আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পারসোনায় অবৈধভাবে সুন্দর দৃশ্য ধারণ এবং শাওন এমপির গাড়ীতে মানুষ খুন কোন সমস্যা নাই। কিন্তু খালেদার অভিযোগে হাইকোর্টের যত আপত্তি!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ গত বছর ২০১১র সেপ্টেম্বরে পারসোনা স্পাতে গোপন ক্যামেরায় কি কি দৃশ্য ধারণ হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। সবাই জানি যে এটা জঘণ্য অপরাধ। কে অপরাধী সেটাও দেশের মানুষ জানে। কিন্তু সরকার, পুলিশ-প্রশাসন এমন ভাব দেখাচ্ছে যে কানিজ আলমাস কোন অপরাধই করেনি। এর থেকে একটা সত্যই বেড়িয়ে এই কানিজ আসলে উচুদরের গণিকা।

যার কাজ হল বিভিন্ন মন্ত্রী ও সরকারী দলের এমপিদের মনোরঞ্জনের ব্যাবস্থা করা। ৩০শে সেপ্টেম্বর ঘটনাটি ধরা পরলেও ২০১১ এর শেষে তথা ৩মাসেও পুলিশ কানিজ আলমাসের ধারের কাছে পৌছতে পারেনি; Click This Link পুলিশের ভাবখানা এমন যে কানিজ পালিয়ে বেড়ায় অথবা তাদের সাধ্য নেই সেখানে ছায়া মারানোর। অথচ রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বাহাদুরি করেন যে তার পক্ষে মানুষের বেডরুম পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়। পারসোনার চিহ্নিত অপরাধীকে যখন রাষ্ট্রের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করতে পারেনা সেখানে বেডরুমের কথা বলে হাসিনা বুঝালেন তার মত তেলেসমাতি কথা ও বুলি এবং রাজনীতি বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি আর কেউ নেই। তার আত্নীয়, দলীয় এবং অর্থ যোগানদাতা হলেই হল ডজন খুন করাও কোন ব্যাপার নয়।

এখন এমন অবস্থায় দেশ আসছে পুলিশ-প্রশাসন কোন খুন বা অপরাধ সরকারী কারো দারা সংঘটিত হলে এমন ভাব দেখায় যে কোন অদৃশ্য ভুত এই সকল কুকর্ম করছে। পারসোনারও আগে ২০১০ সালে যখন আলীগ এমপি শাওনের গাড়ীর ভিতর এবং তারই পিস্তলের গুলিতে যুবলীগ কর্মী ইব্রাহিম নিহত হয় কোন প্রকার রিমান্ড-তদন্ততো দূর যথাযথ জিজ্ঞাসাবাদ না করেই ঢাকার পুলিশ কমিশনার বলে দিলেন এমপি সাহেবের কোন দোষ নেই। শাওনের গাড়ীর ভিতর কি হয়েছে সেটা পুলিশ খুবই দ্রুত নিশ্চিত হল এবং এমপির পিস্তলও যেন হাতের মোয়া। কিভাবে গাড়ীর ড্রাইভার শাওনের এই পিস্তল হস্তগত করল তা গোজামিল দিয়ে সরকারী এমপিকে নির্দোষ রাখল। এই সমস্ত তেলেসমাতি ও ভুতুরে কারবার আলীগের দ্বারাই সম্ভব।

