২ মার্চ বিএনপির ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ মহাসমাবেশ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই রাজধানীতে প্রবেশ করেছে ছাত্রশিবিরের সারাদেশের ক্যাডাররা।
শিবিরের একটি সূত্র জানিয়েছে, চারদলীয় জোটের গত কর্মসূচিগুলোর মতোই ১২ মার্চের ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচিতেও ছাত্রদল এবং যুবদলের নেতাকর্মীদের ভেতরে মিশে মাঠ দখল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিবির নেতারা। এ বিষয়ে রোববার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে আসা প্রায় অর্ধশত কেন্দ্রীয় নেতা কর্মসূচি সফল করার ব্যাপারে বৈঠক করেছে বলেও জানিয়েছে সূত্র।
শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা জানান, ১২ মার্চকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। ওই দিন ঢাকায় সর্বোচ্চ কর্মী জড়ো করার পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির।
সূত্র জানান, ১২ মার্চ উপলক্ষে এ মাসের প্রথম থেকেই শিবির ক্যাডাররা ঢাকায় প্রবেশ শুরু করে। কর্মসূচির দুই-একদিন আগে থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে এ আশঙ্কায় আগেই চলে আসতে বলা হয়েছে কর্মীদের।
সূত্র জানায়, রোববারের বৈঠকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন বৈঠকে উপস্থিতদের কর্মপরিকল্পনার কথা জানান। কাটাবন, তেজতুরি বাজার, নাখালপাড়া, মালিবাগ, শেওড়াপাড়া, পরীবাগসহ বিভিন্ন স্থানের মেস এবং বাসাবাড়িতে আপাতত কর্মীদের অবস্থান না করার জন্যে নির্দেশ দেন তিনি।
সূত্র জানায়, বৈঠকে শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল জব্বার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা আতিকুর রহমান, নিজামুল হক নাঈম, মিজানুর রহমান, শাহিনুর রহমান, আতাউর রহমান বাচ্চু, এইচএম জোবায়ের, সমাজসেবা সম্পাদক তৌহিদুর রহমান সুইট, মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, জহির উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, মাইনুল ইসলাম, জাকির হোসেন সেলিম ও সিরাজুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোহাব্বত আলী, মহানগর দক্ষিণ সভাপতি শাহীন আহমদ খান, উত্তর সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, পূর্ব সভাপতি এনামুল কবীর, পশ্চিম সভাপতি সাজ্জাদ হোসাইন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি শাহীন আহমদ খান, ঢাকা কলেজ সভাপতি শফিকুল ইসলাম জুয়েল, বুয়েট সভাপতি মো. মাঈনুল ইসলাম ও ডুয়েট সভাপতি আবদুল্লাহ আল মারুফসহ রাজধানীর অন্য নেতারা।
সূত্র জানায়, ১২ মার্চের কর্মসূচি উপলক্ষে নিরাপত্তা বাহিনী রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মেস এবং কোচিং সেন্টারগুলোতে অভিযান চালাতে পারে এ আশংকায় কোচিং সেন্টারগুলো এ মাসের প্রথম থেকেই বন্ধ রয়েছে এবং মেসগুলো থেকে অন্য জায়গায় রয়েছে কর্মীরা।
সূত্র জানায়, ঢাকার বাইরে থেকে আসা কর্মীরা ঢাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আবাসিক হলে উঠবেন কিনা এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। তবে সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক নেতা জানান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বড় দু’টি দল গত মাসেই ঢাকা পৌঁছেছে।
সদস্য এবং কর্মীরা বর্তমানে তাদের আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের বাসায় রয়েছে।
সূত্র জানায়, কর্মসূচিকে ঘিরে শিবিরের নাশকতার কোনো পরিকল্পনার ব্যাপারে গোপনীয় এ সভায় সরাসরি আলোচনা হয়নি। তবে উপস্থিত নেতাদের প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘বাধা এলে আমরাও ছেড়ে দেব না, আমাদের ছেলেদের ও রেডি থাকতে হবে। ’ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।