আগামী ১২ মার্চ নিয়ে রাজনৈতিক মহল, সচেতন নাগরিক সমাজ এমনকি সাধারণ মানুষের মধ্যেও রয়েছে নানা জিজ্ঞাসা। এদিন রাজপথ দখলে নিতে বিএনপি এবং তার সমমনা দলগুলো কাজ করছে। বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দলের কর্মপরিষদ সদস্য নুরুল ইসলাম বুলবুল এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছে।
সমাবেশকে সফল করতে বিশেষ করে এর একটি জঙ্গি রূপ দিতে বিএনপির সমমনা ১৪ টি দল কাজ করছে।
এগুলো হচ্ছে-
জামায়াতে ইসলামী
বিজেপি
ইসলামী ঐক্যজোট
এলডিপি
খেলাফত মজলিশ
কল্যাণ পার্টি
জাগপা
এনডিপি
এনপিপি
বাংলাদেশ ন্যাপ
ভাষানী ন্যাপ
লেবার পার্টি
মুসলিম লীগের দুটি অংশ এবং
ইসলামিক পার্টি।
১২ মার্চ বিএনপির ঢাকা চলো কর্মসূচি নিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সুশীল সমাজ ও অধিকাংশ মানুষ দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিপন্ন হওয়ায় আশঙ্কা করছেন। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে উগ্রবাদী সংগঠন কাজ করছে। নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সহায়তায় এবং অন্যান্য উপায়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষসহ আইন -শৃংখলার অবনিত ঘটানোর আশঙ্কা রয়েছে।
সংক্ষেপে কি হতে পারে ১২ মার্চ:
@ ১২ মার্চ জঙ্গি সংগঠনগুলোর মাধ্যমে নাশকতামূলক কার্যক্রম ঘটানো হতে পারে।
@ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মহাসমবেশে যোগদানকারীরা ঢাকায় অবস্থান ধর্মঘট শুরু করতে পারে।
@ যানবাহন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমা বিস্ফোরণ, আইন- শৃংখলা বাহিনীর ওপর হামলা ও লুটপাটের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
@ সার্বিক পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে পুনরায় অগণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা চালানো হতে পারে।
@ এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে মহাসমাবেশের ৯ মার্চ থেকেই লোকজন ঢাকার আবাসিক হোটেল, কমিউনিটি সেন্টার, মেস, মসজিদ, মাদ্রাসায় তারা অবস্থান নেবে।
ঢাকাগামী লোকজনকে রাস্তায় বাধা দেয়া হলে যেখানে বাধা সেখানেই অবস্থান নিয়ে ঢাকার চারপাশ অবরুদ্ধ করে ফেলা হতে পারে।
@ ঢাকার ভেতরে ও বাইরে ধবংসাত্মক কাজ-কর্ম শুরু হতে পারে।
অতএব এ ধরনের কর্মসূচী কালে সকলেই সতর্ক থাকবেন; কেননা জামায়াত আর জঙ্গিরা মানুষ হত্যা থেকে শুরু করে সকল অপকর্মই করতে পারে।
সূত্র: সংবাদপত্র ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।