শেয়ার বাজার লুটপাট, পদ্মা সেতুর নির্মাণের পূর্বেই র্দূনীতি, গামা হত্যাকারীদের ও লক্ষীপুরের বিপ্লবকে খুনী ঠুটো জগন্নাথ জিল্লুর মাফ করে দেওয়া এবং নির্দোষ মাহমুদুর রহমানকে জেল খাটানো দ্বারা এই দেশের সব বিবেকবান মানুষ বুঝে গেছে যে হাসিনার এই আমলে তার সরকার বা দলের কারো দ্বারা অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হলে আর সুবিচার পাবে না। মাছরাঙা ও এটিএনের সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর ও রুনি নির্মম ভাবে খুন হওয়াতে কোন মানুষ আর তাদের জীবিত ফিরিয়ে আনতে পারবে না। প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে ডাকাতি বা চুরির জন্য নয় কেউ তাদের ব্যাক্তিগত বিরোধের কারণে এই ভাবে হত্যা করেছে। এরা যদি পেশাদার চোর বা ডাকাত হত তাহলে তাদের অজ্ঞান অথবা বেধে ফেলে মূল্যবান জিনিস নিয়ে চম্পট দিত। কিন্তু তারা যেভাবে খুন হয়েছেন যে তাতে নিশ্চিত বলা চলে কারো ব্যাক্তিগত আক্রোশের শিকার।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ৪৮ ঘন্টা সময় নিয়ে কোন কিছুই বলতে পারেনি। কিন্তু আওয়ামী-বাকশালী অনুসারী বেশ কিছু পত্র-পত্রিকায় গুজব ছড়ানো হয় যে নিহত রুনি পরকীয়ায় লিপ্ত হওয়াতে তার অবৈধ প্রেমিক ও তার সঙ্গীর হাতে দুইজনকেই নিহত হতে হয়। এর কয়েকদিন পরে কোন মন্ত্রী বলেন জামাত যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকানোর জন্য এই জোড়া খুন করেছে। এই সমস্ত কথা বলে প্রকৃত খুনীদের আড়াল করার প্রয়াস। উপরের রাষ্ট্রীয় শ্বেত সন্ত্রাস এবং সাগর-রুনীর হত্যাকান্ড নিয়ে হাসিনা ও আওয়ামী-বাকশালী গংদের কর্মকান্ড ও বক্তব্য-অভিযোগ নিয়ে দেখলাম না হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোন রুলিং দেয়।

এমনকি জিল্লুর প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঢালাও ভাবে খুনীদের মাফ করে দেওয়াও নাকি আদালতে চ্যালেঞ্জ যোগ্য; রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এটা বিবেচনায় নিতে ব্যর্থ হয়েছেন যে মহসিনের ঘাতকেরা হাইকোর্ট থেকেও একবার অনুকম্পা নিয়েছিলেন। সুতরাং, ঘাতকেরা দুবার অনুকম্পা নিলেন। সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের প্রয়োগ এ ক্ষেত্রে তাই অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উচ্চ আদালতে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জযোগ্য। সরকারের এখতিয়ারবহির্ভূত এই ক্ষমায় সংবিধানের লঙ্ঘন ঘটেছে।

মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক। Click This Link বাকশালী গং পরকীয়া ও জামাতী থিউরিতে কিছু না হলেও সাগর-রুনির হত্যাকান্ডর জন্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদাকে শাসিয়ে দিল হাইকোর্ট। এটা নাকি তদন্তাধীন বিষয়। তাই এই বিষয়ে এখন খালেদার কিছু বলা যাবে না। আমাদের দেশের সংবিধান ও আইনে কি বলা আছে সরকারী তথা ক্ষমতাসীন দল কথা বললে অথবা কোন অভিযোগ করলে এক রকম আর বিরোধী দল করলে আরেক রকম! আওয়ামী-বাকশালী গং এতই জঘণ্য অপরাধী তাই তাদের প্রায় প্রতিটি কাজে কর্মে প্রতারণা এবং স্ববিরোধীতায় পরিপূর্ণ।

এরা বার বার মচকাবে কিন্তু ভাঙবে না। তাই বিচার বিভাগ এখন আওয়ামী-বাকশালীদের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ১৯৭২-৭৫ মেয়াদে শুনেছি শেখ মণি বলত "আইনের শাসন নয়, মুজিবের শাসন চাই"। যা বর্তমানে হাসনিার শাসন চলছে। তাই একটি স্বতঃস্ফূর্ত গণ-অভ্যুত্থান ছাড়া গামা হত্যাকারী, নৃশংস খুনী বিপ্লবদের দ্বারা পুরো দেশ ও জাতি কারারুদ্ধ থাকবে।

তখন আওয়ামী বাকশালীদের দাসত্ব করা ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবে না।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.