i love somewhere blog.
ভাল করে ছবি গুলো দেখুন, পড়ুন,
এগুলো বাংলাদেশ - ভারত ম্যাচ শেষ হবার পর পর সামুব্লগে প্রকাশিত কিছু ব্লগারে পোষ্টের স্ক্রিনশট।
লক্ষকরুন পোষ্টগুলোতে বাংলাদেশ দলকে কোথাও অভিনন্দন বা স্বগত বা ধন্যবাদ, প্রশাংসা কিছুই জানানো হয়নি।
সাধারণত কোন একজন মানুষ যদি কোন কিছুতে সাফল্য পায় আমরা ঐ মানুষকে প্রথমে অন্যকিছু বাদদিয়ে তারা তারি অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই।
কিন্তু আমাদের রাম ছাগুল গুলো বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ শেষ হবার পরপরই বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন না জানিয়ে দাদা-ভাদা বলে বলে এমন লাফালাফি শুরু করলো, দেখে সত্তি সত্তি মনে হলে এরা আসলে কোন মানুষ নয় ১০০%ছাগল বা ছাগলের বাচ্চা।
লক্ষকরে দেখবেন একটি ছাগলের বাচ্চা যখন খুব খুশি হয় তখন তারা অনন্দে খুব লাফালফি করে।
ছাগুরা টিক তায় করলো বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্বে জয়ী হবার পর পর।
একটি ছাগলের বাচ্চাকে যখন খোলা মাটে ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন দেখবেন ছাগলের বাচ্চাগুলো সারাক্ষন ২ টি কাজ করে থাকে সাধারণত কিছুক্ষণ ঘাস খায় আবার কিছুক্ষণ লাফালাফি করে।
টিক সামুব্লগে কিছু ছাগু আছে তারাও দুটি কাজ নিয়ে ব্যস্ত তাকে।
দুটি কাজ হলো
১) দাদা ও ভাদা করে কারে জল্পনা ও কল্পনা করতে।
২) রাজাকরদের সারাক্ষণ প্রশংসা করতে।
এ সমস্ত ছাগুরা তাদের প্রতিটি পোষ্টে ও প্রতিটি মন্তেব্যে ভাদা-দাদা এইদুটি শব্দ ব্যবহার করবে,
এবার জানা দরকার দাদা ও ভাদা শব্দের অর্থ,
দাদা শব্দের অর্থ হল বাবার জন্মদাতা বা বাবার বাবা, ইংরেজীতে যাকে ( এৎধহফ ভধঃযবৎ ) –গ্রান্ড ফাদার বলে।
দাদা শব্দের তাৎপর্য -- দাদা একটি অতি সম্মানিত শব্দ, আমরা বাবার বাবাকে সম্মান করে দাদা বলে সম্ভষণ করি। র্ধমীয় নিয়ম অনুসারে দাদা আমাদের মুরুব্বী ও গুরুজন। দাদা সম্মান করা আমাদের নৈতিক ও র্ধমীয় দায়ীত্ব ।
ভাদা--এটি এমন একটি শব্দ যে শব্দটি দুনিয়ার কোন অভিধানে পাওয়া যাবেনা, এর কোন অর্থ তাৎপর্য র্মম কিছ্ইু নেই, নেই কোন ইতিহাস।
নেই কোন ব্যবহার।
আমি গবেষণা করে দেখেছি মাত্র সামান্য কিছু রাজাকার র্মাকা ও র্ধম অন্ধ লোক এই ভাদা শব্দটি ব্যবহার করেন। তবে এই পর্যন্ত তারা কেন এই কাল্পনিক ও অর্থহীন শব্দটি ব্যবাহার করেন তার নিদিষ্ট কারণ এখনো পাওয়া যায়নি। এই শব্দটি আমি শুধু মাত্র সামু-ব্লগে দেখেছি, অন্য কোন পত্রিকা বা মিডিয়াতে দেখিনায়। এর ব্যবহার অতি সামান্য ও অত্যান্ত সীমিত।
দাদা ও ভাদা শব্দটি সামু-ব্লগে কেন ব্যবহার করা হয় তার একটি কারণ দেখি।
রাজাকার র্ধমঅন্ধ ও মৌলাবদী সমর্তক বা এই জাতীয় কিছু লোক সাধারণত এই দুটি শব্দ ব্যবহার কতে দেখি সামুতে।
যখন তাদের ছাগু, রাজকার , মৌলবাদী বলে সম্ভাষন করা হয় তখন তারা তাদের মনের দুঃখে অপমানে অসহায় ও লজ্জিত হয়ে আর কোন শব্দ খুজে না পেয়ে এই দুটি শব্দ ব্যবহার করেন।
সাধারণত যখন লজ্জা, দুঃখ, অপমানীত হয় মানুষ তখন তাদের স্বাভাবিক জ্ঞান হারিয় ফেলেন। তখন তারা উল্টাপাল্টা ও পাগলের ন্যায় আচারণ করেন।
আমারও মনে হয় যখন একজন রাজাকার কে যখন রাজাকার ও মৌলাবদীদের মৌলবাদী বলা হয় তখন তারা মারাত্বক অপমানে তাদের স্বাভাবিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তখন তারা অন্যদের দাদা ভাদা বলে গালি দেন।
যদিও বা দাদা একটি সম্মানিত শব্দ। কিন্তু তারা যেহেতু বেহুশ অপস্থায় থাকেন তখন তারা তা বুঝতে পারেনা।
যখন এই সমস্ত মৌলবাদী ও রাজাকার কাউকে দাদা বা ভাদা বলে সম্বাষণ করেন তখন মনে খুব হাসি পায়।
আসলে কি ভাদা আর দাদা দিয়ে রাজাকার, র্ধমঅন্ধ ও মৌলবাদী কলঙ্ক ঢাকা যাবে?
যখন আমরা কাউকে রাজাকার বা র্ধমঅন্ধ বলে সম্ভাষ করি, তখন এ শব্দ গুলোর অর্থ ও তাৎপর্য ব্যবহার আছে।
যেমন - রাজাকার একটি উর্দু শব্দ এর বাংলা অর্থ হল সাহায্যকারী। যারা ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার যুদ্বের সময় আমাদের মা, বোনদের ইজ্জত লুটেছে ও আমার ভাইদের হত্যকরেছে , অত্যচার চালিয়ছিল আমার বাঙ্গালীদের উপর তাদেরকে বল হয় রাজাকার।
এখন আমার প্রশ্নহল যারা কথায় কথায়, কারণে অকারণে ভারতকে দর্শন করে যারা ভারতে তাদের শত্র“ মনে করে, এমন কি যাদের কাছে ভারত বললে তাৎক্ষণিক চুলকানি শুরু হয়, এমনি কি কেউ যদি ভারতের নাম পর্যন্ত নেন তাদের মা বোন দের ইজ্জত নিয়ে গালাগালি করে তারা কেন ভারতীয় খোলোয়াড়দের সম্মানিত শব্দ দাদা দিয়ে সম্ভাষণ করেন।
কেন মৌলবাদী রাজাকাররা ভারতীয় হিন্দু দের বাবার বাবা বানিয়ে দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।