দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক
জাপানের গবেষকরা সম্প্রতি ‘রেয়ার আর্থ মিনারেল’ অর্থাৎ সহজে পাওয়া যায় না—এমন খনিজ পদার্থের একটি বিশাল ভাণ্ডার খুঁজে পেয়েছেন। এই আবিষ্কার পশ্চিমা বিশ্বের জন্য কিছুটা স্বস্তি বয়ে আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফ্ল্যাট স্ক্রিন টেলিভিশন বলুন আর আইপড—সর্বাধুনিক এসব প্রযুক্তি তৈরির জন্য প্রয়োজন রেয়ার আর্থ মিনারেল। এছাড়া কৃষিকাজ ও পশুপালনে বিরল এসব খনিজের ব্যবহার নিয়ে কথা হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হলো, বিশ্বের প্রায় ৯৫ শতাংশ রেয়ার আর্থের মালিক চীন।
তাই সব দেশকে চীনের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
তবে চীনের নিজেরও যেহেতু এই খনিজ দরকার, তাই গত ক’বছরে রেয়ার আর্থের রফততানি কমিয়ে দেয়া হয়েছে। আর বাড়ানো হয়েছে রফতানি কর। ফলে বিপদে পড়েছে অন্যান্য দেশ।
বাধ্য হয়ে বিশ্বের নানা জায়গায় রেয়ার আর্থের খোঁজ চলছে।
জার্মানিতে এজন্য রীতিমত একটি জোট গঠন করা হয়েছে। বড় বড় সব কোম্পানি এ জোটের সদস্য। রেয়ার আর্থের খোঁজে যে খরচ হবে—তা নিজেরা ভাগাভাগি করে নেবে জোট সদস্যরা।
এরই মধ্যে জাপানের গবেষকরা বেশ আশার বাণী শোনালেন। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইয়াশুহিরো কাতোর নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী সম্প্রতি বিরল খনিজের একটি বিশাল সংগ্রহের সন্ধান পেয়েছেন।
হাওয়াই দ্বীপের পূর্ব ও পশ্চিম অংশ এবং ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার তাহিতির পূর্বে, সাগরের সাড়ে তিন থেকে ছয় কিলোমিটার গভীরে এই সন্ধান পাওয়া গেছে।
অত্যাধুনিক সামরিক যন্ত্রপাতি তৈরির জন্যও প্রয়োজন এসব বিরল খনিজ। কানাডার রেয়ার এলিমেন্ট রিসোর্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মার্ক ব্রাউন বলেছেন, এমন কিছু প্রযুক্তি আছে যেগুলো রেয়ার আর্থ ছাড়া তৈরি করা অকল্পনীয় এক ব্যাপার। এমনই কিছু খনিজ হলো ল্যান্থানাম, নিওডাইমিয়াম এবং সিরিয়াম। ব্রাউন বলছেন, সঙ্গত কারণেই রেয়ার আর্থ মিনারেলের ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ অন্যান্য দেশের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে কথা হচ্ছে ইদানীং। সেখানেও রেয়ার আর্থের প্রভাব লক্ষণীয়। একটি হাইব্রিড গাড়ির ব্যাটারির জন্য প্রায় ১৫ কিলোগ্রাম রেয়ার আর্থ প্রয়োজন। এছাড়া এসব খনিজ খোঁজা ও উত্তোলন প্রক্রিয়া পরিবেশের ওপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সেটা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। সূত্র : ডিডব্লিউ।
তথ্যসূত্র-
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।