হট নিউজ জনগনের নিরাপত্তার জন্যই কি এভাবে গনহারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে? প্রধানমন্ত্রী সত্যিই বলেছেন বেডরুমে সরকারের পক্ষে পাহারা দেয়া সম্ভব নয়। রাস্থা থেকে ধরে নেয়া কোনরকম নিরাপত্তা। যেখানে কারাগারে তিল ঠাঁই আর নাহিরে' সেখানে গ্রেফতারের মহোৎসব কেন? তাতে কি মনে হয় না সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। জনগনের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আওয়ামীলীগ ২০০৫ অক্টোবরে সারাদেশে একসাথে মানববন্ধ করেছে।
২০০৬ সেপ্টম্বরে পল্টনে দশ লক্ষ মানুষের সমাবেশ করলেন হাসিনা। তখন সরকারী দল তো এভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন,গনগ্রেফতার কিংবা সমাবেশের সময় বেধেঁ দেয়নি।
আজ ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ মহাসমাবেশকে সামনে রেখে রাস্তায় চলাচলকারী নিরীহ পথচারী ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের বিনা কারণে ধরপাকড় বেড়ে যাওয়ার কারণে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করা সব পেশার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা কি করবেন কোথায় যাবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। এরই অংশ হিসেবে পুলিশের গণগ্রেফতারের শিকার মানুষগুলো জামিন না পাওয়ার এখন থানা হাজত, আদালতের গারদখানায় ও বিভিন্ন কারাগারে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে।
কারাগারে বন্দীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ বেড়ে গেছে। শুধু কারাগারগুলোতে বন্দী গিজগিজ করছে তা নয়, গ্রেফতার হওয়া অনেকেই থানা ও কোর্ট গারদে না খেয়ে দিনভর থাকতে হচ্ছে। এতে অনেকেই অসুস' হয়ে পড়েছেন। আর গ্রেফতারের খবর পেয়ে স্বজনেরা থানা থেকে আদালতে আবার আদালত থেকে কারাগারে ছুটছেন।
গতকাল রোববার সকাল থেকে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টনসহ বিভিন্ন থানা থেকে ৫৪ ধারা, ডিএমপি অ্যাক্ট ও পেন্ডিং মামলা দিয়ে আটক তিন শতাধিক লোককে আদালতে পাঠানো হয়।
রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৩০০ জনকে গারদ থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। তিনি বলেন, আসামির স্বজনেরা জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাদের সবার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, আগামী ১৩ তারিখ শুনানি হবে। বর্তমানে ছোট গারদখানায় বন্দীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকটাই বেকায়দায় পড়তে হয়। সকাল থেকে এসব আসামি গারদে থাকলেও তাদের কাউকে খাবার দেয়া হয়নি। তবে তাদের মধ্যে অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে খাবার সংগ্রহের চেষ্টা করেন।
তিনি বলেন, আসামিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পল্টন ও মতিঝিল থানার। অভিযোগ রয়েছে অনেক থানার ওসি তার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা আসামিদের আদালতে পাঠাননি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাগারে এত বন্দী যে, এখন একজনের ওপরে আরেকজনকে থাকতে হচ্ছে। বিশেষ করে মনিহার, মেঘনাসহ বেশ কিছু সেলে বন্দীর পরিমাণ অনেক বেশি। ধরপাকড় শুরু হওয়ার পর থেকেই কারাগারের ওপর চাপ বাড়ছে।
জায়গা কম হওয়ার কারণে বন্দীরাও গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। শুধু ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার নয়, একই অবস্থা বিরাজ করছে চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, যশোর, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন কারাগারেও।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।