প্রশ্ন অনেক থেকে যায়। সাগর রুনি হত্যার পর সরকার অনেক ধরনের বক্তব্য দিয়েছে। কার্যত কোনো বক্তব্যই ফলপ্রসু হয়নি। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হত্যাকারীদের ধরতে ৪৮ ঘন্টা সময় নিলেও ৪৮ দিন পারহতে আর বেশি দিন নাই। কিন্তু এখন উনি নিজেই এ বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
বিষয়টি নাকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জানেন। একটি হত্যাকান্ডের তদন্তভার যদি একটি দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই নেন তাহলে সেই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়, পুলিশ প্রশাসন, গোয়েন্দা ইত্যাদি থাকার প্রয়োজন কি? এর পরও আমরা আশায় বুক বাধি হয়তো এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই হত্যার রহস্য উম্মেচন করতে পারবেন। কিন্তু বিধিবাম..... হলোটা কি??? বরং উল্টে এই হত্যাকে উদ্দেশ্য করে তিনি সাধারন মানুষের বেডরুম থেকে নিরাপত্তা তুলে নিলেন। কিন্তু এ কি হলো এটা তো কোন বেডরুম নয়, একটি জনবহুল ভি ই পি এলাকার একজন প্রভাবশালী কুটনৌতিক হত্যা। সাগর রুনি হত্যা না হয় চাপা দিয়ে দিলেন কারন সাংবাদিকরাতো আর ক্ষমতা থেকে নামাতে পারবেনা বরং তারা বেশী বারাবারী করলে আপানাদের সম্মানীত বিচারকদের মাধ্যমে তাদের থামানো কোন বেপারই না।
কিন্তু এই প্রভাবশালী রাষ্ট্রের কটনৈতিক হত্য কি দিয়ে ধামাচাপা দিবেন ? বেডরুমের পর এবার কি রাস্তার উপর থেকেও আপনার নিরাপত্তা বাহিনীকে সরিয়ে নিবেন? কারন স্বাভাবিক ভাবে আপনার পক্ষে তো ২৪ ঘন্টা দেশের সকল সরকে নজরদারী করা সম্ভব নয়। তবে এই হত্যা কান্ডে একটি যুক্তি দেখাতে পারেন তা হলো যুদ্ধাপরাধীদের বাচানোর জন্য এই ইসলামী প্রভাবশালী রাষ্ট্রকে এই সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য জামাত শিবির এই হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।