: মিশরে নারী বন্দিদের জোর করে কুমারীত্ব পরীক্ষার দায়ে অভিযুক্ত এক সেনা ডাক্তারকে দেশটির একটি আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছে। মিশরের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল নাইল টিভি আজ এ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, সাক্ষীরা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দেয়ায় আদালত ওই চিকিৎসককে খালাস দিতে বাধ্য হয়েছে।
গত বছরের মার্চে তাহরির স্কয়ার থেকে আটক কয়েকজন নারী বন্দি অভিযোগ করেছিলেন, তাদেরকে জোর করে কুমারীত্ব পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের এ অভিযোগের মধ্য দিয়ে সমগ্র বিষয়টি প্রকাশ হয়।
সামিরা ইব্রাহিম নামে একজন মিশরীয় নারী শেষপর্যন্ত দেশটির সেনা সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। গত বছর মার্চের ৯ তারিখে তাহরির স্কয়ার থেকে আটকের পর তিনি এই কুমারীত্ব পরীক্ষার শিকার হয়েছেন বলে সামিরা অভিযোগ করেছিলেন।
আদালতের আজকের রায়ের পর ২৫ বছর বয়সী সামিরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, এই রায় তার জীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। রায় শোনার পর আদালতে জ্ঞান হারিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।
তিনি এ রায়কে মিশরের ইতিহাসের একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে সামিরার আইনজীবী আদেল রহমান বলেছেন, আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত বা আইসিসি'র মতো আন্তর্জাতিক আদালতে তারা এ বিষয়ে অভিযোগ করার পরিকল্পনা করেছেন।
মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী আবদুল্লাহ শাহালান বলেছেন, সামরিক আদালতের বিচারকরা কখনোই সেনাবাহিনীর সদস্যের দোষী বানাবে না। তিনি বলেন,গণবিক্ষোভের সময় বিক্ষোভকারীদের হত্যার বিষয়েও সত্যিকার কোনা তদন্ত হয়নি; ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশন কেবল তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
কুমারীত্ব পরীক্ষার বিষয়ে সামিরার অভিযোগের পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিশরের প্রবীণ এক জেনারেল এ ধরণের পরীক্ষা চালানোর কথা স্বীকার করেছিলেন এবং এ ধরণের পরীক্ষা চালানোর বিষয়টি সমর্থন করেছিলেন।
তিনি দাবি করেছিলেন, আটক মহিলাদের ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতন করা হয়নি বরং প্রমাণের জন্য এ ধরণের কাজ করা হয়েছে।
এ ধরণের বক্তব্যের জবাবে সামিরা বলেছিলেন, সেনাবাহিনী তাকে পতিতা হিসেবে তুলে ধরেছিল। একজন পুরুষ ডাক্তার দিয়ে জোর করে কুমারীত্ব পরীক্ষা চালানোর সময় তার দেহ পুরোপুরি বিবস্ত্র ছিলো বলেও জানিয়েছিলেন সামিরা। সালওয়া হোসেনি নামের অপর এক বন্দিও একই ধরণের অভিযোগ করেছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।