এপ্রিলের ৭ তারিখে ওয়াশিংটন ডিসির টাইডাল বেসিনে চেরী ব্লুজম ফেস্টিভ্যালে বাংলা স্কুলের ছাত্রীদের অপূর্ব নাচ-গান প্রদর্শনী মাতিয়ে রাখে সমাগত দর্শকদের। ওয়াশিংটন ডিসি'র সবচেয়ে বড়ো উৎসব হচ্ছে এই চেরী ফুল উৎসব। চেরী ফুলের শুভ্রতা নিয়ে বসন্তের আগমনের সাথে সাথে পক্ষকালীন অনুষ্ঠানে এই প্রথমবারের মতো বাংলা স্কুল বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মনোহর নৃত্য ও গানের পরিবেশনা নিয়ে সংক্ষিপ্ত ভিডিও ক্লিপ নিউজ বাংলায় দেখা যাবে।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় লোক সংগীতের সুর মুর্চ্ছনায় চারদিক মাতিয়ে রাখল বাংলা স্কুলের ছাত্রীরা।
তাদের ছন্দময় নৃত্যপরিবেশনা সবাইকে মুগ্ধ করে রাখে। যদিও আজ ডিসির আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। টিপ টিপ করে আকাশ থেকে বৃস্টি ঝড়ছিল। তারপরও এই মেঘলা আবহাওয়ার বিষণ্ণতা কাটিয়ে বাংলা স্কুলের অপূর্ব ছন্দময় রঙ্গিন উপস্থাপনা সৃস্টি করল আনন্দ মুখর পরিবেশের। প্রচুর দর্শকরা এই স্মৃতি ক্যামেরায় ধরে রাখতে ভুলে যাননি।
গান দিয়ে, ছন্দ দিয়ে, সুর দিয়ে, সংস্কৃতি দিয়ে আমরা চারদিক জয় করব। এ ধরণের প্রত্যয়ে উজ্জীবিত হয়ে দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশীরা বাংলাদেশকে প্রতিধ্বনিত করল টাইডাল বেসিনের চারদিকে। সপ্তাহের প্রথম দিনে ওয়াশিংটন ডিসির কর্মচঞ্চল সময় থমকে দাঁড়ালো অপরাহ্নের এই চমৎকার উপস্থাপনায়। জেফারসন মেমোরিয়ালের সিঁড়ির উপর দাঁড়িয়ে অনেক দর্শনার্থী উপভোগ করল পুরো অনুষ্ঠানটি। বাংলা স্কুলের অসংখ্য অভিভাবকরা তাদের কাজ থেকে ছুটি নিয়ে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে আসেন।
অবশ্যই আমরা জয় করব চারদিক। আমাদের কোন ভয় নেই। বাংলা স্কুলের ছাত্রীদের কন্ঠ থেকে বেরিয়ে এই সুর আমাদের সকলের হৃদয়ে প্রোথিত হয়ে রইল। বাংলাদেশের সুর আর পরিচিতিকে যারা আজ ছড়িয়ে দিল চারদিকে তারা হচ্ছে আমাদের আজকের সাহসী প্রজন্ম। এরাই আগামীতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিবে।
বৃস্টি আর কনকনে শীতের আবহাওয়া উপেক্ষা করে এক ঘন্টার এই অনুস্ঠান শেষ হয় বিপুল করতালির মধ্যে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।