গত ৮০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পত্রিকাটির মালিকানা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহাম পরিবারের হাতে। ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে এর অন্যান্য প্রকাশনাও ব্যক্তিগতভাবে কিনে নিচ্ছেন অ্যামাজন বস।
পত্রিকাটির প্রধান নির্বাহী ডোনাল্ড গ্রাহাম এক বিবৃতিতে বলেন, “এই দীর্ঘ সময়ে সংবাদপত্র শিল্পের নানামুখী চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার কথা ভাবলে আমাদের মনে হয়, আর কোনো মালিক পোস্টকে এর চেয়ে ভালভাবে চালাতে পারত কি না।
“জেফ বিজোস ইতোমধ্যে নিজেকে একজন প্রতিভাধর প্রযুক্তি ব্যবসায়ী হিসাবে প্রমাণ করেছেন। তাছাড়া দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি তাকে ওয়াশিংটন পোস্টের নতুন মালিক হিসাবে যোগ্য করে তুলেছে।
”
ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুচরা পণ্যের বিক্রির ব্যবসায় রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলা বিজোস ওয়াশিংটন পোস্টের সংবাদকর্মীদের আশ্বস্ত করেছেন, তার মালিকানায় পত্রিকাটিতে কিছু নতুনত্ব আসবে ঠিকই, তবে সাংবাদিকতার ঐতিহ্য ও মান তিনি বজায় রাখতে চান পুরো মাত্রায়।
ওয়াশিংটন পোস্টের মালিকানা হস্তান্তরের বিষয়টি আগামী দুই মসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
“ওয়াশিংটন ডিসি আর পুরো দেশে পোস্ট যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে সে বিষয়ে আমি অবগত। আমার মালিকানায় এর গুরুত্ব একবিন্দু কমবে না। ”
ওয়াটারগেইট কেলেঙ্কারির মতো ঘটনা ফাঁস করে এক সময় সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ১৩৫ বছরের পুরনো এই পত্রিকাটি গত বেশ কিছুদিন ধরেই পাঠক হারাচ্ছিল।
ইন্টারনেটের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে বিজ্ঞাপনও কমে আসছিল দ্রুত।
তারপরও নিউ ইয়র্ক টাইমসের পর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে নামজাদা এই পত্রিকাটি যে মালিকানা বদলের মতো পরিস্থিতিতে পড়বে তা ভাবতে পারেননি অনেকেই।
চলতি বছরের হিসাবেও হিসাবেও ওয়াশিংটন পোস্ট প্রচার সংখ্যার দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম বৃহৎ পত্রিকা, যাদের প্রতিদিনের বিক্রি ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬৭ কপি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।