বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility কাজে অনেক কষ্টেই মন বসিয়েছি । সতীর্থ পাকি ও ভারতীয়রা হালকা সমবেদনা জানিয়েছে ।
বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ এই ২ রানের হারকে জয় মনে করেছে । আমিও মনে করি এই হাড্ডা হাড্ডি লড়াউ উপভোগ্য কিন্তু সামলে নেওয়ার নয়, অন্তত পরাজয়টা ।
মোবাইলের স্ক্রীনে কিছুক্ষণ পর পরই তাকাচ্ছিল কাজ ফেলে ই এস পি এন এর এপস এর দিকে ।
শেষ ওভারে অল্প কিছু রান ।
বুকটা ছিন্ন করে একটা বুলেট গিয়েছে ।
৩০ কি ৪০ বা ২০ রান হলেও কষ্টটা হত না যতটা হয়েছে মাত্র ২ রানের আক্ষেপ । শেষ ওভার গুলিতে বাঘের অনুপস্থিতি ।
মনে হয় বাঘ মামা সাকিব আর তামিম এর উপরই ভর করে ।
আর কারউ নয় ।
খেলার আগেই শিওর ছিলাম শিরোপাটা আমাদের , আমরা নতুন পরাশক্তি ।
পরাশক্তির ব্যাপারটা মিথ্যা নয় তবে শিরোপাটা চলে গেল ।
কি রকম কষ্ট হয়েছে, বুঝাতে পারব না ।
শাহাদাত স্পিডি মানি কিন্তু লাইন লেন্থ ঠিক নাই ।
আমাদের মিডিয়াম পেসার সুজন তার স্পিড ছিল না কিন্তু লাইন ও ল্যান্থ পেত । যদিও ব্যক্তিগতভাবে সুজনকে বাংলাদেশ দলেও যোগ্য মনে করি নাই , গতির জন্য । কিন্তু সে পূর্ববতী সহকারী আই সিসির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন জয়ে অবদান রেখে গিয়েছে । তাই সে ভোলার নয় ।
তারই অগ্রজ হল মাশরাফি ও শাহাদাত অনেকে ।
মুশফিক গত লংকার বিরুদ্ধেও ম্যাচে শাহাদাতকে দিয়েছে শেষে । অনেকে বলেন তার সিদ্ধান্তহীনতার ব্যাপারে ।
আমি বলি তার নীতি ঠিক ছিল, সে স্পিডি পেসার নামাতে চেয়েছিল যেটা শাহাদাতের মাধ্যমেই সম্ভবপর । কিন্তু শাহাদাত কোন ম্যাচে তার ঠিক বজায়টা রাখতে পারছে ? স্পিডই কি সব ? না ,, না সব না । যেমনই ধুতরাফুল সাহেব এর অভিজ্ঞতাই সব না ।
কোন পারফরম্যান্স নাই তো ,অন্যকে জায়গা দেওয়া উচিত নিজেকে তুলে ধরার ।
২য় হল হার্ড হিটার , অলক, আফতাব, নাফিস এরা হল মার্কড হার্ড হিটার । এদের প্রয়োজনীয়তা কি দল অনুভব করে নাই ?
নাসির, নাজিম এরা পুরাই নতুন বিদেশীদের বিরুদ্ধে খেলায় । এরা যে গত মালিঙ্গার বল কত কষ্ট করে খেলেছে তা সরাসরিই দেখেছি তবে মালিঙ্গার ভয় পৃথিবীর সব ফাইটার ব্যাটসম্যানদের মধ্যেও বিরাজমান । যদিও রান করেছে নাসির ।
তবে ৬৩ বলে ২৮ রান এটা মানতে পারছি না ।
অনেকে বলবেন, নতুন এসেছে হেন তেন, একটা সেট হোক , অগা মগা.... অ ক খ কত কিছুই বলা হবে কিন্তু এই বলেতে আশরাফুল পারফরম্যান্সবিহীন বহু বছর থেকে গেছে । যদিও ফুল সাহেব এর অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হয়েছে , সে জানে যে এই মুহূর্তে হার্ডকোর মারমুখী হতে হবে । এটা কি নাসির এত দিন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে বুঝে নাই ?
