আবাদি (জনসংখ্যা) এমনিতেই বেড়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে এমন বিস্ফোরন ঘটবে যে দেশে আর কাউরে বেঁচে থাকতে হবেনা। বর্তমান যুগে একটা নতুন প্রাণ মানে নতুন একটা কষ্টদায়ক জীবনের সূচনা। কি দরকার একটা প্রাণকে কষ্ট দেয়ার। কেন? একটু পড়ে দেখুন-
দেশে আইন-শৃংখলার যে অবস্থা তাতে কে কখন মরবে তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নাই।
দেখা গেল, আপনার কাচ্চা-বাচ্চাকে কোনো সন্ত্রাসী এসে ঠাস করে গুলি করে মেরে দিল। আবার দেখা গেল আপনার কাচ্চা-বাচ্চা দেশের এক নম্বর ডন হয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্রসফায়ারে শাহাদাত বরণ করলো কারন এই যুগে ভালো সন্তান মানুষ করা খুব কঠিন। আবার আপনার বাচ্চাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে দিলেন, সেখানেও সে নিরাপদ নয়। বাচ্চার বাড়ি ফেরার কথা গ্রাজুয়েট হয়ে কিন্তু বাচ্চা বাড়ি ফিরছে লাশ হয়ে। আর সড়ক দুর্ঘটনা তো আছেই।
এই কষ্টগুলো কি কোনো বাবা-মায়ের পক্ষ্যে সহ্য করা সম্ভব? আপনিই বলেন!
বর্তমানে দ্রব্যমূল্য হল একটা পাগলা ঘোড়া, তাকে থামানোর সাধ্য কার বাবার! বেশি কাচ্চা-বাচ্চা থাকলে তাদের খাওয়ার খরচ যোগাড় করতে কবে আপনি ফতির হয়ে যাবেন তার কি ঠিক আছে! ৫০ বছর আগের কথা হলে সেইটা অবশ্য ভিন্ন। কারন তখন মানুষের ছিল গোলাভরা ধান, পুকুর ভর্তি মাছ, গাছে গাছে নানা প্রকারের রসালো ফল আর বাড়ির আঙ্গিনায় হরেক রকমের সবজি। তখন কাচ্চা-বাচ্চারা মানে আমাদের বাপ-দাদারা মাটিতে লুটোপুটি খেয়ে মানুষ হয়েছে, তাদের বাপ-মাকে তাদের নিয়ে বেশি চিন্তা করতে হয়নি। আর এখন নাকি একটা কাচ্চার পিছনে মাসে ৩০ হাজার খরচ করতে হয় তাদের ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াতে! তাছাড়া এখনকার কাচ্চারা যন্ত্রমানব হইয়া গিয়াছে।
বোনাস হিসেবে আছে কাচ্চার মধ্যরাতে চিতকার, পট্টি পালটানো ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিছু কাচ্চা আছে এমন ফাজিল যে বাবা-মায়ের মান-সম্মান ধূলোর সাথে মিশিয়ে দেয়। যদিও আমি এখানে শুধু খারাপ দিকগুলোর কথা বলছি কিন্তু এমন অনেক সন্তান আছে যাদের কারনে তাদের বাবা-মায়েরা গর্ব অনুভব করে। তবে বর্তমান এই যুগে কার কয়টা কাচ্চা মানুষের মত মানুষ হয়।
আমদের রাজনীতিবিদরা যদি বুঝতেন সারাদিন অভুক্ত মানুষের যন্ত্রনা, খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টি-ঠান্ডার সাথে সংগ্রাম করা তাহলে আজ দেশের মানুষের এই অবস্থা হতনা। যেসব মানুষ দুর্নীতি করে গরীবের হক মেরে খায় তাদের নিয়ে টিভিতে একটা রিয়েলিটি শো করা যেতে পারে যেখানে তারা সারাদিন অভুক্ত থাকবে, খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাবে, রোদে মাঠে কাজ করবে, রিকশা চালাবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
তখন তারা বুঝবে দারিদ্র্যতা কি জিনিস?থাক এই বিষয়ে আর নাইবা বললাম।
এই কারনে তো বলি বেশি বাচ্চা-কাচ্চা নেয়ার দরকার কি? নিলে একটা নিলেন আর না নিলে তো আরও ভালো। আর যাদের মাসিক আয় নগন্য তাদের তো একটার বেশি কাচ্চা নেয়া অপরাধ বলে মনে করি। কারন আমরা সবাই আমদের সন্তানকে ভালোবাসি, তাই তাদের ভবিষ্যত আপনাকেই ভাবতে হবে। এভাবে আমদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে সুখে বাস করতে পারে তা আমাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে।
শুধু নিজের কাচ্চা-বাচ্চার কথা চিন্তা করলে হবে দেশের প্রত্যেকটা কাচ্চার কথা চিন্তা করুন। তাহলে আমাদের কাচ্চারা একদিন বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে আর আমাদের শ্রদ্ধাভরে মনে রাখবে এর চেয়ে সুখ আর কি হতে পারে! আর তা নাহলে শুধু তাদের ধিক্কার জুটবে। আসুন না সবার দুঃখ দূর করার চেষ্টা করি।
এখন জনসংখ্যা কমানোর উপায় হিসেবে একটা কৌতুক বলিঃ
শিক্ষক ক্লাসে সমাজ বিজ্ঞানের জনসংখ্যা বিষয়ে পড়াচ্ছেন।
শিক্ষকঃ আমাদের দেশে প্রতি সেকেন্ডে গড়ে একজন মহিলা দশটা করে বাচ্চার জন্ম দেয়।
এখন এইটা শুনে ক্লাসের সবচেয়ে পিছনে বসা মোটা ছেলেটা চিতকার দিয়ে বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে বলতে লাগলো… এই সবাই চল, এক্ষুনি ওই মহিলাকে থামাতে হবে!
এইরকম না করলেও কিছু একটা করার এখনি সময়।
বিঃ দ্রঃ এখানে আসলে আমি কাউকে ছোট করার জন্য কিছু বলিনাই। যদি কোনো ভুল করে থাকি নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন প্লিজ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।