হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে যোগ দিতে শনিবার ভোর থেকেই দলে দলে মতিঝিলের দিকে রওনা দিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। শনিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
সকাল সোয়া ৬টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মালিবাগ, আবুল হোটেল, খিলগাঁও, মালবাগ রেলগেট ও মৌচাক এলাকায় মতিঝিলমুখী মানুষের স্রোত দেখা যায়।
কোথায় যাচ্ছেন- জানতে চাইলে এমনই একটি দলের একজন বলেন, “মতিঝিল যাচ্ছি সমাবেশে যোগ দিতে। ”
কী কারণে যাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নাস্তিকেরা আল্লাহবিরোধী লেখা লিখে, তাদের শাস্তির দাবিতে হুজুরদের কথায় সেখানে যাচ্ছি।
”
এমনই একটি মিছিলে উপস্থিত এক তরুণ বাংলানিউজের প্রতিবেদককে জিজ্ঞেস করেন, “আপনি কোন মিডিয়ার?” বাংলানিউজের নাম বলতেই তিনি অনেকটা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, “আপনারা যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে লিখেন, গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষে লিখেন। আগে নাস্তিকদের শায়েস্তা করি, এরপর বাংলাদেশের মিডিয়াকে ধরবো। ”
এদিকে রাজধানীর কাওরানবাজারে ৫/৬শ’ মাদ্রাসার ছাত্রকে হেঁটে মহাসমাবেশের দিকে আসতে দেখা গেছে। তাদের সবার পরনে রয়েছে একই ধরনের পায়জামা-পাঞ্জাবি, টুপি, কাঁধে চিকন ফিতাওয়ালা ব্যাগ।
এছাড়া কমলাপুর রেলস্টেশন মোড়ে, নটরডেম কলেজের সামনের মোড় ও আরামবাগ এলাকায় শনিবার সকাল থেকে জড়ো হতে শুরু করেছেন হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা।
প্রতি মিনিটেই সেখানে দলে দলে কর্মীরা আসছেন। তারা খণ্ড খণ্ড মিছিলে ভাগ হয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
তবে এ মিছিলে তারা শুধু লংমার্চ সফল করার স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও ডেমরার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোর মুসল্লিরা ফজরের নামাজের পর নটরডেম কলেজের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। ফজরের নামাজ পড়ে তারা পায়ে হেঁটে এখানে এসে জড়ো হন।
এসব এলাকায় মোড়ে মোড়ে পুলিশ থাকলেও তাদের কোনোরকম বাধা দিচ্ছে না।
অন্যদিকে, রাজধানীর মহাখালি, গুলশান, গুলশান, উত্তরায় কঠোর হরতাল পালিত হচ্ছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো গণপরিবহন যানবাহন এসব এলাকায় চোখে পড়েনি।
মূল নিউজ এখানে : Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।