আমি এই ব্যাপারটা ব্লগে শেয়ার না করে পারলাম না,কেউ কি বিশ্বাস করবে যে আমি ১৬সেপ্টেম্বরের একটি চট্টগ্রাম-ঢাকা টিকেট গত ১১দিনেও কাউন্টার থেকে পেলাম না। তারা বলে সব টিকেট শেষ। অথচ কালোবাজারী রা তা বাইরে বিক্রি করে শোঃচেয়ার ৩৫০টাঃ আর এসি ৭৫০ টাকা। হয়তো কেউ কেউ বলবেন ১টি টিকেট না পেয়ে ব্লগায়ন। আমি বলি তবেই বুঝুন কি অবস্থা!
আমরা জানি রাস্তাঘাটের দূরবস্থায় মানুষ অধিকহারে ট্রেননির্ভর হয়ে উঠেছে,আর মধ্যবিত্তের জন্য এ ভ্রমনটি সুলভও বটে।
কিন্তু দূঃখ হয় যখন দেখি প্রতিস্টানটি নিজেই এই টিকেট কৃত্রিম সংকটে লিপ্ত। এদেশে দূর্ভিক্ষ খাদ্যের অভাবে তত হয় না,যত হয় মজুতদারী ও কৃত্রিম সংকটে। আমি হলফ করে বলছি,রেলওয়ে যদি নিয়ম মেনে টিকেট দেয় সবাই প্রয়োজন মত টিকেট পাবে।
আর আমি সরকারের কাছে কোন আবেদন রাখছি না,কারন এরা অভিযোগ করলে বিরক্ত হয়। ভুক্তভোগীকে বিরোধী দল বানিয়ে দেয়।
এমনকি ব্লগেও তাদের বাকশালী আক্রমন এসে পরে।
আমি ১৯৮৭-৮৮ সাল থেকে নিয়মিত ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন জার্নি করি,কিন্তু এমন নির্ভাবনার যাত্রাপথও যে এমন কঠিন ও দূর্লভ হয়ে উঠবে ভাবিনি।
সরকারের কাছে রাস্তাঘাটের কথা বললে জানায়,৪দলীয় জোট কোন কাজ করেনি তাই এই অবস্থা,বিদ্যুতের ও একিই অবস্থা ৪দলের অশুভ হাতের ছোয়ায়। তাই কোন অভিযোগ নয় তাদের বিরুদ্ধে,নয় কোন অনুযোগ!
শুধু এটুকু বলবো একজন সাধারন নাগরিক হিসাবে, দেশটার অবস্থা ভালো নয়। এতো অনিয়ম,এতো অসহিষ্ণুতা,জনগনের মতামতকে এমন পায়ে দলন আগে কখনও দেখা যায়নি।
তাই জনগনকেই বলছি,ভাবুন আরো ভাবুন। সবাই সচেতন হোন,আমাদের এই দেশেই থাকতে হবে যত কিছুই হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।