aurnabarc.wordpress.com ফিরে আসুক সেই একাত্তর ।
গর্জে উঠুক বাংলাদেশ।
এবার জিততে চাই এশিয়া কাপ।
মনের আনন্দে পোস্ট লিখার মানসিকতা হারাইয়া ফালাইছি। ডিরেক্ট কপি পেস্ট মার্তেছি বাংলানিউজ থেকে।
ইইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ! ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির খাঁড়া পেরিয়েও রীতিমতো হেসেখেলে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গী হলো মুশফিক বাহিনী। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২১২ রানের লক্ষ্য ১৭ বল বাকি থাকতেই টপকে যায় স্বাগতিক টাইগার বাহিনি।
শ্রীলঙ্কা ইনিংস: ২৩২ (৪৯.৫ ওভার)
বাংলাদেশ ইনিংস: ২১২/৫ (৩৭.১ ওভার)
ফলাফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নাজিমুদ্দিনকে (৬) বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান পেসার নুয়ান কুলাসেকারা। দলের ৩৯ রানে আউট হন জহুরুল ইসলাম।
সুরঙ্গা লাকমালের বলে মিড উইকেটে তালুবন্দী হন কাপুগেদারার। এক রান যোগ হতেই দলপতির উইকেটটিও হারায় বাংলাদেশ। ১২৫ কিমি গতির বলে মুশফিকুর রহিমের উইকেট উপড়ে ফেলেন কুলাসেকারা।
চতুর্থ উইকেটে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দলের স্কোরে ৭৬ রান যোগ করে ফিরে যান তামিম ইকবাল (৫৯)। সেনানায়েককে উড়িয়ে মারতে গিয়ে পয়েন্টে থিরিমান্নের মুঠোবন্দী হন তামিম।
তবে জন্মদিনটা খারাপ কাটেনি তামিমের। ৫৭ বলে ৫৯ রানের ঝকঝকে একটি ইনিংস উপহার দেন এই মারকুটে ব্যাটসমান। নয়টি চারে সাজানো ছিল তার ঝলমলে ইনিংসটি। দলীয় ১৩৫ রানে এলবিডব্লু`র ফাঁদে ফেলে সাকিবকেও তুলে নেন সেনানায়েকে। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে হার না মানা ৭৭ রানে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন নাসির হোসেন ও মাহমুদু্ল্লাহ।
নাসির ৩৬ ও মাহমুদুল্লাহ ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন।
নুয়ান কুলাসেকারা ও সচিত্র সেনানায়েকে প্রত্যেকেই দুটি করে উইকেট তুলে নেন। অপর উইকেটটি পেয়েছেন সুরঙ্গা লাকমাল।
আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩২ রান তোলে লঙ্কানরা। তবে বৃষ্টির কারণে খেলা ৪০ ওভারে নামিয়ে আনা হলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাড়ায় ২১২।
এর আগে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই নাজমুল হোসেনের বোলিং তোপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। দলের ৩২ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। ১৯ রানে অধিনায়কের উইকেটটি হারায় লঙ্কানরা। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে জয়াবর্ধনের উইকেট ভেঙ্গে দেন পেসার নাজমুল হোসেন। ব্যক্তিগত ৬ রানে কুমার সাঙ্গাকারা এক্সটা কভারে নাজিমুদ্দিনের ক্যাচে পরিণত হন।
বোলার এবারো নাজমুল হোসেন। ব্যক্তিগত পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে তিলকারত্নে দিলশানকে (১৯) বোল্ড করে নিজের তৃতীয় উইকেটটি তুলে নেন নাজমুল।
চতুর্থ উইকেটে চামারা কাপুগেদারা ও লাহিরু থিরিমান্নের ৮৮ রানের জুটিতে প্রাথমিক বিপদ সামলে ওঠে শ্রীলঙ্কা। এই জুটি উইকেটে ২২.৪ ওভার অবিচ্ছিন্ন থেকে ইনিংস মেরামত করেন। ব্যক্তিগত অর্ধশতক থেকে দুই রান দূরে থাকতে রাজ্জাকের বলে থিরিমান্নের (৪৮) উইকেট ভেঙ্গে দেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম।
তবে হাল ছাড়েননি কাপুগেদারা। থারাঙ্গাকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৪৯ রান করে সাকিবের শিকার হন। ৬২ রানে এলবিডব্লু হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তবে উপুল থারাঙ্গার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দু`শোর কোঠা পেরোয় লঙ্কানরা। দলের ২০৪ রানে শাহাদাতের বলে উইকেটের পেছনে তালুবন্দী হওয়ার আগে ৪৮ রান করেন থারাঙ্গা।
তবে এর আগেই পারভেজ মাহারুফ (৩) ও নুয়ান কুলাসেকারাকে (১) হারায় শ্রীলঙ্কা। পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে লাসিথ মালিঙ্গা ১০ ও সুরঙ্গা লাকমাল বিনা রানে ফিরে গেলেও ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন সুচিত্র সেনানায়েকে।
৩২ রানে তিনটি উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন নাজমুল হোসেন। এছাড়া আব্দুর রাজ্জাক ও সাকিব আল হাসান প্রত্যেকেই দুটি করে উইকেট নেন। মাশরাফি মতুর্জা ও শাহাদাত হোসেন একটি করে উইকেট দখল করেন।
বলে-ব্যাটে দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়ে ম্যাচ সেরা হন সাকিব আল হাসান।
বাংলানিউজের মূল খবর। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।