রাজনীতি ও অর্থনীতি এই দুই সাপ পরস্পর পরস্পরকে লেজের দিক থেকে অনবরত খেয়ে যাচ্ছে
সাংবাদিক হিসেবে প্রতিদিনই নানা রকম অভিজ্ঞতা হয়। সেই অভিজ্ঞতার গল্পও কম মজার না। কাল শুক্রবার ছোট এক আড্ডা-পার্টিতে ছিলাম আমরা। কয়েকজন সাংবাদিকও ছিল। অভিজ্ঞতা নিয়ে আড্ডা দিতে দিতে এটিএনের মুন্নী সাহা শোনালো সবচেয়ে সরস অভিজ্ঞতা।
(মুন্নীর মতো করেই বলি)।
মুন্নী কদিন আগে গিয়েছিল সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের সাক্ষাৎকার নিতে, নিউজ করার জন্য। তার গুলশানের বাসায়। সাধারণত সাইফুর রহমান নীচে ড্রয়িং রুমে বসে কথা বললেও এখন আর তার নীচে নেমের আসার শক্তি নাই। যথেষ্টই অসুস্থ্য।
ফলে মুন্নীকে যেতে হলো উপরে। একহাতে লাঠি নিয়ে সোফায় বসে ছিলেন সাইফুর রহমান। কিন্তু সেখানে যথেষ্ট আলো নেই। ফলে মুন্নীর অনুরোধে তাকে বসতে হলো আরেক সোফায়।
সোফায় হেলান দিয়ে বসেই সাইফুর রহমান-বুঝলা নি, গত দুই সপ্তাহ ধরিয়া বাথরুমে বসিয়া বসিয়া খালি আমি ছেরি দেখি।
মুন্নী বিষ্মিত, ভাবলো ভুল শুনেছে- কি বললেন স্যার?
-বুঝলা না, বাথরুমে বসিয়া খালি ছেরি দেখি।
মুন্নী এবার আরও বিষ্মিত। এবার আরেকটু কাছে গিয়ে বললো-বুঝি নাই স্যার।
-আরে বলিলাম যে গত দুই সপ্তাহ ধরিয়া বাথরুমে বসিয়া বসিয়া আমি খালি ছেরি দেখি।
এইবার মুন্নীর অবস্থা খাবি খাওয়ার মতো।
গোল গোল চোখ দেখেই এবার সাইফুর রহমান মুন্নীকে জানালার পাশে যেয়ে দেখে আসতে বললেন।
অবাক মুন্নী জানালার কাছে যেয়ে দেখে সাইফুর রহমানের বাড়ির একপাশে নানা রঙ্গের চেরি ব্লজম ফুল ফুটে আছে। আর বাথরুমের জানালা দিয়েই সেটিই সবচেয়ে ভাল দেখা যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।