আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রশ্নঃ এটা কি বৈপরীত্য নয় যে কুরআন এক স্থানে ইবলিসকে বলছে ফেরেশ্‌তা এবং অন্যস্থানে তাকে জ্বিন বলছে

উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েকঃ আল-কুরআনের বিভিন্ন স্থানে ইবলিস এবং আদম (আ) এর কাহিনী উল্লেখ করা হয়েছে। ২নং সূরা বাকারায়, ৭নং আরাফে, ১৫নং সূরা হিজরে, ১৭নং সূরা ইসরা, ১৮নং সূরা কাহফে, ২০নং সূরা ত্বহা, ৩৮নং সূরা সা’দ এবং বিভিন্ন স্থানে আমি একমত কুরআন বলে- “আমি ফেরেশতাদের বললাম, তোমরা সিজদা কর, অতঃপর ইবলিস ছাড়া, আর সবাই সিজদা করল” {আল-বাকারা, আয়াত ৩৪} যদি বিশ্লেষণ করেন, দেখবেন সাত স্থানে ইবলিসকে ফেরেশতা বলা হয়েছে। একস্থানে ইবলিসকে জ্বিন বলা হয়েছে। এটা কি বৈপরিত্য নয়? এটা হলো পবিত্র কুরআনের ইংরেজী অনুবাদ, কিন্তু কুরআন আরবী ভাষায় নাজিল হয়েছে, আরবীতে তাগলীব নামে ব্যাকরণের পরিভাষা রয়েছে। যাতে অধিকাংশকে সম্বোধন করা হয়।

যদিও কম অংশ এর অন্তর্ভুক্ত থাকে। আমি উদাহরণ দেই। মনে করুন এক শ্রেণীতে ১০০ জনের মধ্যে একজন ছাত্রী এবং ৯৯ জন ছাত্র। আমি যদি আরবিতে বলি সকল ছাত্র দাঁড়াবে তাহলে সে সময় ছাত্রীটিও দাঁড়াবে। কারণ সে তো তাগলীব এর নিয়ম জানে।

“আরবীত আরেকটি মূলনীতি আছে (Majority must be granted অর্থাৎ অধিকাংশ সকলের বিধান বহন করে)। কিন্তু যদি আমি ইংরেজিতে বলি সব বালক দাঁড়াও তাহলে শুধু ৯৯ জন বালকই দাঁড়াবে, বালিকাটি দাড়াবেনা। ” সুতরাং, কুরআন আরবীতে নাযিল হয়েছিল। যখন বলছে, আমরা ফেরেশতাদের বললাম সিজদা কর, সব সিজদা করল, ইবলিস ছাড়া। এটা দ্বারা বুঝাচ্ছে বেশিরভাগ ছিল ফেরেশতা।

ইবলিস ফেরেশতা হতে পারে নাও হতে পারে। কিন্তু ১৮নং সূরা কাহফের ৫০নং আয়াতে বলা হয়েছে সে ছিল জ্বিন। তাই আমাদের এক্ষেত্রে আরবী কায়েদা ‘তাগলীব’ এর প্রয়োগ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ফেরেশতাদের নিজস্ব কোনো ইচ্ছে নেই। আল্লাহ্‌ যা বলেন, তারা তা সাথে সাথে মান্য করেন।

জ্বিনদের ইচ্ছের স্বাধীনতা রয়েছে এটাও একটা প্রমান যে ইবলিস জ্বিনদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। আশা করি উত্তর বুঝতে পেরেছেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.