দেশটাএকটা ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পরেছে । এখানে যুদ্ধংদেহী মনোভাবে দাড়িয়ে গেছে কয়েকটি দর্শন। লেজুড়বিত্তি করে কোন আন্দোলন হয় না। বিপ্লব হতে পারে না। একটা টেকসই পরিবর্তনের জন্য দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়।
যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবীতে আন্দোলন হলো। সেটা কেন্দ্র করে শুধু জামাতকে নয় সাথে বিএনপিকে জড়ানো হলো। তাদের দোসর বলে তাদের একদৃষ্টিতে দেখে একদলে ফেলা হলো। লাভবান হলো জামাত। তাদের দল বড় হলো ।
আবার কিছু মেধাবী যারা নিজেদের ধর্ম এর উর্ধ্বে ভাবেন ধর্ম সীমাবদ্ধতা গুলো তুলে ধর্মপ্রাণ মানুষদের এক করে দিলেন। ধর্মীয় সেন্টিমেন্টে আঘাত করা হলো।
যারা জামাতকে প্রকাশ্য জানের দুশমন ইসলামের দুশমন ভাবত। তারাএক হয়ে গেল । জামাত টিকে থাকার জন্য মরিয়া।
প্রয়োজনে হেফাজতে ইসলামের পা ধরবে এমন অবস্থা!!আসলে যুদ্ধাপরাধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অনেক কানভারী করা হয়েছে
এটাও বলা হয়ে থাকতে পারে এটা ভারতের কিংবা রএর দ্বারা চালিত একটি আন্দোলন যা বিজাতীয় রীতিতে চলছে। সাধারণ মুসলিম সেন্টিমেন্টে ব্যাপারটা আঘাত হেনেছে ব্যাপকভাবে। ফলে কওমি মাদ্রাসার যারা ইউ টিউব বিষয়ে জানে না তারা ব্লগকে ঐ রকম একটি ব্যাপারের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললেন!নাজানার কারনে!!!
ব্লগ যারা করেন তার সবাই সাধারণ অতিসাধারণএমনকি বয়সে অনেক তরুণ। মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক স্তরের। তাদেরকে প্রতিপক্ষ বানানো কতটা অবিবেচকের কাজ।
বৃটিশদের বিরু্দ্ধে হিন্দু-মুসলিম এক হয়ে কাধে কাধ মিলিয়ে যুদ্ধ বিপ্লব করেছেন। তাদের বিতাড়নের উদ্দেশ্যে ;বেশিদিন আগের কথা নয়। জামাত ডেভিল পাওয়ার তারা হেফাজতে ইসলামের ঘাড়ে পা দিয়ে সুবিধাআদায়ের স্বপ্ন দেখছে।
আমাদের দৈনিক পত্রিকাগুলো ভয়ভীতি ছড়ানো আর উস্কানুর এক্সপার্ট আর ট্রাম্পকার্ড সরকার সব জায়গায় রাজনীতি ঢুকানোরএক্সপার্ট। যুদ্ধাপরাধী আন্দোলনে বাম হাত দিয়েছেন।
তাদের দূষ্কিৃতি নিয়েএখন আর কেউ লিখে না। ব্লগারদের ব্যবহার করেছেন। তারপর ধরপাকড় ও হচ্ছে। আবার হেফাজতে ইসলাম সৃষ্টি হয়েছে। তারাওএখন ব্লগারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার।
ভাবখানা এমন আমরাও যুদ্ধাপরাধী লেভেলের অন্যায় করেছি!
তারা ইসলামী বিপ্লবের নামে সহিংস ভূমিকায়। তবে বিপ্লব কিন্তু স্বতস্ফূর্ত বিষয়। সকল দলের হরতাল অবরোধ বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে বিপ্লব বিপ্লবের মতন চলে। যত বাধা তত বিপ্লব। সরকারের সহায়তায় তাদেরএজেন্ডার পথ করে দিয়ে বিপ্লব হাস্যকর বিষয়!আজকে যদি লংমার্চএ কম মানুষের অংশগ্রহণও হয়ে থাকে জনমানুষের মনে কিন্তু ঠিকই বড় প্রভাব ফেলবে।
নতুন নতুন বিপ্লবীর সৃষ্টি হবে। তাদের আকারও বড় হতে থাকবে।
জুলুম নিপীড়ন প্রতারণা দেশের মানুষের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি উপনিবেশ কায়দায় দেশ শাসন এভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়না। সত্য প্রকাশিত হয় এগুলো করে ইতিহাসের কলঙ্কজনক অবস্থায় পতিত হওয়া লাগে। যারা ব্লগার তাদের সম্বন্ধে সত্য ধারণা কিন্তু একদিন প্রকাশিত হবে।
মানুষ তাদের ভাল চোখে দেখবে। ঘৃণিত হবেন তারা যারা কাটাদিয়ে কাটা তুলেন, উন্নয়নের রাজনীতি না করে ,দেশপ্রেমের জায়গাটায় জিরো অবস্থানে থেকে লুটপাট করে দেশের সম্পদ বিনষ্ট করেন।
১/১১ সরকার ব্যর্থ তারা নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন বিধায়। তারা বিএন পি কে ভেঙ্গে কতিপয় অসাধু লোকের সাজা দিয়ে বড় বড় অসাধুর সঙ্গে আঁতাত করে বিতর্কিত হয়েছেন। তাদের কোন বিচার শেখ হাছিনা করছেন না।
তিনি তাদের সঙ্গেআতাত না করলে সেটি কেন এড়িয়ে যাচ্ছেন। যে ব্যবস্থায় তারা ক্ষমতায় সেটি কেন তিনি ভেঙ্গে দিলেন । আর বিতর্কিত যুদ্ধাপরাধীর তালিকা কেন করা হলো?
কাদের মোল্লার ফাঁসি না হয়ে কেন সাইদীর ফাঁসি হলো। সমান মানের অন্যায় সাজা দুই ধরণের। বিচারের দৈন্য দশা আজকেরই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
কাদের মোল্লার ফাসির রায় হলে আজকে এই অবস্থা হয়ত নাও হতে পারত।
এখন দেশ বারবার গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । সমাধানের রাস্তা না খুজে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির সিংহভাগ দায় সরকারের ঘাড়েই পরে। বিরুধীদল তো তাদের ক্রীড়নক মাত্র। যখন তখন গ্রেফতার গুম আরও কত কি?
আমি ব্লগার হিসেবে গর্ববোধ করি।
কারণআমি মুক্ত স্বাধীনচেতা আমার হাত বাঁধা নেই। অন্যায়কে অনায়াসে অন্যায় বলে ফেলতে পারি। যে সত্য বলে প্রকাশ করে সত্যের সঙ্গে বাস করে কারো দ্বারা প্রভাবিত নিয়ন্ত্রীত হয় না সেইতো ব্লগার। ব্লগার রাই সময়ের আলোকবর্তিকা । সত্যের বাতি নিভু নিভু জ্বলে।
হেফাজতে ইসলামের ব্লগ সম্পর্কে অজ্ঞতার ধিক্কার জানাই। তারা অচিরেই ব্যাপারটা সম্বন্ধে ভালভাবে
জানবে এই কামনা করি। ছবি--আমার দেশ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।