আমি। কেউ না। তবে মাঝে মাঝে আমার দুষ্ট মনটা কানে কানে এসে বলে, তুমি মহাকালের উচ্ছল সমুদ্রে ভেসে বেড়ানো এক কচুরিপনা । কালের ঊর্মিমালার সাথে সাথে নাচা ছাড়া তোমার আর কোন কাজই নেই..... প্রিয় লেখক,
আমার সালাম নিন। আশা রাখি বিন্দাস আছেন।
সমালোচকরা সর্বদা মাইকেল মধু..... টাইপের হয়। মনে হয় আপনিও....। আরবী ভাষায় একটা প্রবাদ আছে। আন্নাসু ইয়াকিছু আলা নাফছিহি। অর্থ একটা মানুষ অন্যজনক নিজের মতো ভাবে।
আমার ব্যাপারটা ওরম নয়। তাহলে পৃথিবীতে আপনার মতো ভদ্র, সম্মানিত উন্মাদদের চিনার উপায় কি থাকতো?
সিনেমা সব সময় আজগুবি বিষয় নিয়ে হয়না। আর অস্কার পাওয়ার জন্য প্রধান শর্ত হলো বাস্তবধর্মী কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরী হতে হবে মুভিটা। সালমানের বড়ি দিয়ে অস্কার জেতা যায়না। কাহানীর মতো বাস্তবতা থাকতে হয়।
ঘেটুপুত্র কমলা কাহানীর চেয়ে শতগুন বেশী বাস্তবতার পাশ ঘেসে নির্মিত।
আর আপনার সাথে হ্য্ঁ মেলাতে গিয়ে অনেকে ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছা হয়েছে। যারা মায়ের দুধ খেতে না পেয়ে বড় ভাইদের নাচতে দেখে হেসে পরান দিতে বাকি থাকে।
আপনি কি জানেন, বর্তমান বিশ্বে সমকামিতা কত প্রবল ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। সমকাল ঈদ সংখ্যা্ ২০০৯- এ ৫০৭ নং পৃষ্টায় একটা গল্প ছিলো।
এটার মূল কাহিনি ছিলো চট্গ্রামে সমকামিতা বাড়ার তথ্য। হোটেলে মেয়ের পরিবর্তে সুন্দর ছেলেদের কাজ সারতে দেওয়া হয়।
এ পরম বাস্তবতার দিকে সবার নজর নিয়ে যেতে হুমায়ুন স্যারের এই ব্যবস্থা। এমন বাস্তব বিষয় সিনেমা নির্মাণের জন্য পৃথিবীতে আর নেই। অন্তত পক্ষে বর্তমান যুগে।
তাই বলে আমি কিন্তু বলবনা বেশ্যাবৃত্তির প্রতি জোঁকতে বলেছেন।
ঘেটুপুত্র কমলা অবশ্যই অস্কার জেতার দাবিদার। না জেতাটা অস্বাভাবিক। জেতাটা স্বাভাবিক । যদি না যেতে তাহলে নজরুলের মতো কবির নোভেল পুরস্কার না পাওয়ার মতাই দঃখের।
অতএব, আপনি মানষিকতাটার উপর লেপ্টে থাক সমালোচনা কালো সামিয়ানা সরিয়ে দেথুন। আপনি বুঝতে পারবেন । আল্লাহ আপনাকে সুমতি দান করুক...
ইতি
রায়হানা তনয় ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।