবস্থান অত্যন্ত শক্ত... এটার নাম কি কেউ জানেন ? ছোট কালে আমার এলাকায় প্রচুর ছিল এখন আর নেই । রেল লাইনের পাশে মাঝেমধ্যে দেখা যায় । ইহা অনেকটা বেলুনের মতো চারিদিক বন্ধ ভেতরে বাতাসে পরিপূর্ণ ফাঁপা । ছোট কালে এগুলো এক হাতের উপর রেখে অন্য হাতে জোরে থাপ্পর মারতাম আর বিকট শব্দে ইহা বিস্ফোরিত হতো ।

গাছের ছায়া যে কত মূল্যবান হাড়ে হাড়ে টের পেলাম । এই ছোট্ট দোকানীর কাছ থেকে খেলাম মুড়ির মোয়া আর নলকূপের ঠান্ডা পানি, শরীরটা একেবারে জুড়িয়ে গেল । দু'টি মাছরাঙা কৃষকের খেলা..... এটা কতদিনের পুরোনো মসজিদ জানিনা, সামনে থেকে খুব ভালোভাবে ছবি তোলার সুযোগ ও ছিল না, এটা রায়পুরা উপজেলার সাপমারা বাজারে অবস্থিত । এক সময় পৌছে গালাম দৌলতকান্দি আগামী পর্ব হবেঃ ঢাকা টু চিটাগাং - ১৫ ( দৌলতকান্দি ) আগের পর্বঃ ঢাকা টু চিটাগাং - ১৫ ( মেথিকান্দা )  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.