আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওয়াশিংটন টাইমসের সেই নিবন্ধ: ৬মাস ক্রেডিট নিয়ে এখন আমার না!

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। হঠাৎ লেখিকা খালেদা জিয়া ‘দ্য ওয়াশিংটন টাইমস’ পত্রিকার ৩০ জানুয়ারী সংখ্যায় ‘এ্যা থ্যাংক্সলেস রৌল ইন সেইভিং ডেমোক্র্যাসি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি মন্তব্য-প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। লেখাটির লেখিকা বেগম খালেদা জিয়া। লেখার নিচে তাঁর পরিচয় দিয়ে বলা হয়েছেঃ ‘Begum Khaleda Zia is former prime minister of Bangladesh and current leader of the opposition’ অর্থাৎ, বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী-দলীয় প্রধান। পাদটীকায় লেখিকার পরিচয়ের কারণে বিশ্বব্যাপী পাঠকেরা এই লেখাটি ব্যক্তি খালেদা জিয়ার একান্ত মতামতের পরিবর্তে বরং বাংলাদেশের রাজনীতির একটি ধারার প্রতিনিধি হিসেবেই দেখবেন।

সুতরাং এটি জানা জরুরী নয় যে, লেখাটি তিনি নিজেই লিখেছেন কি-না। কিন্তু যেটি জানা জরুরী, তা হচ্ছেঃ স্বদেশের পত্রিকায় মাতৃভাষায়ও লেখার তেমন ইতিহাস নেই যে-খালেদা জিয়ার, সেই তাঁরই নামে কীভাবে ও কেনো হঠাৎ বিদেশী পত্রিকায় ইংরেজি মন্তব্য-প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো? লেখাটি প্রকাশিত হবার পর বাংলাদেশের জাতীয় আইন পরিষদ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত বৈঠকখানায় শুরু হয়েছে এ-নিয়ে আলোচনা। দেশটির আইন প্রণেতাদের কেউ-কেউ এই নারীকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে বিচারের অধীন আনার দাবিও করেছেন। সুতরাং লেখাটির রাজনৈতিক তাৎপর্য্য গভীর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের উচিত হবে যে-কোনো ঘটনার আপাতঃ সরল ও সহজ উত্তরের বাইরেও উত্তরের অনুসন্ধান করা।

কী লিখেছেন খালেদা জিয়া? এগারোটি অনুচ্ছেদে মোট সাড়ে আটশো শব্দে লেখা তাঁর মন্তব্য-প্রতিবেদনে বেগম খালেদা জিয়া প্রথমতঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের প্রথম স্বীকৃতিদানকারী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে দাবি করে এক ধরনের ‘হিস্টোরিসিজম’ গড়ে তোলার প্রয়াস পেয়েছেন। দ্বিতীয়তঃ সেই সুবাদে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নালিশ করেছেন তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে। নালিশের অংশ হিসেবে এনেছেন পশ্চিমের স্নেহধন্য ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের নাস্তানাবুদ হবার ঘটনা; পদ্মাসেতু নিয়ে দুর্নীতির কাহিনী; বৈশ্বিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিকাশমান অন্য শক্তির দিকে ঝোঁকার প্রবণতা। এর সাথে অভিযোগের রাজনৈতিক মাত্রা দেবার জন্য খালেদা জিয়া আরও উল্লেখ করেছেন র‍্যারের (RAB) হাতে মানুষ খুন-গুম হবার ঘটনা (যদিও উল্লেখ করেননি যে, এই বাহিনীর স্রষ্টা তিনি নিজেই) এবং স্থানীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ‘বিচারে অনিয়ম’-এর প্রসঙ্গ। তৃতীয়তঃ ও পরিশেষে বেগম খালেদা জিয়া অনুরোধ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেইনকে শেখ হাসিনার সরকার তথা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের।

সুস্পষ্টভাবে তিনি প্রস্তাব করেছেন, ‘It is time for the world, led by America, to act and ensure that democracy is saved in Bangladesh’, - অর্থাৎ, ‘এখন সময় এসেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন (সাম্রাজ্যবাদী) বিশ্বকে বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্র’ নিশ্চিত করার জন্য তৎপর হবার। ’ মার্কিন-বাংলাদেশ হিস্টোরিসিজম খালেদা জিয়া তাঁর বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের হিস্টোরিসিজম গড়ে তুলেছেন ইতিহাসের একটি মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে। তিনি বলেছেন, ‘My country of 150 million people, located between India and Myanmar, has been independent since 1971, when the United States was one of the first nations to recognize our right to self-determination’। অর্থাৎ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি-দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে একটি। এটি মিথ্যা ভাষণ।

বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি পায় ভারতের কাছ থেকে ১৯৭১ সালের ৬ই ডিসেম্বরে, তারপর ভূটানের কাছ থেকে ৭ই ডিসেম্বরে। এই দেশ দু’টি হচ্ছে প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশ। তরপরবর্তী তরঙ্গে স্বীকৃতি এসেছে সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক ব্লক থেকে। বাংলাদেশ যখন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি পায়, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ-দেশটিকে স্বীকৃতি দেবার বদলে বরং ধ্বংস করার জন্য উদ্যত হয়। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর অবস্থা সঙ্গীন বিবেচনা করে, তাঁর মিত্রশক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গপোসাগরের দিকে সপ্তম নৌবহর পাঠায়।

এ-পরিস্থিতিতে, সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সাথে, তার টেনথ্‌ অপারেটিভ ব্যাটল গ্রুপের নৌবহর নিয়ে, মার্কিন সপ্তম নৌবহরের পথ রোধ করে দাঁড়িয়ে সেদিন বাংলাদেশকে রক্ষা করে। বাংলাদেশের পক্ষে সোভিয়েত ইউনিয়নের এই প্রতিরক্ষা-তৎপরতার ফলেই পাকিস্তানী বাহিনী হাল ছেড়ে দেয় এবং বাঙালী গেরিলা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের অসম্মান থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। যুদ্ধের ফল কী হবে, তা পাকিস্তানের অজানা ছিলো না। তাই, যুদ্ধের দ্রুত সমাপ্তি ঘটিয়ে পাক-বাহিনী ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-যুদ্ধের বিজয় সুনিশ্চিত হয়। সুতরাং, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুভেচ্ছা ও স্বীকৃতির যে-অলীক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছেন, তা ইতিহাসে বিকৃতি ছাড়া আর কিছুই নয়।

প্রকৃত ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাজ্যেরও দুই মাস পর। ব্রিটেইন স্বীকৃতি দেয় ১৯৭২ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয় সে-বছরের ৪ঠা এপ্রিলে। খালেদা জিয়ার প্রয়াত স্বামী, সাবেক সামরিক একনায়ক ও পরবর্তীতে কূটকৌশলে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন অগ্রণী কমাণ্ডার ছিলেন। খালেদা জিয়া বন্দিনী ছিলেন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে। কিন্তু, তিনি কি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী তাঁর স্বামীর কাছেও শুনেননি? নিশ্চয় শুনেছেন।

ঈষৎ বিশ্লেষণ খালেদা জিয়া ভালোভাবেই জানেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতার মিত্র ছিলো না শত্রু ছিলো। কিন্তু তারপরও, কেনো তিনি মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীন হবার সাথে মার্কিন সম্পর্কের ইতিহাসকে বিকৃত করছেন? উত্তরটি নিশ্চয় খুব সরল নয়। যেভাবে দেখা হচ্ছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে খুশী করে ক্ষমতায় আসার জন্য এই লেখা লিখেছেন খালেদা জিয়া, সেটি সম্ভবতঃ খুবই সরলিত ব্যাখ্যা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে একমাত্র খুশী করাই যদি খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্য হবে, তাহলে আর্টিকেল লেখার পরিবর্তে কূটনৈতিক চ্যানেলে বুঝাপড়া করাই কি সমীচিন ছিলো না? লণ্ডন থেকে আওয়ামী বুদ্ধিজীবী ও বিখ্যাত কলামিস্ট গাফফার চৌধুরী কি অতীতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন দল বিএনপির নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিকে মার্কিন পরিকল্পনার ফল বলে ব্যাখ্যা করেননি? তখন তো খালেদা জিয়ার আর্টিকেল লেখার প্রয়োজন হয়নি। তবে এবার কেনো হচ্ছে? শেখ হাসিনা কি তাঁর আগে খালেদা জিয়ার ক্ষমতায় আসাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে গোপন বুঝাপড়ার ফল হিসেবে ইঙ্গিত করেননি? তিনি কি বারবার বলেননি, যে আগের বারে তাঁকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি দেশের শক্তি-সম্পদ বিদেশীদের হাতে তুলে দিতে রাজি হননি বলে? বর্তমানে যে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন তার ব্যাখ্যা কি এটি হতে পারে না যে, তিনি ‘‘খালেদা জিয়া যা দিতে পারে, আমি তা পারবো না কেনো’’ জেদের ভিত্তিতে? এমন কি সম্ভব নয় যে, বিশ্বের সামরিক পরিস্থিতির যখন দ্রুত পরিবর্তন ও মেরুকরণ হচ্ছে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উপমহাদেশে তার অধুনা আঞ্চলিক মিত্র ভারতের উপর পুরোপুরি ভরসা করতে পারছে না বা চাইছে না? সম্প্রতি রাশিয়ার সাথে ভারতের সামরিক লেনদেন এবং ভারত-মিত্র আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশকে রাশিয়ার সাথে সামারিক লেনদেনে জড়িত করার বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সুখের সংবাদ নয়।

পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে রাশিয়ায় গিয়ে শেখ হাসিনার অস্ত্র-ক্রয় নিশ্চয় কোনো তাৎপর্যহীন ঘটনা নয়। মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যাংকের সাথে পদ্মাসেতু নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের টানাপোড়েনও সম্পর্কহীন নয়। স্বদেশের রাজনৈতিক কোন্দলে বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ কামনা বাংলায় নতুন নয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয়ে নালিশ করে মার্কিন ও পশ্চিমা হস্তক্ষেপ কামনা করার প্রথম আহবায়িকা যদিও শেখ হাসিনা, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চয় এই সত্যটি বুঝে যে, ভারত বনাম মার্কিন অপশনের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা ভারতের প্রতিই বেশি বিশ্বস্ত থাকবেন। বিশ্বজুড়ে একটা যুদ্ধের সম্ভাবনা যখন ক্রমশঃ বাড়ছে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইতেই পারে বার্মা ও বাংলাদেশকে যতোটা সম্ভব কোনো ভায়া-মিডিয়া ছাড়া একান্ত নিজের মতো করে রাখতে।

এটি কি খুব অসম্ভব যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইছে বাংলাদেশের ব্যাপারে হস্তক্ষেপের একটি অনুরোধ দেশটির প্রধান রাজনৈতিক মহল থেকেই আসুক? আর এটিও কি অসম্ভব যে, সে-কাজটি করিয়ে নেয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে দিয়ে ওয়াশিংটন টাইমসে একটি মন্তব্য প্রতিবেদন ‘লিখিয়ে’? এই লেখার পেছনে নিশ্চয় খালেদা জিয়ার স্বার্থ আছে। কিন্তু, তার চেয়েও বেশি স্বার্থ থাকতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করলে আপাতঃ সরল বিষয়টির অধিকতর জটিল চিত্র চোখে আসে। তখন খালেদা জিয়া আর একটি স্বাধীন দেশের আত্মমর্যাদা-সম্পন্ন রাজনৈতিক নেত্রী থাকেন না, তিনি সহসা হয়ে ওঠেন সাম্রাজ্যাবাদের এক সন্ত্রস্ত বাঙালী পরিচারিকা। হাস্যকর ভাবে স্বনামে ছাপা হলেও ওয়াশিংটন টাইমসের সে লেখাটি তার নয় বলে দাবি করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।

সংসদে তিনি বলেছেন, * প্রকাশিত নিবন্ধটি তার লেখা নয়। * এমন কোনো লেখা তিনি পাঠাননি। * জিএসপি সুবিধা বাতিলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো ধরনের অনুরোধও করেননি। জিএসপি বন্ধ করার জন্য বিরোধীদলীয় নেতা ইহুদি মালিকানাধীন ওয়াশিংটন টাইমসে লিখেছেন, উনি (খালেদা জিয়া) আদার স্যাংশনের সুপারিশ করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকা বন্ধ করতে সুপারিশ করেছিলেন। এই আদার স্যাংশনের মানে জানেন? আপনি জানেন না।

প্রকাশিত নিবন্ধে ১২ জায়গায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কারো বিরুদ্ধে লিখবেন ভালো কথা। কিন্তু দেশের বিরুদ্ধে লিখলেন কেন? জিএসপি বাতিল করবে বলে আমেরিকা ২০০৭ সাল থেকে নোটিশ দিচ্ছে। বর্তমান সরকার শ্রমিকদের উন্নয়নে কাজ করছে। বিএনপির সময় গার্মেন্ট শ্রমিকরা ১৫শ' থেকে ১৬শ' টাকা বেতন পেত।

বর্তমান সরকার তা' ৮২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। দেশবাসী জানে, বাংলাদেশে সাহায্য বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে কারা বিদেশে চিঠি লিখেছে। কারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বলে বিদেশে জাতীয় স্বার্থবিরোধী প্রচারণা চালিয়েছে, লবীস্ট নিয়োগ করেছে। ওয়াশিংটন টাইমসে নিবন্ধ লেখার কারনে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হলো (Click This Link), মামলা খারিজও হলো (Click This Link। আর উনি কিছুই জানেন না! লেখা ওনার নয়।

৬ মাস লেখিকার ক্রেডিট নিয়া এখন ... হায়রে বেগম জিয়া! আপনি হয় মিথ্যা বলছেন, নয় আপনার মাথায় সমস্যা আছে। এর যেকোন একটি হোক, দেশের ভার আপনার মত লোভীর হাতে দেয়ার প্রশ্নই আসে না। আপনি নিজের লাভ ও লোভের জন্য দেশ বেচে দিতে পারেন। আর সে কারনেই রাজাকারদের সাথে নি্যে দেশ বিরোদ্ধিতার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছেন। আপনার ছেলেও নাকি বই লিখেছে? উনি কবে আপনার মত বলবেন, লেখাটি আমার নয়..?  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.