আমি জানিনা যে আমি জানিনা, আর আমি যে জানিনা আমি জানিনা সেটাও আমি জানিনা। অর্থাৎ আমি জানি যে আমি জানি, কিন্তু আসলে আমি জানিনা আমি স্টেডিয়াম এ গিয়ে খেলা দেখি বিশ্বকাপ থেকে। বিশ্বকাপের ভারত বাংলাদেশ ম্যাচের দিন স্টেডিয়াম এ গিয়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম, এরপর আয়ারলয়ান্ড এ সাথের ম্যাচটাও দেখি। ঐ ম্যাচে হাফ টাইমের সময় বাসায় চলে গিয়েছিলাম দেখে জয় টা দেখা হয় নাই, সেই দু:খ অনেকদিন ছিল
গতকাল সেই দু:খ মুছে গেছে। এর পরের প্রতিটা সিরিজেই মাঠে ছিলাম।
একেকটা ম্যাচে টিকিট, খাওয়া দাওয়া (মাঠে গেলেই আমার অনেক খিদা পায় , আর ঐখানে পানির দামও ৫ টাকা ) মিলিয়ে হাজার টাকা খরচ হয়, সেই টাকাও উঠে গেছে গতকালকের ভারত বাংলাদেশ ম্যাচে
মানজারুল ইসলাম রানার জন্য ভালবাসা। এই ক্ষণজন্মা তরুণের জন্যই উজ্জীবিত হয়ে ২০০৭ এর মার্চে ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ, আজ ৫ বছর পর তার পুনরাবৃত্তি হল।
গ্যলারীতে গুটিকয় ভারতীয় সমর্থক। সম্ভবত এরা ভারতীয়।
ভরা গ্যালারী
বিএসএফ বিরোধী প্ল্যাকার্ড নিয়ে গ্যালারীতে ছিলেন অনেকেই।
ওনার প্ল্যাকার্ড টাও কিছুক্ষণ পরে কেড়ে নেয় ওয়াকিটকিধারীরা। আফসোস যে ঘটনাটার ছবি তুলতে পারি নাই
এবার টেন্ডুলকারের কিছু ছবি:
সেঞ্চুরি পুরণের পথে।
সত্যি কথা বলতে আমি চাচ্ছিলাম টেন্ডুলকার সেঞ্চুরি করুক। কারণ তার প্রথম ৪/৫ ওভার খেলা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল আজকে সে সেঞ্চুরি না করে যাবে না। কিন্ত সেঞ্চুরি করতে গিয়ে সে যা করেছে তাতে লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ।
৪৪তম ওভারে গিয়ে করা এটা ছিল তার স্লোয়েস্ট সেঞ্চুরি, খেলেছেন ৮৫ টা ডট বল । এমনকী রায়না পর্যন্ত টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি না হইয়া পর্যন্ত সাবধানে খেলেছে। টেন্ডুলকারের জায়গায় যদি কোহলি/গম্ভীর/রায়না সেঞ্চুরি করত, তাহলে ভারতের রান ৩৫০ হয়ে যেত।
টেন্ডুলকারকে অভিনন্দন জানাল তামিম।
তামিমের লুকটা দেখেছেন ? দেখে রাখলাম, এককালে আমি করুম
আউট হয়ে ফিরে গেলেন টেন্ডুলকার ।
আরও কিছু ভারত সমর্থক। এরা ভারতীয় এটা মোটামুটি শিওর
বাঘের গর্জন শুনেছে বিশ্ব
প্রতিবাদ
এই ছবিটা দেয়ার কারণ কি বলুন তো ? ভালমত খেয়াল করে দেখুন, বাতাসে ভাসছে একটা ঘুড়ি। এক দ্ক্ষ ঘুড়িবাজ আশেপাশের কোন এক বিল্ডিং থেকে ঠিক মাঠের মাঝখানে ঘুড়িটা এনে ফেলে
জয় আর বেশি দূরে নেই
স্টেডিয়ামের সবাই লাস্ট ৩ ওভার দাঁড়িয়ে খেলা দেখেছে
স্টেডিয়ামের ডিজেকে অনেক ধন্যবাদ, এই ব্যাটাকে আমার রেগুলার গালগালি করতাম, কিন্তু লাস্ট ৫ ওভার সে শুধু স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান বাজিয়েছে। মুশফিক একটা করে ছ্ক্কা মারে আর সে ছাড়ে জয় বাংলা বাংলার জয়, শুনে রক্ত গরম হয়ে গিয়েছিল।
শেষ করা আগে আমার এক ফ্রেন্ডের কথা বলতেই হয় যে মোটামুটি পরিচিত ব্লগারও।
মিরপুরের বাসিন্দা এই ফ্রেন্ড আমার সাথে সব ম্যাচে দেখতে গেলেও এই সিরিজে সে বেঁকে বসে। ম্যাচের দিন সকালেও তাকে টিকেট সাধা হলে সে ছোট্ট করে জবাব দেয়, "তেল নাই" । এহেন বাঁশ খাওয়ার পরেও সে হার স্বীকার করে নাই, এখন বলছে এটা নাকি ঠিক ডিসিশন ছিল, সে মাঠে গেলে বাংলাদেশ হারে, সে না যাওয়াতেই নাকি জিতেছে । আমি ছাড়লাম না, বল্লাম তার মানে এখন থেকে আর কোন ম্যাচে তুই যাবি না ? শুধু অস্ট্রেলিয়ার সাথে হলে দেখতে যাব, কারণ ঐটায় জেতার চান্স নাই, তার জবাব।
দেখা যাক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।