আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই। প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিতে ২০১৬ সালের মধ্যেই এই বাংলার মাটিতেই জাপানী প্রশিক্ষণ এবং নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরী হচ্ছে বাংলাদেশের ডিজিটাল ম্যাপ। বিস্তারিত নিচে .....
জাপানি দাতা সংস্থা জাইকার সহায়তাই বাংলাদেশ জরিপ অধিতপ্তরের এই ম্যাপ এর মাধ্যমে যে কোন এলাকার বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ছাড়াও জিপিএস মোবাইল ব্যাবহারকারি যে কাউকে তাৎক্ষনিক ভাবে সনাক্ত করা সম্ভব হবে। এর ফলে এর ফলে সন্দেহভাজন অপরাধীদের খুব সহজেই সনাক্ত করা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
এটি তৈরিতে ৪ বছর লাগবে।
পৃথিবীর মানচিত্রে ছোট্ট একটি দেশ বাংলাদেশ। উপর থেকে বাংলাদেশ এর যে জায়গাটি দেখতে যেমন, ঠিক সে চিত্রই ফুটে উঠবে এ ধরনের ডিজিটাল মানচিত্রে। জাপান থেকে প্রশিক্ষিত এক দল দেশীয় কর্মী এ জন্য কাজ করছেন পুরদমে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে এ মানচিত্রে সুস্পষ্টভাবে স্থান পাচ্ছে দেশের সব রাস্তা, স্থাপনা, নদী-নালা, ঐতিহাসিক নিদর্শন, গণভূমি, গ্রাম, এমনকি কৃষি জমির সীমানাও।
থাকবে এসব সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যও। জরিপ অধিতপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেনঃ “আমাদের এখানে যে ম্যাপগুলো তৈরি করছি, তা সবার জন্য উন্মুক্ত। খুবই কস্ট ইফেকটিভ ভ্যালুতে এটা নিতে পারবে। মানুষ এটা নিয়ে কাজ করতে পারবে এবং ভবিষ্যতে আমরা এটা ওয়েবসাইট এ দিয়ে দিব। জিপিএসটা আপনি যদি কার এ লাগিয়ে দেন, কার ট্র্যাকিং করতে পারছেন।
এটা যদি মোবাইল জিপিএস এ ম্যাপটি দেন, আপনি আপনার ছেলেকে দেখতে পারছেন কোথায় আছে। আপনি সবার লোকেশান পাচ্ছেন। পুলিশ বাহিনী ক্রিমিনাল ট্র্যাক করতে পারবে। ”
এই মানচিত্র তৈরিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় জিপিএস স্টেশন বসানো হয়েছে। যার মাধ্যমে মোবাইল জিপিএস ব্যাবহারকারি যে কোন মানুষের অবস্থান সম্পর্কে যেমন নিশিত হওয়া যাবে, তেমনি পাওয়া যাবে আবহাওয়া সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য।
জাপানি দাতা সংস্থা জাইকার এক কর্মকর্তা বলেনঃ “যদি কেউ স্কুল, কলেজ কিংবা হাসপাতাল এ যেতে চাই তাহলে তাকে কাউকে জিজ্ঞেস করতে হয়। কিন্তু তার কাছে যদি এই ডিজিটাল মানচিত্র থাকে তাহলে তার সাহায্যে সে খুব সহজেই গন্তব্যস্থলে পৌছাতে পারে। ”
২০১৬ সালে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা।
ই-মেইল থেকে পাওয়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।