এটা ঠিক তাকে পেশাদার ব্যাটসম্যান না বলে অলরাউন্ডার বলা উচিত ।
আর ৫২ বলে ১৬ করা নাজিমুদ্দিন এর কথা ভুলার নয় ।
বুঝলাম পাকিদের পেস ও স্পিন তান্ডবে বাংলাদেশ একটু কষ্টে ছিল কিন্তু এই তান্ডব তো সাকিব , তামিমকে ডিস্টার্ব করে না, করে না আশরাফুলকেও যদিও সে ব্যর্থ অনেক দিন ধরে । কিন্তু ফুলের পূর্ববর্তী কঠিন ইনিংস দেখেও কিন্তু নাসির আর নাজিম সাহেবদের শিখা উচিত ।
এই পোষ্ট আশরাফুলের স্তুতির জন্য করা হয় নি, হতে পারে অনেকে তাই মনে করবে । কিন্তু কেউ যদি বলে শচীন একজন কিংবদন্তী তাহলে আমি বলব আমাদের কিংবদন্তী লিটল শচীন ফুল সাহেবকেই যদিও সে আজ ব্যর্থ ! যেন সেন ব্যর্থ নয় কঠিন ব্যর্থ । তাকে মানে পুরাতন এ্যাশকে টুর্নামেন্টে নাসির আর নাজিমের জায়গায় মিস করেছি ।
যদিও এই এ্যাশ অন্ধকারে হারিয়ে গেছে বা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ।
বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন কেউ, এই ম্যাচ এর ১ম পাকি ইনিংস শেষে , ধরে নেন যাই যে, বাংলাদেশ হেসে খেলে জিতবে ?
আমি ধরেই নিয়েছিলাম ৩৫০ করলেও বাংলাদেশের ক্ষমতা আছে তা করার । ৪০০ করলেও পারবে ।
কেমনে পারবে ? লংকার বিরুদ্ধে ইনিংসা একটা রিপ্লে করে দেখুন ।
ভয় মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলে বাহির করা কষ্ট কর ।
যেটা সুন্দর করে, করেদিয়েছে নাসির ও নাজিম ।
আর শাহাদাত এর সিরিজ নিয়ে নাই ঘাটলাম ।
অনেক হেরেছি, আর হারতে চাইনা, বীরের মত হারা সঙ্গী হতে পারে না । চাই জয় জয় জয় ।
ইতিহাসের পাতায় বিজিত দলই লিখিতহয় মমতায়, পরাজিত দল হয় কলংকিত ।
বাংলাদেশ তাদের মধ্যে যে পরাশক্তি ভাব প্রকাশিত হয়েছে । তাতে আনন্দে আনন্দিত হয় তৃষ্টা মিঠছে না ।
চাই আগ্রাসী জয় ।
অনেকে বলেন সামনে জয় আসবে ............ আমিও অপেক্ষায় রইলাম ..ভুল শুধরে ,,,,,,,,,,,,, আমরা হব ক্রিকেট এর সুপার শক্তি । অব্যর্থ ঘুর্ণী ও গতির নিশানায় প্রতিপক্ষের দূর্গ করব বিধ্বস্ত ।
হব আমরা মানসিকতায় বলীয়ন । হব আগ্রাসী , বলের ঠিকানা হবে মাঠের বাহির ।
অনেক বলেন ক্রিকেটারদের সাধারণ জীবন আছে .. .. ১১ জনের দলের প্রত্যেকের কাছে পৃথিবীর সব মাতৃভূমী বাংলাদেশীর মানসিকতা নির্ভর করেছে ।
একজন সতীর্থ ব্লগার তো বললেনই শাহাদাত এর একার দোষ না আমিও বলি তার একার নয় সবারই । দোষ খুজতে গেলে অনেক খুজা যাবে, যেভাবে আমি খুজতে চেষ্টা করেছি ।
কিন্তু শুধরানো টাই সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ । আমরা যারা বাহিরে থাকি নিজ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মানুষের সাথে কাজ করি তাদের সাথে আমাদের ব্যবহার কষ্ট দেয় ।
কষ্ট হয় ছোট্ট একটা ইসরাইল পৃথিবী তান্ডব করে আর আমরা তান্ডব না করা ছাড়াই শান্তিতে থাকতে পারি না ।
খুব শখ করে পাকিস্তানী এক সর্তীথের কাছে বলেছিলাম বাংলাদেশ আগের বাংলাদেশ নয় আর, এটি ভিন্ন, কথাটি ১০০ ভাগ সত্য, তবে জয়ের ব্যাপারটা মিথ্যা হয়ে যায় । তার মুখে একটা করুনা ছিল ।
এটা সহ্য করতে কষ্ট হয়েছে , সেটা কি মুশফিক অনুভব করবে ??
মুশফিক তো বিদেশীদের মধ্যে থাকে না, আমি থাকি আমি বুঝতে পারছি ।
তবে আমি মুশফিককে হেয় করছি না তবে তুলনা করছি । সুতরাং আমাদের উপরও চাপটা কম নয় । বাস্তবিক জীবন এ সাধারণ খেলার চাপটাও পড়ে । সেটাই বুঝাচ্ছি ।
সেটা দেশ বিদেশ যেখানেই হোক । আমি বুঝি ১৬ কোটির কি চাপ যাচ্ছে মুশফিকের উপর কিন্তু যেখানে ১০-১২ জন পাকি , ভারতীয়র চাপ সহ্য করতে পারছি না ।
তবুও সেলুট তাদের , বাংলার দামাল ছেলেদের ।
একজন সাধারণ ক্রিকেট প্রেমিক ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।