এতকিছু ... ওই সিনেমার জন্যই... কুকুর:
শহরের কুকুরকে বন্ধু ভাবতে পারি না। অথচ শহরের বাইরের কুকুরদের সাথে অসংখ্য জোছনাকবলিত রাত। কলেজে পড়ার সময় হোস্টেলে থাকতাম। প্রায়ই রান্না হতো না। ব্যাগ গুছিয়ে মামা বাড়িতে চলে আসতাম।
মামা বাড়ি পাংশা শহরের ঠিক বাইরেই। দুই কিলোমিটার হাঁটা পথ। কিংবা রিকশা। জোছনারাত বা সন্ধ্যা হলে অদ্ভুত এক নিসর্গের ভিতর হাঁটার লোভ সামলাতে পারতাম না। হোস্টেলের পেছনেই এক মায়াবী নদী।
তার নাম চন্দনা। নদীর উপর কাঠের ব্রীজ। ওখানে কুকুর থাকতো আটটা। ফিবোনাক্কী নাম্বারে। কিন্নরী বাতাস এসে গায়ে লাগতো।
আর আমার ব্যাগে থাকতো ফিজিক্স বই, জীবনানন্দ কবিতাসমগ্র আর একটা ছোট্ট ওয়াকম্যান। ওয়াকম্যানে গান শুনতে শুনতে একটা প্রায় বন আর ঘন বাঁশবনের ভেতর দিয়ে হেঁটে যেতাম। পেছনে আসতো সেই আটটা কুকুর। বাঁশবন পেরিয়ে আবার সেই নদী আরেকটা ছোট্ট ব্রীজ। এভাবে এক নদী দুইবার পেরিয়ে মামাবাড়ি আসতাম।
গান শোনায় খুব বেশী নিমগ্ন থাকতাম বলে কুকুরদের সাথে খুব বেশী কথা হতো না।
নেশা:
তিন যুবক। নেশায় বুঁদ হয়ে থাকি। গানের নেশা। এতদিন ধরে জমে থাকা গানগুলো কম্পোজ করার আগের যে হোমওয়ার্ক।
সেটা করি। বৃহস্পতি শুত্র বিকেল থেকে অনেক রাত অব্দি। আমি প্রিন্স আর তন্ময়। তন্ময়দের বাসার ছাঁদে বসি আমরা। এভাবে চলছে।
মাঝে মাঝে নাজিমের স্টুডিওতে গিয়ে আপডেট দিয়ে আসি। কাজ থাকলে করি। কিন্তু নাজিমদের বাসায় একটা কুকুর থাকে সবসময়। প্রবেশপথে। সেই কুকুর বিশাল বড়।
ডাক শুনলে পিলে চমকে যায়। কুকুর আবার পরিবর্তন হয়। সেম কুকুর হলে এতদিনে বন্ধুত্ব হয়ে যেত। কিন্তু ওদের সম্ভবত কুকুরের কারখানা আছে, সাভারে। মাসে মাসে নতুন কুকুর আসে।
যারা জানেন না তাদের বলছি। আমাদের ব্যান্ডের অ্যালবামের কাজ করছি আমরা। ব্যান্ডের নাম ঢাকা মেট্রো। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। গানের কাজ হচ্ছে তিনটি স্টুডিওতে।
রাকিবের বাসায় কম্পোজের সিংহভাগ কাজ হয়। ভয়েস এর কাজ হয় নাজিমের স্টুডিওতে। এক কুকুর কবলিত পরিবেশে। এমনিতে আমি খুব সাহসী। শহরের কুকুর নিয়ে কোন রিস্কে যেতে চাই না।
গান:
একসাথে ছয়টা ট্র্যাকের কাজ চলছে। অণুকাব্য। ঢাকা মেট্রো। ভালো আছি ভালো থেকো। কাঁটাতার।
স্বপ্ন। চন্দ্রগ্রস্ত।
রেডিওতে শোনা যাবে খুব তাড়াতাড়িই।
একজন লেডি ভোকালের দরকার ছিল। তিন চারটা গানের জন্য।
পাওয়া গেছে। তার নাম সঙযুক্তা দত্ত। গান মূলত গায় প্যানুয়েল প্রিন্স। গোটা তিন চার গানে আমাকেও ভোকাল হিসেবে পাওয়া যাবে
পুনশ্চ: আমি আর প্রিন্স দুজনই সামুর ব্লগার। এটা কিন্তু ব্লগারদেরই ব্যান্ড মাথায় থাকে যেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।