তবু তুই রয়েছিস বলে, ঘাসফুলে জল দোলে...
:: কী করো?
:: এইতো বসে আছি।
:: বসে বসে কী করো?
:: এটা কেমন কথা? বসে বসে আবার কী করবো! জাস্ট বসে আছি...
:: জাস্ট বসে থাকে কিভাবে আবার! বসে নিশ্চয় কিছু করে মানুষ!
:: ধুর...
টুট টুট টুট...
০২
মুঠোফোনটা কানেই ধরা থাকে বালকের। এক ধরণের গভীর স্তব্ধতা গ্রাস করে তাকে। সে স্তব্ধতার আড়ালে হারিয়ে যায় ফোনটা কানে ধরে রাখার স্থীতিকাল। চোখের কোণে জমে থাকা অশ্রুকণা ততক্ষণে গাল বেয়ে অসীমে বিলীন।
অশ্রুর জায়গা চোখের কোটর। এ ছাড়া অন্য যেকোনো জায়গা তো অশ্রুর জন্য অসীমই! তাই না!
বুড়িয়ে যাওয়া বিকেল রোদে উত্তপ্ত হয়ে থাকা জানলার কাচ আলোর ঝলকানিতে কাছে ডাকে কাউকে। জানলার কাচে কারো ছায়া পড়ে হয়তো। সে ছায়া স্পষ্ট হতে পারেনা। অশ্রুর ভীড় জমে থাকা চোখের কাছে কোনো দৃশ্যই হয়তো স্পষ্ট হওয়ার ক্ষমতা রাখেনা।
দৃশ্য এবং দৃশ্যাবলী বরাবরই ঝাপসা হয়ে থাকে।
প্রতিটি সেকেন্ড দীর্ঘতর হয়ে উঠতে থাকে। সময় কাটতে চায়না একটুও। একেবারে নি:সঙ্গ একটা মানুষকে কষ্ট দেয়ার জন্য এই-ই যথেষ্ট। সময়ের অদৃশ্য ছুড়ি আঘাতে আঘাতে একেবারে শেষ করে ফেলতে পারে চেতনার সবটুকুকে।
০৩
প্রিয় গানগুলো কেমন বেসূরো হয়ে যায়। কবিতাগুলো হয়ে যায় যাযাবর। প্রিয় বিকেল রঙ হয়ে উঠে ফিকে। নিজের ছায়াটা দাড়িয়ে পড়ে মুখোমুখি অবস্থানে। এক কদম সামনের যাবার শক্তিও অবশিষ্ট থাকেনা পায়ে।
জানলার বাইরে বিস্তৃত পৃথিবী। হাজার রঙের আলোর খেলা। আর ভিতরে কেবল উত্তপ্ত জানালার বিস্তরণ। আর এক জোড়া ভেজা চোখে লোনা রোদে ঝালসে যাওয়া ঝাপসা দৃশ্যাবলী...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।