I never knew how to worship until I knew how to love. আমাদের কর্মসূচীর আগেই আওয়ামী লীগ নৈতিক ভাবে হেরে গেল। তারা পুরো বাংলাদেশ থেকে নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। মিডিয়ায় খবর ছড়ছে ঢাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, আওয়ামী লীগ ভাবছে তারা তরে গেল? না। এটা এভাবে তরে যাওয়ার যুগ নয়। মিডিয়া আছে, ইন্টারনেট আছে, পারষ্পরিক যোগাযোগের হাজারো মাধ্যম আছে।
স্বৈরাচারীর খবর, দমননীতির খবর, গাড়ীঘোড়া বন্ধ করার গণবিরোধী সিদ্ধান্তের খবর প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে সবার দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাচ্ছে।
এই সব কিছুর জবাব দিতে চলো চলো, ঢাকা চলো, ১২ মার্চ ঢাকা চলো কর্মসূচীকে সফল করুন।
ভুগছে কি শুধু বিএনপি? লঞ্চে উঠে সাধারণ যাত্রীদের মারধর, সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে স্থবির করে দেয়া, হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেয়া, এগুলোর শিকার কি শুধু বিএনপি? বিএনপিকে রুখার নামে দেশের সর্ব সাধারণকে কষ্ট দিচ্ছে এই আওয়ামী লীগ।
শুধু কি তাই? মিডিয়াগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দমন নিপীড়নের খবর করা থেকে বিরত থাকতে। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে 'ঢাকা চলো' কর্মসূচীর লাইভ কভারেজের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এটা আর কিছু না, এটা আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক গণতন্ত্র, যা বাংলাদেশের জন্য নতুন না।
সরকার তার আওয়ামী গণতন্ত্র কায়েম করছে প্রশাসন আর গণমাধ্যমের মাধ্যমে, কোথাও দলীয় লোক দিয়ে, কোথাও চাপ দিয়ে, কোথাও ভয় দেখিয়ে।
প্রশাসন আর মিডিয়াকে মনে রাখতে হবে, তারা জনগণের টাকায় খায় ও পরে। সরকার আসবে যাবে, কিন্তু তাদের মালিক, এই জনগণ, এটার পরিবর্তন হবে না। সেই জনগণের সাথে প্রতি যদি বিশ্বাসঘাতকতা, মিথ্যাচার আর নিপীড়ন করে, সেটা চাপেই হোক আর উৎসাহেই হোক, এর জবাব ইনশাল্লাহ তাদেরকে দিতে হবে।
তাদের অফিসে ভুরি ভুরি ইতিহাসের বই আছে। তারা সেসব ঘেঁটে দেখুক। উপর থেকে চাপ আসলে অসহযোগীতা করতে হবে। কারণ কোনটা গণবিরোধী তাবেদারি আর কোনটা দায়িত্ম, এটা বোঝার জ্ঞান আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদের দিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে আজ সময়, রাজনীতি আর দেশের অন্যতম প্রয়োজন-
চলো চলো, ঢাকা চলো, ১২ মার্চ ঢাকা চলো কর্মসূচীকে সফল করা! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।