আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গোপালের সত্যদর্শন.....

গোপাল বিজ্ঞানের কঠিন ছাত্র ছিল। তাহার মনে ছিলো প্রবল অনুসন্ধিৎসা। চাক্ষুষ প্রমান ছাড়া সে কোন কিছুই বিশ্বাস করিত না। গোপাল জানিতে পারিল যে, একদা গাছের তলায় বিশ্রামকালে নিউটনের মাথায় আপেল পড়ায় নিউটন মহাশয় মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিষ্কার করিয়াছিল। জানিয়া তাহার মনেও কিছু একটা আবিষ্কারের অভিলাষ জাগিল।

তাই সে একটি আপেল বাগান খুঁজিতে লাগিল। কিন্তু বিধিবাম! বঙ্গদেশে আপেলের চাষাবাদ হয় না। তবে কালে ভদ্রে কমলার চাষ হয়। তাও আবার পরীক্ষামূলক ভাবে। গোপাল ভাবিল, ভালই হইল! সেও তো পরীক্ষাই করিতে চায়! আর আপেল আর কমলা তো মোটামুটি একই আকৃতির ও ওজনের।

ইহাতে মস্তিষ্কপরে উহার আঘাতে একই প্রকার প্রতিক্রিয়া ঘটিবেক। এবার গোপাল কমলা বাগানের খোঁজে বাহির হইল। বহু দূর পথে সে এক বাগানের খোঁজ পাইল। উহাতে থরে থকে কমলা রঙের কমলা ঝুলিয়া রহিয়াছে। দেখিয়া গোপালের প্রান নাচিয়া উঠিল।

এইবার একটা কিছু আবিষ্কার না হইয়াই যায় না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন তলা দেখিয়া একটা কমলা গাছ বাছিয়া উহার নীচে গোপাল বিছানা পাতিল। বিছানায় শুইয়া বসিয়া সে সারাদিন কাটাইয়া দিল। মাঝে মাঝে উৎসুক নয়নে উপরদিকে তাকাইয়া পর্যবেক্ষনও করিল। কিন্তু হায়! কোন কমলা বৃক্ষচ্যুত হইয়া মাথা তো দূরের কথা এমনকি আশেপাশে কোথাও পড়িল না।

আরও নিদারূন ব্যাপার হইলা আশেপাশের কোন গাছ হইতেই কোন কমলাকে গোপাল পতিত হইতে দেখিল না। সন্ধ্যায় পাঠ্যপুস্তক প্রনেতাদের বকিতে বকিতে গোপাল বাটীর দিকে রওয়ানি দিল। এইরকম গাঁজাখুরি গল্প কেন যে উহারা বইয়ে প্রকাশ করে! আরেকটু হইলেই তো গোপাল গল্পটা বিশ্বাস করিয়া প্রায় ঠকিয়া গিয়াছিল। ভাগ্যিস হাতে কলমে পরীক্ষায় সে আসল সত্যটা ধরিতে পারিয়াছে! নিজের বুদ্ধিতে গোপাল নিজেই মুগ্ধ হইয়া নিজেকে তারিফ করিতে করিতে হাটিতে লাগিল..... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।