ভালোবাসি ফুল, চাঁদ, শিশু আর বাংলাদেশ। রাজাকার-মৌলবাদীরা ১০০ হাত দূরে থাকুন। কারাগার মতিবেদক
আজ ছাব্বিশে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে কারাগারে বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমের চিৎকারে কারাগার কক্ষ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
জামায়াতে ইসলামীর এই ৮৯ বৎসর বয়স্ক সাবেক খানকির পোলায়ে আমীর কাদতে কাদতে বলেন, জ্বলে!
কর্তব্যরত চিকিৎসকগন ছুটে এসে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন বলে মতিকণ্ঠের অনুসন্ধানে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, গোলাম আজম ‘জ্বলে, জ্বলে’ বলে চিৎকার করছিলেন।
আমি ও আমার সহকর্মী চিকিৎসক তাঁকে প্রশ্ন করি, কোথায় জ্বলে? কিন্তু তিনি আমাদের প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান।
মতিবেদকের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বর্ননা দেন দুই চিকিৎসক। তারা বলেন, আমরা অধ্যাপক গোলাম আজমকে জিজ্ঞাসা করি, আপনার কি মাথায় জ্বলে? তিনি উত্তরে বলেন, না।
এরপর আমরা জানতে চাই, আপনার কি গলা জ্বলে? তিনি উত্তরে বলেন, না।
এরপর আমরা জানতে চাই, আপনার কি বুক জ্বলে? তিনি উত্তরে বলেন, না।
এরপর আমরা জানতে চাই, আপনার কি পেট জ্বলে? তিনি উত্তরে বলেন, না।
এরপর আমরা জানতে চাই, আপনার কি পা জ্বলে? তিনি উত্তরে বলেন, তোমরা আসল জায়গা বাদ দিয়ে পেট থেকে পায়ে নামলা কেন?
কর্তব্যরত চিকিৎসক আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, এরপর গোলাম আজম চিৎকার করে অকথ্য ভাষায় তাদের গালি দিয়ে জানান, তার আসলে কোথায় জ্বলে।
কারাগারে কর্তব্যরতদের মধ্যে যারা জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক, তাদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে কারাগারে ছুটে আসেন গোলাম আজমের পুত্র ও সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত বিগ্রেডিয়ার আবদুল্লাহিল আমান আজমী। তিনি মতিবেদককে বলেন, প্রতি ছাব্বিশে মার্চেই অধ্যাপক গোলাম আজমের জ্বলে। তিনি বলেন, ঠাণ্ডা আইসক্রীম প্রয়োগ করলে জ্বলা কমে যাবে।
বৃদ্ধ বয়সে ঠাণ্ডা আইসক্রীম খেতে দেয়া উচিত হবে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে আমান আজমী বলেন, আমি আইসক্রীম মুখে প্রয়োগ করতে বলিনি।
সূত্র: মতিকণ্ঠ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।